পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রবাসীরা যখনই আসেন, তাদেরকে সেলফ কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া আছে। কিন্তু অনেকে মানছেন না। প্রবাসী ভাই-বোনদেরকে অনুরোধ জানাবো, নিজের স্বার্থে, নিজের পরিবারের স্বার্থে এবং দেশের স্বার্থে কোয়ারেন্টাইনে থাকুন, নির্দেশনা মেনে চলুন।
তিনি বলেন, আমি নিজে প্রবাসে ছিলাম বহুদিন, নিজেকে ও নিজের পরিবারকে রক্ষা করার জন্য, নিজের আত্মীয়-স্বজনকে রক্ষা করার জন্য, দেশকে রক্ষা করার জন্য, প্রত্যেকের সতর্কতামূলক প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে, ১৫ দিন সেলফ কোয়ারেন্টাইনে থাকার তা সবার মেনে চলার প্রয়োজন।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে দেশের নাট্যাঙ্গনের প্রতিনিধিদের সাথে ‘করোনা পরিস্থিতিগত’ মতবিনিময় শেষে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। নাট্যকার মামুনুর রশীদের নেতৃত্বে ডিরেক্টরস গিল্ড, নাট্যকার সংঘ, প্রযোজক সমিতি ও অভিনয় শিল্পী সংঘের প্রতিনিধিবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
‘করোনা ভাইরাস’ নিয়ে কোনো ধরনের গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি দেশবাসীকে অনুরোধ জানাবো, কেউ দয়া করে গুজব ছড়াবেন না। যেমন একটি গুজব ছড়ানো হয়েছে যে, ইউনাইটেড হাসপাতালে চারজন ডাক্তার করোনায় আক্রান্ত, যেটি পুরোপুরি গুজব। এধরণের গুজব ছড়িয়ে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করলে সরকার আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বদ্ধপরিকর। সাংবাদিক ভাইদের অনুরোধ জানাবো কেউ এধরণের গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করলে আপনারাও তা প্রতিহত করবেন।
ড. হাছান জানান, বুধবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যিনি মৃত্যুবরণ করেছেন, তার মেয়ে আমেরিকায় থাকেন। মেয়ে এসে বাবার সাথে ছিলেন, চলে গেছেন, বাবা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। অর্থাৎ পরিবারের মধ্যে সংক্রমণটা হয়েছে পরিবারের সদস্যের মাধ্যমে। সুতরাং সতর্কতার বিষয়গুলো আমাদের অবশ্যই মেনে চলা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে সরকারের পক্ষ থেকে সমস্ত প্রস্তুতি ও পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এতদসত্তে¡ও আপনারা জানেন বাংলাদেশের এক কোটি মানুষ বিদেশে থাকে। কয়েক লক্ষ মানুষ ইতালী এবং স্পেনে থাকে। ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোতেও লাখ লাখ বাঙালি বসবাস করে। ইউরোপে যখন এই করোনা ভাইরাস ব্যাপকতা পায়, তখন আমাদের প্রবাসী বাঙালিরা অনেকেই দেশে চলে এসেছেন। মূলত: তাদের মাধ্যমেই আমাদের দেশে করোনাভাইরাস এসেছে।
নাট্যকার মামুনুর রশীদের নেতৃত্বে এস এ হক অলীক, ইরেশ জাকের, শহীদুজ্জামান সেলিম, সাজু মুন্তাসির, এজাজ মুন্না প্রমুখ সভায় অংশ নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।