পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সাপ্তাহিক বাজারে উঠতে শুরু করেছে আগাম পেঁয়াজ। তবে শুরুতেই দাম নেমে যাওয়ায় শঙ্কিত চাষীরা। এ বছর পৌর এলাকাসহ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠ জুড়ে ৮ হাজার ৬শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে পেয়াঁজ আবাদ হয়েছে। শৈলকুপা কৃষি বিভাগের লক্ষমাত্রা অর্জিত হলেও পেয়াঁজের ভাল মূল্য পাওয়া নিয়ে হতাশায় ভুগছে কৃষক।
বাজার ঘুরে জানা যায়, পরিপক্ক পেয়াঁজ না হলেও ভাল দামের আশায় বহু চাষী মাঠ থেকে পেয়াঁজ সংগ্রহ শুরু করেছে। কাঁচা পেয়াঁজ তুলেই দ্রুত বাজারমূল্য ধরতে গতকাল মঙ্গলবার ভোররাত থেকেই বাজারমুখী হয় চাষীরা। সকাল ৮টার মধ্যে শৈলকুপা বাজারে তিল ধারণের ঠাঁই না পেয়ে রাস্তায় অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে ঘন্টার পর ঘন্টা। লাইন ধরে ভ্যান, করিমনসহ বিভিন্ন গ্রাম্য পরিবহনে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
পৌর এলাকার উত্তরপাড়া গ্রামের আবিদুল ইসলাম জানান, বাজারে জায়গা পেতে রাত ৩টার পর থেকেই পেয়াঁজ চাষীদের গাড়ী শৈলকুপা বাজারমুখী হয়। ভোর রাতের মধ্যে যারা মূল বাজারে পৌঁছেছে সে সকল চাষীরা কিছু সময় ৭ থেকে ৮শ’ টাকায় ভাল পেয়াঁজ বিক্রি করে। তবে ১ ঘন্টার ব্যবধানে বাজার ছেঁয়ে যায় পেয়াঁজে দামও নেমে আগে ৫শ’ টাকায়। মঙ্গলবার দিনভর সম্পূর্ণ পেয়াঁজ বাজারের গড় মূল্য অতিক্রম করে ৫ থেকে ৬শ’ টাকায়। পথে অপেক্ষমান থাকা শত শত চাষীদের পেয়াঁজ বাজারে ঢুকতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। অনেকে দাম জেনে পথ থেকেই হতাশ মনে বাড়ি ফিরে গেছে।
পাইকপাড়া গ্রাম থেকে কৃষক আশরাফ আলী জানান, বেশি দামের আশায় সে ২ বিঘা জমির অপরিপক্ক তুলে এনে পানির দরে বিক্রি করে হতাশ মনে বাড়ি ফিরছেন। হঠাৎ বাজারে মূল্য নেমে যাওয়ায় বহু কৃষক আগাম পেয়াঁজ তুলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। তবে ব্যবসায়ীদের নিকট জানা যায়, ভারতীয় পেয়াঁজ আমদানীর খবরে দেশী পেয়াঁজ ভালভাবে পরিপক্ক না হতেই মুনাফার আশায় পেয়াঁজ সংগ্রহে মাঠে নেমেছে কৃষকেরা। একদিকে কাঁচা অন্যদিকে অপরিপক্ক থাকায় বর্তমান বাজারে আসা পেয়াঁজ গুদামজাতযোগ্য নয় যে কারণে ব্যবসায়ীরা ঝুঁকিপূর্ণ পেয়াঁজ ক্রয়ে আগ্রহ হারাচ্ছে।
শৈলকুপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সঞ্জয় কুমার কুন্ডু জানান, পরিপক্ক পেয়াঁজ বাজারে আসতে আরো ১৫-২০ দিন সপ্তাহ সময় লাগবে। বেশি মুনাফার আশায় যেসকল চাষীরা কাঁচা পেয়াঁজ সংগ্রহ করছে তারা ওজন এবং অর্থনৈতিক দুই ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ভরা মৌসুমে সরকার বাহিরের দেশ থেকে পেয়াঁজ আমদানী না করলে দেশী কৃষকেরা এবছর অনেক লাভবান হবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।