পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্বব্যাপি মহামারী ঘোষিত নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম এক বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭০ বছর বয়সী এই নারীর মৃত্যু হয়। তিনি বিদেশ থেকে আসা এক ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন। একই সঙ্গে করোনা সংক্রমণ ছাড়াও ডায়াবেটিক, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনিতে সমস্যা ও হার্টে রিং পরানোসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন তিনি। এদিকে নতুন ৪ জন সহ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সংখ্যা বেড়ে ১৪ জনে দাড়িয়েছে। তাদের মধ্যে ১ জন মহিলা ও ৩ জন পুরুষ। এদের মধ্যে ১ জন আগের আক্রান্ত ইতালি ফেরত পরিবারের সদস্য। বাকীদের ২ জন ইতালি ফেরত প্রবাসী এবং ১ জন কুয়েত ফেরত প্রবাসী। ১৬ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন আরও ৪২ জন। সারাদেশে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ৬ হাজার ৩৯৩ জন।
এদিকে সারাদেশে কোয়ারেন্টাইনে থাকার সংখ্যা বেড়ে ৬ হাজার ৩১৫ জনে দাড়িয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা বিভাগে দুই হাজার ৬৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৬৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে এক হাজার ৯৫৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬৯ জন, রংপুরে ১০৯ জন, খুলনায় ৬৪৩ জন, বরিশালে ১৩৪ জন এবং সিলেট বিভাগে ৬৩৫ জন। গত ২৪ ঘন্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮ট) কোয়ারেন্টাইনে গেছেন এক হাজার ৫৫৭ জন। সর্বোচ্চ কোয়ারেন্টাইনে আছে চাঁদপুরে এক হাজার ৭৪ জন রোগী। এদিকে বর্তমান করোনা দুর্যোগে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতোমধ্যে ইউনাইটেড হসপিটাল মুন্সিগঞ্জে ২৫ শয্যা বিশিষ্ট একটি আইসোলেশন ইউনিট স্থাপন করেছে। যদিও এ্যাপোলো, স্কয়ার, আসগর আলীসহ বড় বড় বেসরকারি হাসপাতালগুলো এখনো এ ধরনের উদ্যোগ নেয়নি বলে জানা গেছে।
প্রস্তুত হচ্ছে আরও পাঁচটি পরীক্ষা কেন্দ্র : স্বাস্থ্য সেবা অধিধফতরে প্রতিষ্ঠত সমন্বিত কন্ট্রোল রুমের একটি সূত্র জানিয়েছে, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশংকায় এই ভাইরাস সনাক্তে নতুন করে আরও ৫টি ল্যাব প্রস্তুত করা হচ্ছে। এগুলো হলো রাজধানীল মহাখালীর আইপিএইচ লাব, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাস, কক্সবাজারে এবং সিলেট।
দ্রুতই বিভাগীয় পর্যায়ে করোনা ইউনিট : স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, খুব দ্রুতই দেশের ৮ বিভাগেই নতুন করোনা ইউনিট স্থাপন করা হবে। ইউনিটগুলো স্থাপনের ফলে প্রতিটি বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের তথ্য, চিকিৎসা সুবিধাসহ সব ধরনের মনিটরিং ব্যবস্থা সহজ ও জোড়দার হবে। গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত দেশ থেকে যাত্রীরা যেন বাংলাদেশে এই মুহূর্তে না আসে সে ব্যাপারে কিছু নির্দেশনা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। করোনাভাইরাসের কারণে বেশি মানুষ কোয়ারেন্টাইনে রাখার প্রয়োজন হলে ঢাকার কুয়েত-মৈত্রি হাসপাতাল, কর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালসহ কিছু হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি টুঙ্গীস্থ বিশ্ব ইজতেমা ময়দান প্রস্তুতে নির্দেশনা দেন তিনি। ঢাকার বাইরে বিদেশ ফেরত যাত্রীরা কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম মানছে না প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশ ফেরত প্রতিটি ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টাইনে ১৪ দিন থাকার সকল নিয়ম মেনে চলতে হবে। নিয়ম না মানলে দেশের সংক্রমক রোগের নির্ধারিত আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, গোয়েন্দা শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জোরালো ভ‚মিকা পালনের নির্দেশ দেন।
