পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যে ঠাসা দোকানপাট। গোডাউন আড়ত ভর্তি মালামাল। কোথাও খাদ্য ও নিত্যপণ্যের ঘাটতি নেই। বরং বেশিরভাগ বাড়তি মজুদ। বন্দরে আমদানি পণ্যের চালান খালাস চলছে। সবকিছু স্বাভাবিক হলেও বাজারের মতিগতি এখন অস্বাভাবিক। এর পেছনে মূল কারণ করোনাভাইরাসের প্রভাব। করোনায় ভয়-আতঙ্ক।
আবার অজুহাতও করোনার। শহর-নগর-শহরতলী এমনকি গ্রামে-গঞ্জের হাট-বাজারে পাগলের মতো ছুটছেন অনেক ক্রেতা। কেনাবেচার হিড়িক পড়ে গেছে। একযোগে বেশিসংখ্যক মানুষ হন্যে হয়ে কেনাকাটায়। এ কারণে ধীরে ধীরে বাড়ছে হরেক জিনিসপত্রের দাম। এভাবেই করোনায় মূল্যবৃদ্ধির হাওয়া বইছে বাজারময়। ইতোমধ্যে বেশকিছু নিত্যপণ্যের আমদানি মূল্যের তুলনায় বিক্রয় মূল্য অযৌক্তিক হারেই বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতা অনেকেরই সঙ্গে কথা বলি। সবার মনে অজানা ভয়-শঙ্কা। ‘যদি’ দাম আরও বেড়ে যায়! ‘যদি’ এটা-সেটা পরে ঠিকমতো পাওয়া না যায়! ‘যদি’ পরিবারের কেউ করোনায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতাল কিংবা নিজ বাড়িঘরে কোয়ারেন্টাইনে বন্দী থাকতে হয়! আগামী ২৭ মার্চ চট্টগ্রাম নগর বাগমনিরামের জহির-মুন্নী দম্পতি কন্যা তানির বিয়ে। বিয়ের কেনাকাটা ছাড়াও আগামী দুয়েক মাসে পরিবার-পরিজন ও মেহমান সামলানোর দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়ে দিনে-রাতে বাজারে দৌঁড়ে হয়রান। জানালেন, ‘পুরো ঘরটা দেখলে এখন গোডাউন মনে হয়। উপায় কী’? কিন্তু এসব ক্রেতাদের ‘যদি’ এবং ভয়-আশঙ্কার জবাব কে দেবেন? কীভাবে থামবে অস্থির হিড়িক! অতি কেনাকাটায় অবাক খুচরা দোকানিরাও। তবে এই সুবাদে উচিৎ মূল্যের সাথে টুপাইস পকেটে ভরছেন। সারাদেশে যার বাড়তি অঙ্ক দৈনিক যোগফল কোটি কোটি টাকা।
মাহে রমজানের আরও বাকি ৩৭ দিন। পবিত্র শবে বরাত তিন সপ্তাহ পর। অথচ এ বছর আগাম টালমাটাল হয়ে উঠছে নিত্য, ভোগ্য ও খাদ্যপণ্যের বাজার। রোজার মাস-পূর্ববর্তী বাজারদরের কী পরিস্থিতি? এক্ষেত্রে বাজারের উৎস থেকে মাঠপর্যায়ের প্রকৃত এবং নিরপেক্ষ চালচিত্র তুলে ধরা হলো দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন কর্তৃক প্রদত্ত গাইডলাইন অনুসারে পরিবেশিত এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে সর্বশেষ গতকাল পর্যন্ত এ বিষয়ে নিবিড় অনুসন্ধান ও পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। বক্তব্য ও অভিমত জানতে চাই সরকারের মন্ত্রী-এমপিসহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তাবৃন্দ, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, আমদানি-রফতানিকারক এবং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের।
