পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হোম কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে অ্যাকশনে যাবে সরকার। বুধবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে করোনাভাইরাস মোকাবেলা ও প্রস্তুতি নিয়ে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় তিনটি আলাদা কমিটি গঠন এবং লকডাউন বা শাটডাউন নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। সংক্রমণ পরিস্থিতি স্টেজ-৩ ছাড়া লকডাউনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে ওই বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং দপ্তরের সচিব ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, হোম কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করতে অ্যাকশনে যাবে সরকার। এতে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জরিমানাও করা হবে। এছাড়া জনগণের মধ্যে জনসচেতনতা বাড়াতে প্রচার চালাবে সরকার। সংবাদ মাধ্যম, সোস্যাল মিডিয়া ও মোবাইলে এসএমএস দেয়া ছাড়াও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সারা দেশের বিভিন্ন মসজিদ-মাদরাসায় জনসচেতনতামূলক বার্তা পৌঁছে দেয়া হবে।
বৈঠক সূত্র জানায়, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জাতীয় কমিটির নিচে তিনটি কমিটি গঠন করবে সরকার। একটি কমিটি যাবতীয় স্বাস্থ্যসেবা বিষয়গুলোকে নিশ্চিত করবে। এ কমিটি সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট জনবল দিয়ে গঠন করা হবে। বিভিন্ন জেলায় আইসোলেশন ইউনিট গঠন, আইসোলেশন ইউনিটগুলোর পর্যাপ্ত সরঞ্জাম এবং জনগণের সার্বিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবে এ কমিটি। দ্বিতীয় কমিটি হবে হোম কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করা নিয়ে। এতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশসহ স্থানীয় সরকারগুলো সম্পৃক্ত থাকবে। বিদেশ থেকে আগতের হোম কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের পরিবারের কারো আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেলে পরিবারের সেই সদস্যেরও কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করবে এ কমিটি।
হোম কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করার বিষয়টি উঠে আসে আলোচনায়। প্রতিবেশী ও পাড়া-মহল্লার জনসাধারণের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করা হবে। সেই সঙ্গে নির্দেশনা অমান্যে জরিমানারও বিধানের বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। আর তৃতীয় কমিটি বিদেশ থেকে আগতদের বিষয়টি দেখার পাশাপাশি কূটনৈতিক সেবা নিশ্চিত করবে। এ কমিটিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
লকডাউন বা শাটডাউন নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। করোনাভাইরাস সংকটকে তিনটি স্টেজে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম স্টেজ হলো বিদেশ থেকে আগতদের করোনাভাইরাস আক্রান্ত। দ্বিতীয় স্টেজ হিসেবে বিদেশ থেকে আগতদের মাধ্যমে পরিবারের মানুষদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়া। আর তৃতীয় স্টেজ হলো স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মাধ্যমে মহামারী আকারে এ রোগ ছড়িয়ে পড়া। বাংলাদেশ স্টেজ-৩-এর বেলায় লকডাউন বা শাটডাউনের মতো সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
এদিকে বুধবার রাতে এক অফিস আদেশে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠন এবং গঠিত কমিটিকে সার্বিক সহায়তা প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।