পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে শিশুকে শাস্তি প্রদান অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিভিন্ন বয়সী ১২১ শিশুকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দেয়া শাস্তি অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এক আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল বুধবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ এবং বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেন। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের অ্যাডভোকেট আবদুল হালিম ও ইশরাত হাসান। সরকার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। হাইকোর্ট আদেশে বলেন, এখতিয়ার না থাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কখনোই শিশুদের সাজা দিতে পারবে না। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে একইসময়ে ওই ১২১টি শিশুকে যে প্রক্রিয়ায় সাজা দেয়া হয়েছে, তা মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং অমানবিক।
একইসঙ্গে এই ধরনের সাজা প্রদান আমাদের বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে বহির্বিশ্বে দেশের সুনামকে ব্যাহত করেছে। এদের সবার পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও আইনি জ্ঞান কম, এগুলো বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ দরকার।’
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দন্ডিত হয়ে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে থাকা ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের মুক্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে শিশু আদালত ব্যতীত অন্যান্য আদালতের অধীনে সাজাপ্রাপ্ত ১২ বছর বয়সী থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত বয়সী শিশুদের ৬ মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। ‘আইনে মানা, তবু ১২১ শিশুর দন্ড’ শিরোনামে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ এবং বিচারপতি মো. মাহমুদুর হাসান তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিত হয়ে রুলসহ উপরোক্ত আদেশ দেন।
আদালত তার আদেশে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেয়া শিশুদের দন্ডাদেশকে অসাংবিধানিক, অবৈধ এবং বাতিল বলে ঘোষণা করেন। এছাড়াও শিশুদের মধ্যে যাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালত দন্ড দিয়েছে, তাদেরকে দ্রুত শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র বা হাজত থেকে ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেন। ৭ কার্যদিবসের মধ্যে ওই ১২১টি শিশুকে দন্ড প্রদানকারী সংশ্লিষ্ট র্যাব কর্মকর্তাদের যারা অবৈধভাবে দন্ড দিয়েছেন, তাদেরকে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এই দন্ডপ্রাপ্ত শিশুদের মামলার যাবতীয় নথি আলাদা করে দাখিল করতে বলেন আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত শিশুদের দন্ড প্রদানের বিষয়ে শিশু আইন এবং দন্ডবিধির বিধিবহির্ভূত হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের দন্ড কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েও আদালত রুল জারি করেন। সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এসব রুলের জবাব দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। চিলড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের পক্ষে প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম। ওই প্রতিবেদনে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১২১টি শিশুকে সাজা দিয়ে তাদের শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর তথ্য উল্লেখ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।