সভায় দেশের চিকিৎসকদের প্রটেকশনের জন্য বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ৬ হাজার বিশেষ গাউন প্রদানের আশ্বাস দেন। সভায় উপস্থিত আইইডিসিআর’র পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি সভায় সামাজিক মাধ্যমে করোনা বিষয়ে অবগত হতে নতুন একটি ইমেইল আইডি ও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলার কথা জানান। তথ্য মতে আইইডিসিআর-এর ফেসবুক অ্যাকাউন্টস হচ্ছে-রবফপৎ,ঈঙঠওউ-১৯ ঈড়হঃৎড়ষ জড়ড়স, এছাড়া সরাসরি যোগাযোগের জন্য ১৭টি হটলাইন খোলা হয়েছে। যার নম্বরগুলো হচ্ছে- ৩৩৩, ১৬২৬৩, ০১৫৫০০৬৪৯০১, ০১৫৫০০৬৪৯০২, ০১৫৫০০৬৪৯০৩, ০১৫৫০০৬৪৯০৪, ০১৫৫০০৬৪৯০৫, ০১৪০১১৮৪৫৫১, ০১৪০১১৮৪৫৫৪, ০১৪০১১৮৪৫৫৫, ০১৪০১১৮৪৫৫৬, ০১৪০১১৮৪৫৫৯, ০১৪০১১৮৪৫৬০, ০১৪০১১৮৪৫৬৩, ০১৪০১১৮৪৫৬৮, ০১৯২৭৭১১৭৮৪, ০১৯২৭৭১১৭৮৫, ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯৩৭১১০০১১।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, অতিরিক্ত সচিব মো. সিরাজুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।
আইইডিসিআর’র ব্রিফিং: রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইউনস্টিটিটের (আইইডিসিআর) পরিচালক প্রফেসর ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানিয়েছেন, দেশে আরও চারজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন পুরুষ ও তিনজন নারী। তাদের মধ্যে দুজন ইতালি ফেরত ও একজন কুয়েত থেকে এসেছেন। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে। গতকাল প্রথমবারের মতো করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে একজন বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স ৭০ বছর। তিনি করোনা একজন রোগীর সংস্পর্শে এসে মৃত্যুবরণ করেছেন। এছাড়া তিনি ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা ও জটিল কিডনি রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। নিয়মানুযায়ী তাকে কবর দেয়া হবে। রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত আইইডিসিআর’র সম্মেলন কক্ষে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব তথ্য জানান।
প্রফেসর ফ্লোরা বলেছেন, করোনাভাইরাস নিয়ে আমরা কোনো তথ্য গোপন করি না, গোপন করার প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের চেষ্টা চলছে। জ্বর, হাঁচি, কাশি নিয়ে যারা হাসপাতালে যাচ্ছেন, তাদের কোনো ধরনের তথ্য গোপন না করার অনুরোধ জানিয়ে প্রফেসর ফ্লোরা বলেন, তথ্য-উপাত্ত গোপন করলে তা সামাজিকভাবে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। ইমিগ্রেশন থেকে প্রবাসফেরত যাত্রীদের নাম ও ঠিকানা পাসপোর্টে দেয়া তথ্য থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে অনেকেই পাসপোর্টের ঠিকানায় তাদের পাওয়া যাচ্ছেন না। যিনি প্রবাস থেকে এসেছেন তাকে ও তার পরিবার এবং পাড়া-প্রতিবেশীকে সচেতন ও দায়িত্বশীল হয়ে সঠিক তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণ ছাড়া করোনার সংক্রমণ ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়বে। প্রফেসর ফ্লোরা বলেন, সামান্য হাঁচি, কাশি ও জ্বর হলে হাসপাতালে আসার প্রয়োজন নেই। তবে করোনার লক্ষণ ও উপসর্গ তীব্র হলে হাসপাতালে আসতে হবে। চিকিৎসকরা লক্ষণ ও উপসর্গের পাশাপাি রোগতাত্তি¡ক সম্পর্ক বিশ্লেষণ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নিজে প্রবাসফেরত হলে কারও সংস্পর্শে এসেছেন কি-না, তা জেনে সঠিক পরামর্শ দেবেন। প্রয়োজন হলে নমুনা পরীক্ষা করবেন।
ঢাকা মেডিকেলের ৪ চিকিৎসক ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’: নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসায় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চার চিকিৎসক ও নার্সকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর খান মো. আবুল কালাম আজাদ গতকাল এ তথ্য নিশ্চিত করেণ। তিনি বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া চার জন রোগীর শরীরে নতুন করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। তাদের সংস্পর্শে যাওয়া চারজন চিকিৎসককে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জন মেডিসিন বিভাগের ও দুজন নেফ্রোলজি বিভাগের চিকিৎসক। প্রফেসর আজাদ বলেন, সর্দি-কাশি নিয়ে হাসপাতালে রোগী আসলে চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। আর সাধারণ সর্দি-কাশি আর কে নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সেটি পরীক্ষা না করে বোঝার উপায় নেই।
