পুনরায় যমুনা ব্যাংকের এমডি হলেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে আরও ৫ বছরের জন্য পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে পুনঃনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে।
কর্পোরেট রিপোর্ট : কৃষি ও পল্লী ঋণের সুদের ঊর্ধ্বসীমা ১১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী ১ জুলাই থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে দেশের সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। স¤প্রতি আমানত ও ঋণের সুদের হার কমে আসায় বাংলাদেশ ব্যাংক কৃষি ঋণের সুদে ঊর্ধ্বসীমা পুনঃনির্ধারণ করেছে বলে সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারে কৃষি ও পল্লী ঋণের সুদের ঊর্ধ্বসীমা ১১ শতাংশে নির্ধারণ করা হয়েছিল। তারও আগে এ হার ছিল ১৩ শতাংশ। স¤প্রতি ব্যাংকিং খাতে আমানতের সুদহার কমেছে। যে কারণে ব্যাংকগুলো ঋণের সুদহারও কমিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলে ব্যাংকিং আমানতের গড় সুদহার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ; আর ঋণের গড় সুদহার ছিল ১০ দশমিক ৭৮ শতাংশ। রাষ্ট্রমালিকানাধীন বেশিরভাগ ব্যাংক অবশ্য ইতিমধ্যে কৃষি ঋণের সুদের হার ১০ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে এনেছে। সোনালী, জনতা, রূপালী, বিডিবিএল ও বেসিক ব্যাংক ১০ শতাংশ হারে কৃষি ঋণ বিতরণ করছে। অগ্রণী ব্যাংক করছে ৮ শতাংশ হারে। তবে কৃষি ঋণের জন্য বিশেষায়িত ব্যাংক কৃষি ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ১১ শতাংশ সুদে এ ঋণ বিতরণ করছে। এই দুই ব্যাংকই সবচেয়ে বেশি কৃষি ঋণ বিতরণ করে থাকে। চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ব্যাংকগুলো ১৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এরমধ্যে কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বিতরণ করবে ৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। আর ছয়টি রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক বিতরণ করবে ২ হাজার ৮৯০ কোটি টাকা। গত এপ্রিল পর্যন্ত ব্যাংকগুলো ১৪ হাজার ১২৮ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণ করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।