পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
মহামারী নভেল করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বিশ্বব্যাংক গ্রæপের ঘোষিত ১ হাজার ২০০ কোটি ডলারের বৈশ্বিক সহযোগিতা প্যাকেজ থেকে ১০ কোটি ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮৫০ কোটি টাকার এই অর্থ ঋণ না অনুদান হিসেবে নেওয়া হবে তা এখনও ঠিক হয়নি বলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব মো. শাহাবুদ্দিন পাটোয়ারী জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে পাঠানো বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরের এক চিঠিতে বাংলাদেশের জন্য ১০ কোটি ডলারের প্যাকেজের কথা জানানো হয়েছে। বিশ্বজুড়ে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনাভাইরাসের স্বাস্থ্যগত ও অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবেলায় সদস্য দেশগুলোর জন্য গত ৩ মার্চ প্রাথমিকভাবে ১২ বিলিয়ন (১ হাজার ২০০ কোটি) ডলার সহযোগিতার ঘোষণা দেয় বিশ্বব্যাংক গ্রুপ। আইডিএ, আইবিআরডি ও আইএফসির যৌথ যোগানের এই তহবিল কভিড-১৯ (নভেল করোনাভাইরাস) মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা করবে।
এই সহায়তা ঋণ না অনুদান হিসেবে আসবে চাইলে শাহাবুদ্দিন বলেন, এখনো তা জানানো হয়নি। তবে আমরা বিশ্বব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে এটা অনুদান হিসেবে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাব। ঋণ হিসেবে হলে পাঁচ বছরের রেয়াতকালসহ ২৫ বছরে ২ শতাংশ সুদে পরিশোধ করতে হবে।
এর আগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের ক্ষতি মোকাবেলায় সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ৫ হাজার কোটি ডলারের ঋণ সহায়তার প্যাকেজ ঘোষণা দিয়েছে। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের পথ অনুসরণ করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) পক্ষ থেকেও আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা আসতে পারে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সম্প্রতি এডিবির এক সমীক্ষায় বলা হয়, নতুন করোনাভাইরাসের প্রভাব ছয় মাস দীর্ঘ হলে বাংলাদেশ ৩০০ কোটি ডলারের বেশি বা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১ দশমিক ১ শতাংশ ক্ষতির মুখে পড়বে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।