পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস নির্ণয়ে নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র। সংস্থাটির বক্তব্য ৩০০ টাকা খরচে মাত্র ১৫ মিনিটে রোগীর দেহে করোনাভাইরাস রয়েছে কিনা তা শনাক্ত সম্ভব। এ দাবি করেছেন গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি গতকাল সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন।
করোনাভাইরাস সনাক্তের নতুন এ পদ্ধতির নাম র্যপিড ডট বøট। এর মাধ্যমে মাত্র ৫ থেকে ১৫ মিনিটে কোনো ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস আছে কিনা তা জানা যাবে। এতে খরচ পড়বে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকার মতো। সরকার যদি এর ওপর ট্যাক্স-ভ্যাট আরোপ না করে তাহলে গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বাজারজাত করতে পারব বলে জানানো হয়। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, এই পদ্ধতিটি উদ্ভাবন করেছেন গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রধান বিজ্ঞানী ডা. বিজন কুমার শীল। ২০০৩ সালে সিঙ্গাপুরে সার্চ সনাক্তের পদ্ধতি আবিস্কার করেন; এর পেটেন্ট পরবর্তীতে চীন কিনে নেয়।
গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র সুত্রে জানা যায়, বর্তমানে প্রচলিত করোনা কিটের মাধ্যমে যে পদ্ধতিতে করোনা ভাইরাস সনাক্ত করা হয় তার মূল্য এক হাজার ডলার (৮৫ হাজার টাকা)। বাংলাদেশে বর্তমানে মাত্র ২৬৮টি করোনাভাইরাস সনাক্তের কিট অবশিষ্ট রয়েছে। অথচ বিশ্বের দেশে দেশে অরোনায় মানুষের মৃত্যুর খবর পেয়ে সারাদেশের মানুষ ভীত সন্তস্ত্র। সরকার যদি এ ভাইরাস সনাক্ত করতেই না পারে তাহলে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা হবে কি করে? গতকাল ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, ওষুধ প্রশাসনের অজ্ঞতা, অদক্ষতা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও জরুরি অবস্থা না বোঝার জন্য এ পদ্ধতি জনগণের জন্য সরবরাহ করতে পারছেন না। এ উদ্ভাবনে দুই কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, এখন সবকিছু নির্ভর করছে সরকারের মর্জির ওপর। সরকার অনুমতি দিলে এ পদ্ধতির মাধ্যমে এক মাসে এক লাখ মানুষের কোভিড-১৯ সনাক্ত করা যেতে পারে। ডেঙ্গু টেস্টের যেমন মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল সরকার করোনা টেস্টেরও যদি মূল্য নির্ধারণ করে দেয় তাহলে জনগণ স্বল্প মূল্যে সেবা পাবে। সরকার দ্রুত এ বিষয়ে আগ্রহ দেখাবে বলেও তিনি আশাপ্রকাশ করেন। এবং বাইরের তিন দেশ পেটেন্ট কিনতে আগ্রহী বলে জানান তিনি।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ ছাড়া এ ধরণের অনুমোদন দেয়া সম্ভব নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।