অনুসন্ধানে বাস্তব অবস্থাটা হচ্ছে, রোজায় অধিক প্রয়োজনীয় সব নিত্যপণ্য চাহিদার সমানে সমান এমনকি কোনো কোনোটি চাহিদারও বেশি পরিমানে আগেই বাজারজাত হয়ে আছে। এরমধ্যে ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, ডাল, গুঁড়োদুধ, খেঁজুর, পেঁয়াজ-রসুন, আদা, শুকনো মরিচ-মসলা, ফলমূল প্রভৃতি। তবে এখন চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে জাহাজের আসা-যাওয়া কমে গেছে। কন্টেইনার ও জাহাজ জট নেই। কাস্টমসে আমদানির ডকুমেন্ট (বিল অব এন্ট্রি ইত্যাদি) দাখিলের হার স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ২০ ভাগ কম। এরফলে আমদানি মালামাল খালাস, ডেলিভারি পরিবহন কমতির দিকে। করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক সঙ্কটের ধাক্কা পড়েছে বন্দর-শিপিং-কাস্টমসে। দেশের ঐতিহ্যবাহী সওদাগরী পাড়া চাক্তাই খাতুনগঞ্জ ও বাণিজ্যিক নগরীর নাভি আগ্রাবাদে মন্দাদশা। আবার রোজায় বেশি চাহিদার ৯টি নিত্যপণ্য আমদানিতে ১ এপ্রিল থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ব্যাংক সুদের হার ৯ শতাংশ, এলসি মার্জিন সহজ ঘোষিত হয়েছে। এরফলে আরও রাজস্ব সুবিধার আশায় অনেক ব্যবসায়ী বন্দরের পণ্য কম খালাস করছেন।
তবে যেহেতু কারোনার ভয়-আতঙ্কে অতিউৎসাহী অনেকে একযোগে আগেভাগে নিত্যপণ্য, খাদ্যসামগ্রী ও বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনাকাটায় ছুটছে সেহেতু করোনাকে পুঁজি করেই বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরির সুযোগ খুঁজছে মজুদদার মুনাফাখোর সিন্ডিকেট। চক্রটি মালামাল বিভিন্ন স্থানে দূরের গুদামে এমনকি কিছু কল-কারখানার গোডাউনে সরিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা করছে এমন আলামত পাওয়া গেছে।
পর্যাপ্ত আমদানি ও সরবরাহ থাকা সত্তে¡ও বাজারে চিনি, ছোলা, ভোজ্যতেল, তরলদুধ, গুঁড়োদুধ, মসুরসহ সবরকম ডাল, খেজুর, আদা-রসুনের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। যেমন- আমদানি পণ্যের শুল্ক-কর দিয়ে খালাসের পর (সিএন্ডএফ) গুদামভাড়া মিলিয়ে মূল্য দাঁড়ায় প্রতিকেজি গুঁড়োদুধ ৩৩০ টাকা, ছোলা ৫৮ টাকা, মসুর ডাল ৪২ টাকা, খেজুর ৬৬ থেকে ১৩৫ টাকা, চিনি ৫৩ টাকা, ভোজ্যতেল লিটার ৮২ টাকা, রসুন ৮৩ টাকা, আদা ৮৬ টাকা। অথচ গতকালের খুচরা বাজারে সেই গুঁড়োদুধ বিক্রি হয় বিভিন্ন ব্রান্ড ভেদে প্রতিকেজি ৪২০ থেকে ৭শ’৫০ টাকা, ছোলা ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, মসুর ডাল দেশি ১২০ ও মোটা ৬৫ টাকা, খেসারি ডাল ৫০ থেকে ৭০ টাকা, ছোলার ডাল ৭৫ টাকা, মটর ডাল ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়।
রোজার অনেক আগেই খেজুর ১৫০, ২৪০, ৩শ’, ৫শ’ এমনকি হাজার টাকা দামি। চিনি ৬৬ থেকে ৭০ টাকা, সয়াবিন তেল এক লিটার ১০৫ থেকে ১১০ টাকা ও ৫ লিটার প্যাক ৪৭০ থেকে ৫২৫ টাকা, রসুন ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, আদা ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। পেঁয়াজের ছড়াছড়ি। তবুও কেজি সর্বনিম্ন ৪০-৪৫ থেকে ৬৫-৮২ টাকা যথেচ্ছ মূল্য হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। এমনকি করোনার ধাক্কায় মিল্কভিটা সহ সব ব্রান্ডের তরলদুধের দাম গত ৫ দিনে বেড়েছে লিটারে ৫ থেকে ৮ টাকা। একই অজুহাতে ফলমূল, ওষুধ, রোগীর পথ্য, সাবান, হ্যান্ডওয়াশ, টিস্যুপেপার, সেনিটাইজার, মাস্ক থেকে শুরু করে আইটি সামগ্রীর দাম বাড়াচ্ছে যে যার ইচ্ছেমতো।
