পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিলে বা এমন সন্দেহ হলে প্রথমেই আক্রান্ত ব্যক্তিকে আশপাশের লোকজন থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে হবে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞ ও ডাক্তাররা।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রথম লক্ষণ হলো জ্বর এবং শুকনো কাশি। আপনার এরকম লক্ষণ দেখা দিলেই 'সেল্ফ-আইসোলেশনে' চলে যান - অর্থাৎ নিজেকে অন্যদের সংস্পর্শ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে ফেলুন।
এর উদ্দেশ্য হলো যাতে আপনার বাসা, পরিবার, কর্মস্থল, বা সামাজিক পরিমন্ডলে অন্য যে মানুষেরা আছেন - তাদের মধ্যে ভাইরাস ছড়াতে না পারে।
প্রশ্ন হলো: কীভাবে এই সেল্ফ আইসোলেন করতে হবে?
এক নম্বর: আপনাকে ঘরে থাকতে হবে।
কর্মস্থলে, স্কুলে বা লোকসমাগম হয় এমন যে কোন প্রকাশ্য স্থানে যাওয়া বন্ধ করে দিন।
কোন পাবলিক ট্রান্সপোর্ট - অর্থাৎ বাস, ট্রেন, ট্রাম, ট্যাক্সি বা রিকশা যাই হোক না কেন।
এমন একটা ঘরে থাকুন যাতে জানালা আছে, ভালোভাবে বাতাস চলাচল করতে পারে।
বাসার অন্য লোকদের থেকে আলাদা থাকুন। আপনাকে কেউ যেন 'দেখতে না আসে' তা নিশ্চিত করুন।
আপনার যদি বাজার-হাট করতে হয়, বা কোন ওষুধ বা অন্য কিছু কিনতে হয় - তাহলে অন্য কারো সাহায্য নিন। আপনার বন্ধু, পরিবারের কোন সদস্য বা ডেলিভারি-ম্যান এটা করতে পারে।
যারা আপনার জন্য খাবার বা জিনিসপত্র নিয়ে আসবে, তাদের বলুন আপনার ঘরের দরজার বাইরে সেগুলো রেখে যেতে।
বাড়ির অন্যদের কী করতে হবে?
ধরুন, আপনি এমন একটি বাড়িতে আছেন যেখানে একটি 'কমন রান্নাঘর' আছে যা সবাই ব্যবহার করেন।
এ ক্ষেত্রে যার করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিয়েছে তার এমন সময় সেই রান্নাঘরটি ব্যবহার করা উচিত যখন অন্য কেউ সেখানে নেই।
তার উচিত হবে রান্নাঘর থেকে খাবার নিয়ে নিজের ঘরে গিয়ে খাওয়া।
ঘরের মেঝে, টেবিল চেয়ারের উপরিভাগ - এমন 'সারফেস'গুলো প্রতিদিন তরল সাবান বা অন্য কোনো ক্লিনিং প্রোডাক্ট দিয়ে পরিষ্কার করুন।
যদি নিজেকে সম্পূর্ণ আলাদা করা সম্ভব না হয় তাহলে কী করবেন?
যদি এমন হয় যে আপনি নিজেকে পরিবারের অন্য সদস্য বা ফ্ল্যাটের অন্য বাসিন্দাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করতে পারছেন না, সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ হলো একে অপরের সংস্পর্শে আসা যতটা সম্ভব সীমিত করুন।
যদি সম্ভব হয়,বাসার অন্য লোকদের থেকে কমপক্ষে ২ মিটার বা ৬ ফুট দূরে থাকুন।
ঘুমানোর সময় একা ঘুমান।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ যাদের জন্য বেশি বিপজ্জনক হতে পারে - যেমন বয়স্ক মানুষেরা - তাদের থেকে দূরে থাকুন।
বাড়িতে কেউ আইসোলেশনে থাকলে অন্যদের কী করতে হবে?
আইসোলেশনে থাকা কোন ব্যক্তির সাথে যারা এক বাড়িতে বসবাস করছেন, তাদের জন্য পরামর্শ হলো: তাদের ঘন ঘন হাত ধুতে হবে।
হাত ধোয়ার নিয়ম হলো, সাবান ও পানি ব্যবহার করে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে - বিশেষ করে সংক্রমিত কারো সংস্পর্শে আসার পর।
কোন কোন জিনিস 'শেয়ার' করা যাবে না
আপনার বাড়িতে কেউ আইসোলেশনে থাকলে কোন তোয়ালে, টুথপেস্ট, সাবান, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার বা এরকম কোন টয়লেট্রিজ সবাই মিলে ব্যবহার করা উচিৎ নয়।
আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তির আলাদা একটি বাথরুম ব্যবহার করা উচিৎ। তা সম্ভব না হলে নিয়ম করুন যে যিনি আইসোলেশনে আছে - তিনি বাথরুম ব্যবহার করবেন সবার শেষে, এবং ব্যবহারের পর সম্ভব হলে সেটি ভালোভাবে পরিষ্কার করবেন।
যিনি আইসোলেশনে আছেন তার ফেলা বা সংস্পর্শে আসা সব রকম আবর্জনা একটি বিনব্যাগে ভরে তা আবার আরেকটি ব্যাগে ভরুন।
যদি তার করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিশ্চিত হয় - তাহলে এই আবর্জনা কীভাবে ফেলতে হবে, সে ব্যাপারে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।