Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

করোনা আতঙ্কে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ মার্চ, ২০২০, ১২:০০ এএম


করোনাভাইরাসের আতংকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুদ করতে শুরু করেছেন ভোক্তারা। রাজধানীর বাজারগুলোতে বেচাকেনার ধুম পড়েছে। সব সময়ের বেচাকেনার চেয়ে গত তিনি চারদিন ধরে বাজারে বেচাকেনা বেড়ে গেছে দুই থেকে তিন গুণ। এর ফলে বেড়েছে অনেক পণ্যের দাম। অনেকে স্বাভাবিক বাজার করতে এসে পড়ছেন অস্বস্তিতে। এভাবে চললে সরবরাহে সংকট তৈরির আশংকা করছেন বিক্রেতারা।

গতকাল শাহজাহানপুর রেল গেইট বাজারে গিয়ে দেখা যায় নিত্যপণ্যের বাজারে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। ঈদের বাজারের চেয়েও সেখানে ক্রেতাদের ভিড়। যাঁর বাসায় মাসে ২০ কেজি চাল লাগে, দেখা যায় তিনি কিনছেন ৫০ কেজির এক বস্তা। বণিক স্টোরের এক বিক্রেতা জানান, গত ৫/৬ দিন থেকে শুরু হয়েছে এই পরিস্থিতি। দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ধরা পড়ার খবর প্রকাশের পর ক্রেতারা বাজারে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। গতকালও ছিল এই অবস্থা।

বাজারে প্রায় সব পণ্যের দামই বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে চালের। মানভেদে প্রতি কেজিতে দুই থেকে চার টাকা। ২৫ কেজির বস্তায় ১০০টাকা এবং ৫০ কেজির চালের বস্তায় ২০০টাকা বেড়েছে। বয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০টাকা বেড়েছে। গরু গোস্তের দামও বেড়েছে কেজিতে ৫০টাকা। খোলা সয়াবিন, পামতেল, ডাল, ডিম ও আলুর দামও কিছুটা বাড়তি। বিদেশি শিশুখাদ্য ও ডায়াপারের দামও বাড়তি বলে জানান ব্যবসায়ীরা। জীবাণুনাশকের দাম তো আগে থেকেই বেড়ে গেছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার এখথন দোকানে পাওয়া যাচ্ছে না। হ্যাক্সিসল যা ১২০টাকা ছিল সেটা কোথাও নেই। কোন দোকানে পাওয়া গেলে সেটা ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন যারা বিপুল পরিমাণে কিনে রাখছেন, তাদের কয়েক দিন পরই আফসোস করতে হতে পারে। পণ্যের ঘাটতি নেই। তাই কয়েক দিন পর চাপ কমে গেলে দাম কমে যেতে পারে। আর এখন যাঁরা বেশি কিনছেন, তারা এক-দেড় মাসে আর বাজারে আসবেন না। ফলে বাজারে চাহিদা কমবেই।

চালের দাম বাড়ল কেন, জানতে চাইলে শাহজাহানপুর বাজারের চালের দোকানের বিক্রেতা বলেন, হঠাৎ করে চালের বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়েছে। ক্রেতারা বেশি বেশি চাল কিনছেন এজন্য আড়তে চালের দাম বেড়ে গেছে। গত কয়েক দিনে প্রতি কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