এদিকে রোজায় বেশি প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য পর্যাপ্ত আমদানি হয়েছে। কিছু কিছু পণ্য গত বছরের তুলনায় বেশি খালাস হয়েছে। গত ডিসেম্বর’১৯ইং থেকে গেল ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন মাসে দুই লাখ ৮৩ হাজার ৭৪১ মেট্রিক টন চিনি, পাঁচ লাখ ২৭ হাজার ৪৯৬ টন সয়াবিন তেল, দুই লাখ এক হাজার ৪১০ টন ছোলা, ১৮ হাজার ৮৭২ টন খেজুর, এক লাখ এক হাজার ৬৩৮ টন ডাল, দুই লাখ ৯২ হাজার ৮৩ মেট্রিক টন রসুন এবং ২৯ হাজার ৬০৪ মেট্রিক টন গুঁড়োদুধ আমদানি হয়েছে। আগের অর্থবছরে একই সময়ে দুই হাজার ৯৪০ টন চিনি, ছয় লাখ ১৯ হাজার ৬৫৪ টন ভোজ্যতেল, এক লাখ ৫২ হাজার ৯২৫ টন ছোলা, ১৭ হাজার ১৫৬ টন খেজুর, ৫১ হাজার ৮২৮ টন ডাল, ১০ হাজার ৭৬৩ টন রসুন এবং ৩৩ হাজার সাত টন গুঁড়োদুধ আমদানি হয়।
চলতি বছর ২০২০ সালের শুরু থেকে গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত ৮৫ হাজার ৩৮৮ টন ছোলা, ১৭ হাজার ১১১ মেট্রিক টন খেজুর, ৮৮ হাজার ৯৪৪ মেট্রিক টন মসুর ডাল, ২৪ হাজার ৭৯৪ মেট্রিক টন চিনি এবং ১৪ হাজার ৬১ মেট্রিক টন গুঁড়োদুধ আমদানি হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে এসব পণ্যের দাম আগে থেকেই নিম্নমুখী। তাছাড়া ব্যবসায়ীরা পাচ্ছেন এসব পণ্যের ওপর সরকারের দেয়া শূণ্যশুল্ক কিংবা নামমাত্র রাজস্ব সুবিধা। অবশ্য করোনা পরিস্থিতি এবং এলসি মার্জিন হ্রাসসহ আরো শুল্ক-কর সুবিধা মাথায় রেখে একশ্রেণির আমদানিকারক-ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম বন্দরভিত্তিক কাস্টমসে ডকুমেন্ট দাখিল কমিয়ে দিচ্ছেন। এরফলে মালামাল খালাস ২০ ভাগ হ্রাস পেয়েছে। তবে নিত্যপণ্যের প্রধান পাইকারি ও ইন্ডেন্ট বাজার খাতুনগঞ্জে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক। দরও স্থিতিশীল। করোনার পুঁজিতে পকেট কাটা হচ্ছে খুচরা দোকানপাটে।
রোজার নিত্যপণ্য খালাস অগ্রাধিকার -নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে রমজানের প্রয়োজনীয় আমদানি নিত্যপণ্য খালাসের বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে এবং এটাই সরকারের অবস্থান। একথা দৈনিক ইনকিলাবকে গতকাল জানান নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি। খালাস এখন কমতির দিকে থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রভাব রয়েছে। তবে এর অনেক আগে থেকেই সমন্বিত প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম বন্দরে ও বহির্নোঙরে জাহাজ বসে থাকতে হয়না। কন্টেইনারের জটও নেই। বন্দরে বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির স্ক্যানার মেশিন দিয়ে পণ্যসামগ্রী স্ক্যানিং করা হচ্ছে। তবে কেউ কেউ ভিআইপি সার্ভিস পেতে তাড়াহুড়া চান। এক্ষেত্রে খালাসে একটু সময় যাবে, ধৈর্য্য দরকার। নিয়ম-সিস্টেম তো সবার জন্য সমানভাবেই প্রজোয্য।