পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আশরাফুল ইসলাম নূর, খুলনা থেকে : খুলনার ফুলতলা থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল গেল বছর। মামলাটির তদন্ত প্রক্রিয়া শেষে আদালতে দাখিলের অপেক্ষা রয়েছে শুধু সর্বোচ্চপর্যায়ের নির্দেশনা। গতকাল সোমবার সকালে ঢাকার সিএমএম আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় দেশবাসীর সামনে খুলনার মামলাটিও আলোচনায় আসে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খুলনার ফুলতলায় নগরপরিবহনে আগুন দেয়ার ঘটনায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে গেল বছরের ১৩ জানুয়ারি একটি মামলা করেছিল পুলিশ। ফুলতলা থানার এসআই খায়রুল বাশার বাদী হয়ে ওই মামলায় কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও খুলনা জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শফিকুল আলম মনাসহ ৫৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৮০/৯০ জনকে আসামি করা হয়েছিল। বিএনপি চেয়ারপারসনের উস্কানিতেই এধরনের ঘটনা ঘটায় তাকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ফুলতলা থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ইলিয়াস ফকির। মামলাটির প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছিলেন ফুলতলা থানার এসআই উজ্জ্বল কুমার মন্ডল। ওই ঘটনায় ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে দায়েরকৃত মামলায় ৭ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেনÑ বিএনপি নেতা ইউপি সদস্য মোঃ আকতার হোসেন, জামায়াত নেতা আবু বক্কর, সজল, ফারুক ও ফিরোজ, বিএনপি নেতা ইব্রাহিম হোসেন ও শিমুল।
খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, বিএনপি চেয়াপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ঘোষিত আন্দোলন-কর্মসূচির কারণেই গাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে- মর্মে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া এমামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শফিকুল আলম মনাসহ ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলাটি তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে রেখেছে বলে জানি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফুলতলা থানার এসআই মোঃ ইয়াছিন আলম চৌধুরী বলেন, মামলাটির তদন্ত প্রক্রিয়া শেষের পথে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে চার্জশীট দাখিল করা হবে। তবে আজ (সোমবার) আমার ফুলতলা থানায় শেষ কর্মদিবস। বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছি।
ফুলতলার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, মামলাটির ৭০ শতাংশ তদন্ত কাজ শেষ করেছেন দু’জন তদন্তকর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, এমামলায় খুলনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম মনা জামিনের আবেদন করলে জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছিল আদালত। এছাড়া খুলনার মামলাগুলোর আদালতে দাখিলকৃত একাধিক চার্জশীটে অভিযুক্ত করা হয়েছে মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাময়িক বরখাস্তকৃত সিটি মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি ও কেসিসির কয়েকজন কাউন্সিলর অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে। চার্জশীট দাখিলের অপেক্ষা রয়েছে আরো কয়েকটি মামলাও।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রমতে, গেল বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত সারাদেশে এক হাজার ৭৭৫টি মামলা দায়ের হয়। লাগাতার অবরোধের সময়ে খুলনায় ৫৪টি এবং পরে খুলনা বিভাগের আরো ৭৬টি মামলা করা হয় বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। অবশ্য বিএনপির দলীয় সূত্র বলছেন, খুলনা বিভাগের বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সহস্রাধিক মামলা দিয়েছে পুলিশ। গত বছরের মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানার একটি মামলায় খালেদা জিয়াকে প্রধান আসামি করে ৩১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেছিল পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।