পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অডিট আপত্তির বেড়াজালে পড়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) ৩৫৯ কর্মচারী বিগত ৫ মাস যাবত বেতন ভাতা পাচ্ছেন না। এসব কর্মচারী অনাহার অনিদ্রায় দিন কাটাচ্ছেন। বেতন ভাতা বন্ধ থাকায় তাদের সন্তানদের পড়া লেখা বন্ধ হয়ে গেছে। বাসা ভাড়া ও দোকানের বাকি পরিশোধ কতে না পারায় এসব কর্মচারীর পারিবারিক জীবনে নানা অশান্তি দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে ইফার দ্বৈত নীতির কারণে কর্মচারীদের মাঝে চাপা অসন্তোষ বিরাজ করছে।
একটি সূত্র জানায়, ইফার একটি সুবিধাবাদি চক্র উপর মহলের নাম বিক্রি করে এসব অসহায় কর্মচারীদের বেতন ভাতা চালু করার মিথ্যা প্রতিশ্রæতি দিয়ে জনপ্রতি এক লাখ টাকা করে চাঁদা তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে অসহায় কর্মচারীদের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ভুক্তভোগি এসব তথ্য জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইফার দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত ২২৪ জন কর্মচারী এবং রাজস্ব খাতের আওতায় ১৩৫ জন কর্মচারীর নিয়োগ প্রক্রিয়া যথাযথ বিধি অনুযায়ী না হওয়ায় সরকারের ১৪ কোটি ৪ লাখ ৬৮ হাজার টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে অডিট আপত্তির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ বিগত ৫ মাস যাবত এসব কর্মচারীদের বেতন ভাতা বন্ধ রেখেছে। অডিট আপত্তি ইফার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জালাল , অর্থ সচিব আফজাল উদ্দিনসহ অনেকেরই বিরুদ্ধে থাকলেও তাদের বেতন ভাতা চালু রাখা হয়েছে কি কারণে সেব্যাপারে কেউ কিছু বলতে পারছে না। এছাড়া দৈনিক ভিত্তিক কর্মচারী ও রাজস্ব খাতের কর্মচারীদের অনেকেইর বেতন ভাতা গত ডিসেম্বর জানায়ারি মাস পর্যন্ত পরিশোধ করা হয়েছে। অডিট আপত্তির ইফার অনেক ড্রাইভারের বেতন ভাতা বন্ধ রাখা হলেও তাদেরকে ওভার টাইম নিয়মিত দেয়া হচ্ছে। ইফা কর্তৃপক্ষের এমন দ্বিমুখী আচরণে অভিযুক্ত কর্মীদের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের চার জন খাদেম, আজান ঘরের মাইক অপারেটর, বিক্রয় সহকারী সাইফুল ইসলাম, ড্রাইভার হায়দার, এলডিএ লিমন শেখ, এম এল এস সুমন মিয়া, রেফায়েত উল্লাহ, মো.এনায়েত উল্লাহ, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মো. জালাল উদ্দিন, ফাহমিদা সুলতানা, সফুরন বেগম, মাকসুদুর রহমান, বাবুল হোসেন, নিজাম উদ্দিন, জুলফিকার আলী, নাজমুল হোসেন, টিটু মিয়া শাকিলা আক্তর, উপ সহকারী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন বাবর ও আলাউদ্দিন আল মামুনসহ অনেকেই বেতন ভাতা পাচ্ছেন না। তারা খেয়ে না খেয়েই নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন। অতিসম্প্রতি এসব অসহায় কর্মচারী ইফার ডিজি ও সচিবের কাছে গিয়ে তাদের বেতন ভাতা চালুর অনুরোধ জানায়। মুজিববর্ষের আগেই তাদের বেতন ভাতা চালুর প্রতিশ্রæতি দেয়া হলে এখনো এ ব্যাপারে কোনো সুরাহা হয়নি। কান্না জড়িত কন্ঠে একজন ভুক্তভোগি কর্মচারী ইনকিলাবকে বলেন, ইসলামের প্রচার প্রসারের জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। তিঁনি আজ জীবিত থাকলে আমাদের বেতন ভাতা বন্ধের কারণে না খেয়ে থাকতে হতো না। কারণ মরহুম বঙ্গবন্ধু ছিলেন, মানবতাবাদী জাতীয় নেতা। তিনি এ ব্যাপারে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামান করেন। রাজস্ব খাতের ১৩৫ জনের মধ্যে ১৩ জন ফেব্রæয়ারি মাস পর্যন্ত বেতন পেয়েছে। উচ্চতর গ্রেড পাওয়া ২১ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীও বেতন ভাতা পাচ্ছে না। অডিট রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বিধি বর্হিভূতভাবে দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োজিত ১৩৫ জন কর্মচারীকে রাজস্ব খাতে নিয়োগ পূর্বকবেতন ভাতা বাবদ ১৪ কোটি ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৯৬ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। ২০০৮, ২০১৩, ও ২০১৭ সালে ১৩৫ জন কর্মচারীকে রাজস্ব খাতে নিয়মিত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কোনো ছাড়পত্র গ্রহণ করা হয়নি এবং প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা গ্রহণের জন্য পত্রিকায় কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। অডিট রিপোর্টে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত দায়ী কর্মকর্তাগণের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।