পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বন্দনরগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস আতঙ্কে ভোগ্যপণ্য মজুদের হিড়িক পড়েছে। তাতে দাম বেড়ে গেছে প্রায় সবকিছুর। বাজারে অযথা হুলস্থুলে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত মাত্র তিনদিনে চালের দাম কেজিতে তিন থেকে ছয় টাকা, আলুর দাম বেড়েছে দশ টাকা পর্যন্ত। প্রতিডজন ডিমের দাম বেড়েছে সাত থেকে দশ টাকা। বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি ভোগ্যপণ্যের পাশাপাশি দেশে উৎপাদিত খাদ্য পণ্যেরও কোন ঘাটতি নেই বাজারে।
তবে হঠাৎ করে কেনাকাটার ধুম পড়ে যাওয়ায় পণ্যের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। দেশের প্রাচীনতম চেম্বার চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম দায়িত্ব নিয়েই বলেছেন বাজারে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক, কোন ঘাটতি নেই।
এদিকে আতঙ্কিত হয়ে ক্রেতাদের অতিরিক্ত কেনাকাটায় বিক্রেতরা কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে অতিমুনাফা করছেন। শহরের পাশাপাশি গ্রামেও পণ্যমূল্যবৃদ্ধির হিড়িক পড়েছে। মূল্যবৃদ্ধির খবরে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানও পরিচালনা করা হয়।
চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সমিতির সাবেক সভাপতি সোলায়মান বাদশা বলেন, করোনাভাইরাস আতঙ্কে মানুষ ভোগ্যপণের মজুদ গড়ে তুলছে। যা অতীতে কখনো দেখা যায়নি। আর এই কারণে সবকিছুর দাম বেড়েই চলেছে। পাইকারী বাজার থেকে শুরু করে খুচরা বাজার-সবখানে ক্রেতার প্রচন্ড ভিড়। বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তা বলা মুশকিল।
গত কয়েক দিন ধরে নিত্যপণ্যের বাজারে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। রেয়াজুদ্দিন বাজারের চাল ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, চাল কেনার জন্য এমন হুলস্থুল আগে কখনো দেখিনি। যার লাগবে এক বস্তা তিনি কিনছেন তিন বস্তা। হঠাৎ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পাইকারি এবং খুচরা দাম বেড়ে গেছে। তবে এই অবস্থা বেশিদিন থাকবে না বলেও জানান তিনি।
তিনি জানান, মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে চালের দাম মানভেদে প্রতিবস্তায় দেড়শ থেকে তিনশ টাকা বেড়েছে। মিনিকেট সেদ্ধ প্রতিবস্তার (৫০ কেজি) দাম বেড়েছে একশ থেকে দেড়শ টাকা। গতকাল প্রতিবস্তা বিক্রি হয় দুই হাজার টাকা। আর কেজিতে দাম বেড়েছে তিন থেকে পাঁচ টাকা। বাজারে প্রতিকেজি চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৫ টাকায়। মিনিকেট আতপ প্রতিবস্তায় দাম বেড়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। আর কেজিতে চার থেকে ছয় টাকা বেড়ে ৪৫ থেকে ৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জিরাশাইল প্রতিবস্তায় বেড়েছে ১৫০টাকা থেকে ২০০টাকা। কেজিতে বেড়েছে তিন থেকে পাঁচ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও প্রতিকেজি চালের দাম ছিলো ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা। এখন ৪৮ থেকে ৪৯ টাকা। স্বর্ণা চালের বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে ২৩০ থেকে ২৫০টাকা। কেজিতে বেড়েছে আট থেকে দশ টাকা। দুই দিন আগেও দাম ছিলো ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা, এখন তা ৪৪ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আটা ও ময়দার দামও কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে। আলুর দাম বেড়েছে কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা। গতকাল বাজারে প্রতিকেজি আলু ২৫ থেকে ৩০টাকায় বিক্রি হয়েছে। ডিমের দাম ডজনে দশ টাকা বেড়ে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করলেও হঠাৎ করে দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। খুচরা বাজারে পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৬০ টাকা থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আদা ১৪০ টাকা থেকে বেড়ে ১৭০ টাকা, রসুন ১৩০ টাকা থেকে বেড়ে ১৫০ টাকা, সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ৫-১০ টাকা বেড়ে ৫ লিটারের বোতল ৫৫০-৫৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মশুর ডাল, চনার ডাল ও মুগডালসহ সবরকমের ডালের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। গুঁড়ো দুধের দাম মান ভেদে বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা। ছোলার দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫-১০ টাকা।
এছাড়া কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, মূলা ৩০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের দামও গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। রুই ২৫০ টাকা, কাতাল ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ টাকা, পাবদা ৪৫০ টাকা, ছোট ইলিশ ৪০০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০ টাকা, শিং ৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০-৪৫০ টাকা, পোয়া ৩৫০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দামও বেড়েছে। ফার্মের মুরগি ১২০ টাকা, সোনালিকা ২৪০-২৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৫০-৪০০ টাকা, গরুর গোশত হাড়সহ ৬৫০টাকা, হাড়ছাড়া ৭০০ টাকা, খাসির গোশত বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।