Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডিসি-আরডিসি ও দুই সহকারী কমিশনার প্রত্যাহার

কুড়িগ্রামে নতুন ডিসি রেজাউল করিম

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

কুড়িগ্রামে মধ্যরাতে সাংবাদিককে ধরে নিয়ে সাজা দেয়ার ঘটনায় ওই জেলার প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীনকে প্রত্যাহার করেছে সরকার। তাকে পরবর্তী পদায়নের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিমকে। সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (আরডিসি) নাজিম উদ্দীনসহ তিন কর্মকর্তাকেও প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই তিন কর্মকর্তাকেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে। বাকি দু’জন হলেন সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা ও এস এম রাহাতুল ইসলাম।
গত ১৫ মার্চ তারিখ উল্লেখ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে এই প্রত্যাহার ও নিয়োগের কথা জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, বিসিএস ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তা সুলতানা ২০১৮ সালের ৩ মার্চ থেকে কুড়িগ্রাম জেলার ডিসির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ২০১৯ সালে কুড়িগ্রামের ডিসি সুলতানাকে বদলী করা হয়। তখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক প্রভাবশারী কর্মকর্তার কারণে তার বদলীর আদেশ বাতিল করা হয়।
গত শুক্রবার মধ্যরাতে স্থানীয় সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পরে মাদক মামলায় সাজা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আরিফুল ইসলামের অভিযোগ, জেলা প্রশাসনের আরডিসি (সিনিয়র সহকারী কমিশনার) নাজিম উদ্দীন বাড়িতে ঢুকে তাকে পেটান। আর এনকাউন্টারে দেওয়ারও হুমকি দেন। জেলা প্রশাসকের অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন লেখার কারণেই তার ওপর নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন আরিফুল।
কুড়িগ্রামের বাংলা ট্রিবিউনের জেলা প্রতিনিধি আরিফুলকে নির্যাতন এবং সাজা দেয়ার ঘটনায় দেশব্যাপী তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। পরের দিন শনিবার রংপুরের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার এ ঘটনার তদন্তে কুড়িগ্রাম যান। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের কথা জানানো হয়। গত রোববার আরিফুল ইসলামকে জামিন দেয়া হয়। তিনি অবশ্য এখনো জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকালই এ ঘটনায় কুড়িগ্রামের ডিসি মোছা. সুলতানা পারভীনকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।



 

Show all comments
  • Mahmuda Akter ১৭ মার্চ, ২০২০, ৫:৩৯ এএম says : 0
    মুখের আড়ালে মুখোশ!!! নাটকীতার নতুন মোড়!!!! ঢাকার ফুটপাথ থেকে এক শিশু ও মাকে কুড়িয়ে নিয়ে ভাইরাল হয়েছিলো এই "ডিসি'সাপ"। এখন সেই ডিসি'সাপ আবার দাজ্জালের ভূমিকায় ভাইরাল হলেন। আল্লাহর নিলাখেলা বুঝা বড় দায়!!!!আওয়ালীগের কোঠায় পজিশন হলে যা হয় আরকি!!!!
    Total Reply(0) Reply
  • AT Paulash ১৭ মার্চ, ২০২০, ৫:৩৯ এএম says : 0
    এদেশে একেকটা সহকারী কমিশনার একেকটি বিচারপতি, একেকটি ইউএনও এলাকার রাজা, আর একেকটা ডিসি যেনো জমিদার! এরা নিজেদের আইনের ঊর্ধে মনে করে। তাইতো কেউ অন্যের চুল কাটায়, কেউবা মাঝরাতে ঘরথেকে তুলে এনে মোবাইল কোর্ট বসায়!!!!
    Total Reply(0) Reply
  • AT Paulash ১৭ মার্চ, ২০২০, ৫:৩৯ এএম says : 0
    এদেশে একেকটা সহকারী কমিশনার একেকটি বিচারপতি, একেকটি ইউএনও এলাকার রাজা, আর একেকটা ডিসি যেনো জমিদার! এরা নিজেদের আইনের ঊর্ধে মনে করে। তাইতো কেউ অন্যের চুল কাটায়, কেউবা মাঝরাতে ঘরথেকে তুলে এনে মোবাইল কোর্ট বসায়!!!!
    Total Reply(0) Reply
  • Ahsanul Hoque ১৭ মার্চ, ২০২০, ৫:৪০ এএম says : 0
    Government officials those were part of the team, all of them should be given exemplary punishment to give strong messages to government officials not to exerci se bureaucracy in our civil society.
    Total Reply(0) Reply
  • Ariful Islam Raju ১৭ মার্চ, ২০২০, ৫:৪০ এএম says : 0
    ধরুন কেউ খাগড়াছড়ি আছেন। তিনি দ্রুত কিছু আকাম বা দুর্নিতী করে ফেলুন। ব্যস প্রত্যাহার হয়ে ঢাকা বা নারায়নগন্জ চলে আসুন। বুদ্ধিটা ভাল না?কোন হৈ চৈ আছে??
    Total Reply(0) Reply
  • Shantanu Chowdhury ১৭ মার্চ, ২০২০, ৫:৪১ এএম says : 0
    শুধু প্রত্যাহার নয় এদের ও এদের কর্ম অনুযায়ী শাস্তি দিতে হবে। কারন ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান বানে, ম্যাজিষ্ট্রেট নাজিম তার প্রমান। ক্সসবাজারের মুক্তিযোদ্ধার কলার ধরে টানা হেঁচড়া, সাংবাদিক পেটানো। এসব তারই প্রমান, শাস্তি না হওয়া। দয়া করে প্রশাসন জাগুন, চোখ কান খুলুন, এদের চাকুরীটা ও প্রাইভেট জবের মত করুন। জবাবদিহিতা রাখুন কাজের, তাহলে যদি এরা ভয়ে মানুষ হয়। প্রাইভেট সেক্টর উন্নত হয়। বাট সরকারি কোন কিছু কেন উন্নত হয় না ভাবুন। সিঙ্গাপুর কে ফলোকরুন। পুরা না হতে না পারলেও কিছুটা আগাবে। সমস্ত প্রতিষ্ঠান প্রাইভেট এ যাবে আর তাদের কাজের উন্নয়ন অগ্রগতির উপর ভিত্তি করে, বেতন, বোনাস, প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যাক্তির প্রমোশন, ডিমোশন, চাকুরীচুত্যির ব্যাবস্থা করুন। তাহলে এদের স্বভাবও পরিবর্তন হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • নূর মোহাম্মদ আলম ১৭ মার্চ, ২০২০, ৫:৪১ এএম says : 0
    মাননীয় যথাযথ কর্তৃপক্ষ, আপনার বা আপনাদের কর্মকর্তাদের ভাল করে প্রশিক্ষণ দিন....আর একটা কথা তাদের মাথায় আচ্ছা করে ঢুকিয়ে দিন যে তারা জনগনের মালিক নয়.... তারা জনগনের সেবক এবং বেতনভুক্ত কর্মচারী। আমার মাথায় ঢুকে না কোন শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে এমন নৈতিকতা হীন উন্মাদ গুলো এত বড় আর মূল্যবান পদে নিযুক্ত হয়!
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কুড়িগ্রাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