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে অর্থনীতিতে বিপর্যয় তো আসবে। আতঙ্কের সুযোগ নিয়ে কেউ যাতে বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করতে না পারে এরজন্য সরকারকে আগেভাগেই খুব সাবধানী হতে হবে। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিগুলো ঠিকঠাক রাখা চাই।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম ইনকিলাবকে জানান, রোজার পণ্যের কোনো সঙ্কট নেই। পর্যাপ্ত আমদানি হয়েছে। তবে চলতি মার্চ মাসে সার্বিক আমদানির পরিমান ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ কমে গেছে। কাস্টমসে বিল অব এন্টি দাখিলের হারও কমেছে। ব্যাংক ডকুমেন্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না পাওয়ায় আমদানিকারকরা বিল অব এন্টি জমা দিতে পারছেন না। করোনায় চীনের বেশিরভাগ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা ঘরে বসেই অফিস করার কারণে এই জটিলতা। তবে শিগগির এ সমস্যা কেটে যাবে। আমদানি মালামাল শুস্কায়ন ও বন্দর থেকে খালাসে কোনো সমস্যা নেই।
চট্টগ্রাম বন্দর-শিপিং সূত্রে জানা যায়, করোনার ধাক্কায় জানুয়ারির তুলনায় গেল ফেব্রুয়ারিতে আমদানি খোলা ও কন্টেইনারভর্তি পণ্য প্রায় ১৫ ভাগ কম এসেছে। যার পরিমান ৮৮ লাখ মেট্রিক টন। একই মন্দার ধারা বজায় রয়েছে চলতি মার্চেও।
চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, এ বছর রোজার নিত্যপণ্য চাহিদা অনুপাতে সরবরাহ স্থিতিশীল রয়েছে। করোনার প্রভাবে বৈশ্বিক মন্দায় দেশের ব্যবসায়ীরাও হতাশ। করোনা এবং রমজান মিলিয়ে অহেতুক আতঙ্কের পেছনে দৌঁড়ে ক্রেতারাই কেন খুচরা কিছু দোকানিকে মূল্যবৃদ্ধির সুযোগ দিচ্ছেন? বন্দরে আনীত মালামাল খালাসে কর্তৃপক্ষের চিঠি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি তাদের রুটিন। তবে বন্দরে জট নেই।
চেম্বার পরিচালক এ কে এম আকতার হোসেন বলেন, আমদানি হলেই বন্দর থেকে রোজার পণ্য খালাস অব্যাহত রয়েছে। নেতিবাচক অবস্থা নেই। খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ছগির আহমদ বলেন, ভোগ্যপণ্যে কোন ঘাটতি নেই। রোজায় দাম স্বাভাবিক থাকবে। চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ আড়তদার ও সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি সোলায়মান বাদশা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে বেশিরভাগ ভোগ্যপণ্যের দাম নিম্নমুখী। দেশের বাজারে এর প্রভাব পড়ছে। কারসাজি না হলে বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কোন কারণ নেই।
এদিকে কারোনার ভয়-অজুহাতে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধে বাজার মনিটরিং প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, কারোনাভাইরাস মনিটরিং নাকি বাজার? বর্তমান অবস্থায় কোনটা করবো? অনর্থক আতঙ্কের বশে অতিবেশি কেনাকাটা ও মূল্যবৃদ্ধি থেকে সবাইকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেন, আমরা এসব পর্যবেক্ষণ করছি। সরকারের নির্দেশনা পেলেই বাজার মনিটরিং শুরু করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।