পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বিমান পরিবহন সংস্থাগুলো। বিশ্বজুড়ে ফ্লাইট বাতিল ও একের পর এক দেশ বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরা। তবে এই ভাইরাসের কারণে বিমান পরিবহন ক্ষেত্রে এবার একটি ব্যতিক্রমীক রেকর্ড হয়েছে।
গত ১৪ মার্চ, ফরাসি এয়ারলাইন্সের একটি বিমান যাত্রী নিয়ে দীর্ঘতম পথ পাড়ি দেয়ার রেকর্ড গড়েছে। ‘এয়ার তাহিতি নুই’ নামের ওই নির্ধারিত ফ্লাইটটি যাত্রী নিয়ে ফরাসি পলিনেশিয়া অঞ্চলের তাহিতি দ্বীপের প্যাপিটি বিমানবন্দর থেকে প্যারিসের চার্লস ডি গল বিমানবন্দর পর্যন্ত ৯ হাজার ৭৬৫ মাইল পথ ভ্রমণ করে এই রেকর্ড গড়ল। করোনভাইরাসের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিমান চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করায় ফরাসি বিমানটিকে এই দীর্ঘতম পথ পাড়ি দিতে হয়।
এই রুটে সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি যাত্রাবিরতি করা হতো। কিন্তু নতুন নিয়মে যখন কোনও বিমান যুক্তরাষ্ট্রে থামবে, সমস্ত যাত্রীদের বিমান থেকে নেমে মার্কিন কাস্টমস এবং সীমান্ত সুরক্ষা ব্যবস্থার ভেতর দিয়ে যেতে হবে। তারপরেই তাদের যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার অনুমতি মিলবে। এই বিধিনিষেধ এড়াতেই এয়ার তাহিতি নুই বিমানটি (ফ্লাইট নাম্বার টিএন০৬৪৪) কোন যাত্রাবিরতি ছাড়াই সরাসরি এই বিশাল পথ পাড়ি দেয়। বিমানটি স্থানীয় সময় ১৪ মার্চ রাত ৩ টায় প্যাপিটি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে প্যারিসে পৌঁছায় ১৫ মার্চ স্থানীয় সময় ভোর ৬ টা ৩০ মিনিটে।
এ বিষয়ে এয়ার তাহিতি নুইয়ের একজন মুখপাত্র সিএনএন ট্র্যাভেলকে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমেরিকান কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোভিড-১৯ মহামারী রোধে চাপানো বিধি-নিষেধের কারণে ব্যতিক্রমীকভাবে এই ফ্লাইটটি পরিচালিত হয়েছিল।’ প্রায় ১৬ ঘন্টার এই ফ্লাইটটি দূরত্বের হিসাবে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম ফ্লাইট হিসাবে রেকর্ড তৈরি করেছে। এটি অভ্যন্তরীণ যাত্রী পরিবহনেও ক্ষেত্রেও রেকর্ড করেছে। কারণ এটি ফরাসি পলিনেশিয়া থেকে মূলভ‚মি ফ্রান্সের মধ্যে ভ্রমণ করেছিল। এয়ার তাহিতি নুই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমানটি দুইজনের বদলে চারজন পাইলট পালা বদল করে পরিচালনা করেছিলেন। এটি ছিল একটি পরবর্তী প্রজন্মের বোয়িং ৭৮৭-৯, জোড়া ইঞ্জিনের ড্রিমলাইনার বিমান।
এর আগে রেকর্ডটি ছিল সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের। তাদের একটি বিমান যাত্রী নিয়ে সিঙ্গাপুর এবং নিউ ইয়র্ক পর্যন্ত ৯ হাজার ৫৩৪ মাইল দূরত্ব ভ্রমণ করেছিল। অস্ট্রেলিয়ান পরিবহন সংস্থা ‘কান্তাস’ ২০১৯ সালের শেষ দিকে দীর্ঘতম ফ্লাইটের জন্য আলাদা রেকর্ড করেছিল। ‘সানরাইজ’ নামে এক পরীক্ষামূলক প্রকল্পে তাদের একটি যাত্রীবাহী বিমান ১৯ ঘন্টা ১৯ মিনিটে লন্ডন এবং সিডনি পর্যন্ত ১১ হাজার ৬০ মাইল পথ একটানা উড়ে গিয়েছিল। কিন্তু এটি কোন নির্ধারিত ফ্লাইট না হওয়ায় রেকর্ডে অন্তভর্‚ক্ত হয়নি। সূত্র: সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।