সেবা বঞ্চিত সাধারণ রোগী : করোনা আতঙ্কে রোগীকে চিকিৎসা না দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছে বারডেম হাসপাতাল। রাজধানীর মীরপুরের বাসিন্দা এ্যাজমা রোগী খোদেজা বেগম (৮০) দীর্ঘ দিন বারডেমে নিয়মিত চিকিৎসা করতেন । সম্প্রতি তিনি বারডেম তিনবার ভর্তি ছিলেন। খোদেজা বেগমের ময়ে সুফিয়া বেগম বলেন, তার মা সম্প্রতি ওমরাহ পালন করে আসার পরে তার শ্বাসকষ্ট বাড়ে। চিকিৎসার জন্য গত মঙ্গলবার বারডেমে মাকে ভর্তি করতে নিয়ে যান। কিন্তু বারডেম কর্তৃপক্ষ তার করোনা হয়েছে বলে চিকিৎসা না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়। পরে খোদেজা বেগমকে নিয়ে কুর্মিটোলা হাসপাতালে গেলে বিভিন্ন পরীক্ষা করে তিনি করোনা আক্রান্ত নন। এরপর বুধবার পুণরয় বারডেম হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক মো. সেলিম জানিয়ে দেন রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনিস্টিউটিউট-আইইডিসিআর থেকে যদি রিপোর্ট দেয় তিনি করোনা আক্রান্ত নন তবেই চিকিৎসা হবে। সুফিয়া জানান আইইডিসিআর-এ খোদেজা বিবির পরীক্ষা হয়েছে। দুদিন পরে রির্পোট দিবে বলে জানিয়েছে।
চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি : করোনাভাইরাস মোকাবেলায় দেশের সব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি রাইটস এন্ড রেসপন্সিবিলিটি (এফডিআরএস)। সংগঠনের চেয়ারম্যান ড. আবুল হাসানাৎ মিল্টন এবং মহাসচিব ডা. শেখ আব্দুলাহ আল মামুন জানান, কয়েকদিন আগে উপজেলা হাসপাতালে কর্মরত একজন ডাক্তার খুব ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে জানালেন, নভেল করোনাভাইরাস নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। প্রতিদিন বহির্বিভাগে অনেক জ্বরের রোগী দেখতে হয়। এরমধ্যে কারো শরীরে করোনাভাইরাস আছে কি না তা নিশ্চিত নয়। নিজেদের প্রতিরক্ষায় মাস্ক, গ্লাভস বা কোন পোশাকও নাই। ঢাকা থেকে একজন ডাক্তার জানালেন, ডাক্তারদের কাছে জ্বরসহ নিউমোনিয়ার রোগী বাড়ছে। রোগের ল্যাবরেটরি টেস্ট করার সুযোগও সীমিত। হাতে গোনা কয়েকটা ল্যাবরেটরিতে এই কনফার্মেটরি টেস্ট করা যায়। সরকার যতই দু-তিনজনের হিসেব দিক না কেন, পর্যাপ্ত টেস্ট করার সুযোগ না থাকার কারণে দেশে নতুন করোনাভাইরাসের প্রকৃত অবস্থা জানা অম্ভব।
এই দুই চিকিৎসক নেতা বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবে সবকিছু বন্ধ করা হলেও হাসপাতাল বন্ধ করা যাবে না। ডাক্তারসহ স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী সকলকেই হাসপাতালে রোগী দেখতেই হবে। জনস্বার্থে সরকারকে দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সাথেই ভাবতে হবে। বাংলাদেশে করোনা রোগীদের চিকিৎসার্থে একটা প্রটোকল তৈরী করে অবিলম্বে সকল ডাক্তারের কাছে পৌছানোর ব্যবস্থা করতে হবে। স্বাস্থ্যখাতের বিদ্যমান বাস্তবতায় সন্দেহজনক রোগী (সাসপেক্ট কেস) আর নিশ্চিত রোগী (কনফার্মড কেস) কিভাবে চিহ্নিত করবেন সে ব্যাপারে গাইডলাইন থাকতে হবে। এসব রোগীদের চিকিৎসার্থে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যে গাইডলাইন তৈরী করেছে। এই গাইডলাইনের আলোকে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের জন্য একটা ট্রিটমেন্ট প্রোটোকল তৈরী সময়ের দাবি।
তারা বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় মাঠ পর্যায়ে ডাক্তারসহ সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার ব্যাপারটিতে পর্যাপ্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। এভাবে চললে, দেশে রোগীর সংখ্যা বাড়লে ডাক্তারসহ সকল স্বাস্থ্যকর্মীরা হুমকির মুখে পড়বে। ডাক্তারসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা সুস্থ না থাকলে রোগীদের চিকিৎসা প্রদান মারাত্মভাবে ব্যাহত হবে। করোনা রোগীদের চিকিৎসার দায়িত্বে নিয়োজিত ডাক্তারসহ সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় বিশেষ পোষাক গ্লাভস, চোখ ঢাকার জন্য গগলস সরবরাহ করতে হবে।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।