পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস আতঙ্কে দেশের সর্ব বৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশেী পাসপোর্ট যাত্রীদের ভারতে যাওয়া বন্ধ হলেও চালু রয়েছে দু’দেশের আমদানি রফতানি বাণিজ্য। চিরচেনা বেনাপোল চেকপোস্ট প্রায় জনশূন্য। প্রতিদিন ৭/৮ হাজার যাত্রী ভারতে যেত এই চেকপোস্ট দিয়ে।
তবে যারা ১৩ মার্চের পূর্বে ভারতে গিয়েছিল তারা ভারত থেকে ফিরতে শুরু করেছে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে। এ দিকে পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল বন্ধ হলেও দু দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সচল রয়েছে।
৮ সদস্যের মেডিকেল টিম ভারতীয় ট্রাক চালক ও হেলপারদের থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে গতকাল পর্যন্ত ১ লাখ ৬০ হাজার পাসপোর্ট যাত্রীর করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা হলেও এখনও পর্যন্ত কোরোনা শনাক্ত হয়নি।
নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়, ভুটান ও নেপালের ট্রানজিট ভিসাধারীরা ভারতে প্রবেশ করতে পারবে। প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত, অফিসিয়াল পাসপোর্ট, কুটনৈতিক ভিসা, ইউএন পাসপোর্ট, সার্ক ভিসাধারী, বিশেষ ভিসাধারী ছাড়া এই মুহুর্তে কেউ ভারতে যেতে পারবে না।
বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ওসি আহসান হাবীব জানান, সকাল থেকে এ পর্যন্ত ৩৫৮ জন ভারতীয়সহ বিদেশী পাসপোর্ট যাত্রী ভারতে গেছে। ভারত থেকে ১ হাজার ৯’শ জন যাত্রী বাংলাদেশে ফেরত এসেছে।
বেনাপোল কাস্টমস’র রাজস্ব কর্মকর্তা ( কার্গো) রাশেদুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে এ পর্যন্ত ২২০ ট্রাক মালামাল ভারত থেকে আমদানি হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে রফতানি হয়েছে ৯৫ ট্রাক মালামাল।
শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে শনিবার থেকে কোন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে ভারতীয় পাসপোর্টধারী যাত্রীরা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের মহদিপুর ইমিগ্রেশন সোনামসজিদ পুলিশকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানায়। সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই জাফর ইকবাল এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসন করোনা ভাইরাস শনাক্তে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে চারটি ও পাঁচ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে দুটি করে ১৪টি আইসোলেশন ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। গত বুধবার থেকে ভারত ফেরত যাত্রীদের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে।
এদিকে ভারত ভিসা বন্ধ করে দিচ্ছে। এ কারণে বন্দরে হঠাৎ করে পাসপোর্টধারী যাত্রীর উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তিনি আরও জানান, গত বৃহস্পতিবার দেড় শতাধিক যাত্রী পারাপার হলেও শুক্রবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত আড়াই শতাধিক যাত্রী পারাপার হয়েছে। এ বন্দর দিয়ে ভারতগামী যাত্রী জহির আলী জানান, তিনি তার ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য আরও কয়েকদিন পরে যেতেন। কিন্তু ভারত সরকার ভিসা বন্ধ করে দেয়ায় ঋণ করে গত শুক্রবারই ভারতে চলে গেছেন। শুধু জহির আলী নয়, এ রকম অনেক যাত্রী ভিসা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় গত শুক্রবার ভারতে প্রবেশ ও ভারত থেকে বাংলাদেশে চলে আসেন। সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছেন। তবে তার কাছে কোন এ নির্দেশনা নেই বলে জানান।
অন্যদিকে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ লক্ষ্য করা গেছে। শ্রমিকরা পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত বন্ধ হলেও আমদানি-রফতানি চালু রাখার দাবি জানিয়েছে। অপরদিকে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে বন্দরে কাজ করছে তিন সদস্যের একটি মেডিকেল টিম। পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারতে গমন বন্ধ হলেও ভারত থেকে আগতদের পরীক্ষার জন্য মেডিকেল টিম বন্দরে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী। তিনি জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভারত ও ইতালি ফেরত দু’জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখে মনিটরিং করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।