রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতারকৃত মজনুকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চাজশীর্ট) জমা দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক আবু সিদ্দিক ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় গতকাল এই অভিযোগপত্র জমা দেন।
আদালত সূত্র বলছে, এই মামলার একমাত্র অভিযুক্ত আসামি হলেন মজুন। অভিযোগপত্রে ১৬ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোনসহ মামলার আলামত হিসেবে ২০ ধরনের জিনিসপত্র জব্দ দেখানো হয়েছে।পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে বলা হয়, গত ৫ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ড থেকে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে গলফ ক্লাবসংলগ্ন স্থানে পৌঁছান। এ সময় আসামি মজনু তাকে পেছন থেকে গলা ধরে মাটিতে ফেলে দেন। তার গলা চেপে ধরেন। ছাত্রী চিৎকার করতে গেলে মজনু তাকে কিলঘুষি মারেন। ভয়ভীতি দেখান। ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে ধর্ষণ করেন আসামি মজনু। এ ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। পরে র‌্যাব-১ অভিযান চালিয়ে মজনুকে গ্রেফতার করে। গত ৯ জানুয়ারি মজনুকে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন ঢাকার সিএমএম আদালত। পুলিশ আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, আসামি মজনু একজন অভ্যাসগত ধর্ষক। প্রতিবন্ধী ও ভ্রাম্যমাণ নারীদের ধর্ষণ করে আসছিলেন তিনি। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের ডিসি জাফর হোসেন বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবু সিদ্দিক ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তার কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।