Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীর কাছে জরুরী অবস্থা জারির আবেদন

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ মার্চ, ২০২০, ৫:১৩ পিএম

করোনার মহামারী রোধে জরুরী অবস্থা জারীর জন্য প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্ট বারের তিন আইনজীবী এ আবেদন জানান। তারা হলেন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, আসাদ উদ্দিন এবং জুবায়েদুর রহমান। তারা বলেন, সংবিধানের ১৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য মহামান্য প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। আবেদনে বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২ লাখ ১৯ হাজার ৮৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৮ হাজার ৯৬১ জন। এ ছাড়া চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮৫ হাজার ৬৭৩ জন। পরিস্থিতি মোকাবেলায় অনেক দেশেই জরুরি অবস্থা জারী করা হয়েছে। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ১৭ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন মর্মে সরকার তথ্য প্রকাশ করেছেন। করোনা আক্রান্ত হয়ে মারাও গেছেন একজন। আরো বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে এরই মধ্যে বিশ্বের ৭টি দেশে জরুরি অবস্থা জারী করা হয়েছে। দিন দিন করোনা ভাইরাস যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সংবিধানের ১৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে দেশে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করতে পারেন। কারণ করোনা এখন বৈশ্বিক মহামারী। এরই মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লক্ষাধিক মানুষ। আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৯ হাজার মারা গেছেন। এটি অতিমাত্রায় সংক্রমক ভাইরাস। এ ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে বিশ্ব। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, স্পেন, কানাডা ও বেলজিয়াম জাতীয় এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে জরুলী অবস্থা ঘোষণা করেছে। মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সব দেশ মসজিদে নামাজ আদায় বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলাদেশেও এই সংক্রমক ভাইরাসের কবল থেকে মুক্ত নয়। এ পর্যন্ত ১৭ জন করোনা আক্রান্ত রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং আক্রান্ত দের মধ্যে থেকে ১ জন মৃত্যু বরণ করেছে। হাজার হাজার মানুষকে কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরকার সবশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে এবং সব খেলা ধুলা স্থগিত করেছে। রিপোর্ট আসছে দেশে করোনা শনাক্তকারী কিটসের সংখ্যা মাত্র ১,৭৩২। এই আঠারো কোটি জনগোষ্ঠীর জন্য শনাক্তকারী কিটসের এই সংখ্যা খুবই অপ্রতুল। সরকার বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিচ্ছে। কিন্তু অনেকেই নিয়ম না মেনে জনসম্মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে। রিপোর্ট আসছে, নিয়ম না মানার কারণে এই ভাইরাস এখন কমিউনিটিতে সংক্রমিত হচ্ছে। হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। কিছু কিছু এলাকায় করোনা আতঙ্কে স্থানীয় লোকজন বিদেশফেরত লোকদের বাড়িঘর ঘেরাও করছে। বিদেশ ফেরত ৩০ জন বিচারক এবং ৪ জন ডাক্তারকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে। প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে সভা, সমাবেশ ও মাহফিল অব্যাহত আছে। করোনা আতঙ্ক কাজে লাগিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। ফলে বাজারে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। দেশ ও জাতি একটি আভ্যন্তরীন শৃঙ্খলাহীনতা এবং সংকটের দিকে ধাবিত হতে চলেছে।
আবেদনে আরও বলা হয়, ‘বিদেশী ক্রেতারা পোশাক খাতের ক্রয় আদেশ বাতিল করছে । অর্থনীতির সূচক নিম্নমুখী হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের হিউম্যান বায়ো সিকিউরিটি এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ড চরম হুমকির সম্মুখিন। এ পরিস্থিতিতে জরুরী অবস্থা জারী করা হলে দেশ ও জাতি আসন্ন বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মহামান্য প্রেসিডেন্ট পরবর্তী ঘোষণার মাধ্যমে ১৪১ ক(২)(ক) এর অধীনে জরুরী অবস্থা প্রত্যাহার করা যেতে পারে।



 

Show all comments
  • HM Sarour Hossien Siad ১৯ মার্চ, ২০২০, ৬:০৪ পিএম says : 0
    Yes we need emergency at this moment in our country. Secession going on vary vary bad position . already many many people are under effected but they don't known yet.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