পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসকে মহামারী ঘোষণা করা হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ করে দেয়া উচিত। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা (সরকার) এখন পর্যন্ত এব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। অথচ আমেরিকাতে সমস্ত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়েছে এবং মহামারী ঘোষণা করা হয়েছে নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন স্টেইটে। ভারত নতুন করে ভিসা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অর্থাৎ সারাবিশ্বই আজকে এই বিষয়টাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়েছে। দেশে গণতন্ত্র থাকলে, গণতান্ত্রিক সরকার থাকলে এই সমস্যাগুলো তৈরি হতো না। অন্ততঃ প্রতিরোধ এবং কিউর করার জন্য যার যা ব্যবস্থা নেয়া দরকার তা সরকার নিতে পারতো। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে করোনাভাইরাস সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে বিএনপির পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণকালে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে কাকরাইলের নাইটেঙ্গল মোড় পর্যন্ত ফুটপাতে পথচারী, যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের হাতে ‘করেনা থেকে নিজেকে রক্ষা করুন’ শিরোনামে এক পৃষ্ঠার লিফলেট তুলে দেন। এই লিফলেটে ‘খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চাই’ কথাটাও লেখা রয়েছে।
করোনাভাইরাস নিয়ে বিএনপি কোনো রাজনীতি করছে না, সরকারের দোষক্রটি ধরিয়ে দিচ্ছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা পুরোপুরিভাবে দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে, দায়িত্ব আমরা পালন করছি। সেই দায়িত্বের অংশ হিসেবে ঢাকাসহ সারাদেশে করোনাভাইরাস নিয়ে জনসচেতনতার জন্য লিফলেট বিতরণ শুরু করেছি। আমরা অলরেডি একটা বড় কর্মসূচি স্থগিত করেছি। আমাদের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের যে সমস্ত কর্মসূচি ছিলো তার বেশির ভাগই স্থগিত করেছি। আমাদের সব শাখাগুলোকে বলে দিয়েছি তারা সজাগ থাকবে, সচেতনতা সৃষ্টি করবে এবং আক্রান্ত মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াবে। জনগণের কাছে আমরা আহŸান জানাব, তারা যেন করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতন হোন এবং সচেতনভাবে একে প্রতিরোধের জন্য সব রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রত্যেকটা দেশেই এই করোনাভাইরাসকে প্রতিরোধ করার জন্য, এর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে তারা ইমার্জেন্সি বা জরুরী অবস্থা ঘোষণা করছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এবং প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করছে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের যে, বাংলাদেশে সেই সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়নি। আমরা লক্ষ্য করলাম প্রথম দিকে এটাকে গুরুত্বই দেয়া হয়নি। সরকারের ভাষ্যতে তিনজন আক্রান্ত হওয়ার পরে কিছু কিছু ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয়েছে। আমাদের পোর্টগুলোতে পর্যাপ্ত স্ক্যানিংয়ের কোনো ব্যবস্থা নেই, এটা চীনা রাষ্ট্রদূতকে পর্যন্ত বলতে হয়েছে যে, এখানে পর্যাপ্ত স্ক্যানিংয়ের ব্যবস্থা নেই। ঢাকা এয়ারপোর্টে একটি স্ক্যানিং মেশিন বাড়ানো হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেটে মোট তিনটা বাড়ানো হয়েছে। এটা একেবারেই অপ্রতুল। অন্যদিকে যে চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোকে এয়ারমার্ক করা হয়েছে সেগুলোতে সব রকম সুযোগ-সুবিধা এখনো তৈরি করা সম্ভব হয়নি। রাজনৈতিক কারণে তারা (সরকার) বিশেষ বর্ষ পালনের কারণে তারা এই দিকে কোনো নজর দিতে পারেননি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমাদের উন্নয়নের যে ডামাডোল বাজানো হচ্ছে সবসময়ই, দুর্ভাগ্য যে আমাদের স্বাস্থ্য সেবা, আমাদের হেলথ সেক্টার এতোই দুর্বল, এতো অপ্রতুল এবং এতো অব্যবস্থাপনা তার মধ্যে যে সাধারণ মানুষ কখনোই সেখানে সেবা পাচ্ছে না। আজকে দেখুন, ব্যাঙের ছাতার মতো সমস্ত মেডিকেল কলেজ তৈরি হচ্ছে, টাকা দিয়ে শুধুমাত্র সেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের ঢুকানো হয় এবং একটা সার্টিফিকেট দেয়া হয়। সত্যিকার অর্থে তারা চিকিৎসক হয়ে বেরুতে পারছে বলে কেউ চিকিৎসকরা মনে করছেন না।
তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলো যে অব্যবস্থাপনা এটা কখনোই একটি সভ্য গণতান্ত্রিক দেশের জন্যে এটা কাম্য নয়, হতে পারে না। যেহেতু তারা জোর করে ক্ষমতায় এসছে, তারা দখলদারী সরকার, জনগণের কাছে তাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই্, জবাবদিহিতা নেই বলে স্বাস্থ্য সেবা কি হলো, শিক্ষা ব্যবস্থায় কি হলো এখন পর্যন্ত সেটা তারা সেইভাবে জনগণের কাছে জানাতে পারছে না।
লিফলেট বিতরণের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, আমিনুল ইসলাম, সেলিম রেজা হাবিব প্রমুখ। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।