পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের ঝুকির মধ্যেই নির্বাচন কমিশন পুলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে স্কুল-কলেজ-মাদরাসার শিক্ষক ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। করোনাভীতির মধ্যেই শুধু চাকরি বাঁচানোর জন্যই জীবনের ঝুকি নিয়ে হাজার হাজার মানুষ একসঙ্গে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এ যেন সরকানের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর নামান্তর।
গোটা বিশ্ব করোনাভাইরাস আতঙ্কে কাপছে। এ অবস্থায় নাগরিকদের করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা করতে সরকার স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়-মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করেছে। ওয়াজ মাহফিল, শোভাযাত্রা নিরুস্বাহিত করছে। এমনকি মসজিদের বেশি মুসুল্লি এক সঙ্গে নামাজ আদায় না করে ঘরে ঘরে নামাজ আদায় করার পরামর্শ দিচ্ছে। কিছু এলাকায় যানবাহন বন্ধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। শুধু তাই নয় গতকাল মহাখালীতে সরকারের রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) করোনাভাইরাস নিয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তা জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকির কারণ হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। এটা অবশ্যই ঝুঁকি। ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ব্যবহার করলে অবশ্যই ঝুঁকি আছে। ইভিএম সিস্টেম যদি ব্যবহার করা হয়, অনেক ব্যক্তিকে একটি মেশিন স্পর্শ করতে হয়। সেক্ষেত্রে অবশ্যই ঝুঁকি আছে।
এই যখন অবস্থা তখন দেশের আইন, সরকারের নির্দেশনা এবং জনগণের জীবনমরণ সমস্যাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নির্বাচন কমিশন নিজেদের মতো করে নির্বাচন করছে। ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩, বাগেরগাট-৪ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শুধু তাই নয় করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনকে সামনে রেখে পাঁচ হাজারের বেশি কর্মকর্তাকে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল চট্টগ্রাম মহানগরের চারটি স্কুলে একযোগে শুরু হয়েছে এ প্রশিক্ষণ। এ নিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে আসা কর্মকর্তাদের মধ্যেও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা লক্ষ্য করা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এ প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। অন্তত সাড়ে ১৬ হাজার নির্বাচনী কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ নেবেন। যেখানে স্কুল শিক্ষক থেকে শুরু করে থাকছেন সরকারি-বেসরকারি এবং স্বায়ত্তশায়িত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ২০ মার্চ থেকে শুরু হওয়া প্রশিক্ষণ ২৫ মার্চ পর্যন্ত চলবে।
এর আগের দিন অবশ্য নির্বাচন কমিশনের সচিব সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপে জনস্বাস্থ্যে হুমকি দেখছে না নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের দিন প্রতি ভোটকেন্দ্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার থাকবে। ভোটাররা ভোট দেওয়ার আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার লাগিয়ে ভোট দিয়ে পরে আবার তারা এটা ব্যবহার করবেন। এ নিয়ে ভোটারদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা গেছে। গতকাল ধানমন্ডি-১০ আসনের একাধিক ভোটার নির্বাচন কমিশনের এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে বললেন, ইসি কার্যত দেশের আইন, সরকারের নির্দেশনা ও জনগণের নিরাপত্তাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম নগরে প্রশিক্ষণ নিতে আসা আবদুল মোরশেদ নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অথচ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখানে একজন যদি ভাইরাস বহন করেন, তাহলে সবার মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়বে। এটা আত্মঘাতী। মরিয়ম আকতার নামের এক স্কুলশিক্ষক বলেন, কোনোভাবেই এই নির্বাচন এখন হওয়া উচিত নয়। সরকারি চাকরি করি বলে আমরা আসতে বাধ্য হয়েছি। কিন্তু এটা করোনা–ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে সবাইকে।
জানতে চাইল নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত আমাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি চালিয়ে নিতে হবে। তার অংশ হিসেবে এই প্রশিক্ষণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।