পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে প্রথমবারের মত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিন রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে পাল্টে গেছে দেশের চিত্র। সর্বত্রই চলছে এক ধরনের আতঙ্ক। তবে নতুন করে আক্রান্ত কোন রোগী পাওয়া যায়নি। পূর্বের আক্রান্ত তিন জনসহ মোট চার জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। হাসপাতাল কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে আরও ১ জন। এছাড়া আক্রান্ত তিন জনের সংস্পর্শে এসেছে এমন ৪০ জনকে নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। বন্দরগুলোতে বসানো হয়েছে নতুন ৫টি থার্মালস্ক্যানার। স্থানীয়ভাবে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে, এমন দেশ থেকে ফেরা যাত্রীদের আবশ্যিকভাবে ১৪ দিন বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছে রোগতত্ত¡, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-আইইডিসিআর। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা করোনায় আতঙ্কের কিছু দেখছেন না। তাদের মতে, এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক আছে এটা ঠিক। তবে এতোটা মারাত্মক নয়। যতোটা না ইবোলা এবং সার্স-এ ছিল। করোনা হয়তো খুব বেশি ছোঁয়াচে কিন্তু মৃত্যুর হার খুবই কম। তাই আমরা নিরাপদ আছি। একই সঙ্গে সাধারণ জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভিড় না করে বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা সেবা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, চিকিৎসায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন। এই রোগের সবচেয়ে বড় প্রতিকার হচ্ছে সতর্ক থাকা।
এদিকে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটার প্রেক্ষাপটে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বিদেশ থেকে আসা তিনজনকে গতকাল শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই তিন বাংলাদেশিদের মধ্যে দুজন এসেছেন ইতালি থেকে, অন্যজন এসেছেন সিঙ্গাপুর থেকে।
গতকাল করোনভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআর-এর পরিচালক প্রফেসর ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, আক্রান্ত তিন রোগী এখন সুস্থ আছেন। তাদের চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ছে না। তবে চিকিৎসকদের তত্ত¡বধানে রাখা হয়েছে। তারা দেশে আসার ৪ থেকে ৭ দিনের মধ্যেই শরীরে ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত শুধুমাত্র আইইডিসিআর-এ করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা করা হয়। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। দেশের বিভিন্ন স্থানে আইইডিসিআর এর ১০টির বেশি ফিল্ড অফিস ও ল্যাব রয়েছে। যেখানে প্রশিক্ষত রোগতত্ত¡বিদ রয়েছে। দেশের যেখানেই সন্দেহজনক রোগী পাওয়া যাবে সেখানেই দ্রæত আমাদের সদস্যরা রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠাতে পারবে। তিনি বলেন, আইইডিসিআর -এ করোনা সনাক্তের যে মেশিন রয়েছে সেটিতে একসঙ্গে ৯০ টি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব। প্রফেসর ফ্লোরা জানান, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ১ থেকে ৩-এ উন্নীত হওয়ায় হটলাইনের সংখ্যা ৪টি থেকে বাড়িয়ে ১২টি করা হয়েছে। সবগুলো হটলাইনের নম্বরঃ ০১৪০১১৮৪৫৫১, ০১৪০১১৮৪৫৫৪, ০১৪০১১৮৪৫৫৫, ০১৪০১১৮৪৫৫৬, ০১৪০১১৮৪৫৫৯, ০১৪০১১৮৪৫৬০, ০১৪০১১৮৪৫৬৩, ০১৪০১১৮৪৫৬৮, ০১৯২৭৭১১৭৮৪, ০১৯২৭৭১১৭৮৫, ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯৩৭১১০০১১। এছাড়া একটি হট নম্বর (১৬২৬৩) চালু করা হয়েছে।
এছাড়া বিফ্রিংয়ে স্বাস্থ্য সেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশে রোগী শনাক্ত হওয়ার পর অনেকে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। বাজারে পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তিনি দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া সবচেয়ে নিরাপদ। মহাপরিচালক বলেন, সবার মাস্ক, এ্যাপ্রোন বা গ্লাবস ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। এমনকি চিকিৎসকদেরও নয়। শুধু যারা করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেবেন এবং যারা এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তারা পরলেই হবে। তাদের জন্য এগুলো সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। সবাইকে সমাবেশস্থল পরিহার করতে অনুরোধ জানান তিনি। প্রফেসর আজাদ জানান, ইতিমধ্যে দেশে সম্পূর্ণ নতুন ৫টি ‘আর্চওয়ে থার্মাল স্ক্যানার’ আনা হয়েছে। যেগুলো মধ্যে একটি শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমাবন্দরে, একটি চট্টগ্রাম শাহআমানত বিমানবন্দরে এবং একটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে, একটি সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এবং একটি বেনাপোল স্থলবন্দর স্থাপণ করা হয়েছে। দেশের সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের যেকোন প্রান্তেই থাকুন না কেন, শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে ঘরে বসে শুধু ফোন করুন। পরবর্তী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সংক্রান্ত সব ব্যবস্থা স্বাস্থ্য বিভাগই করবে। দেশের সব হাসপাতালে জ্বর, সর্দি, কাশি আক্রান্ত রোগীদের পৃথক স্থানে চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আক্রান্ত দেশ থেকে প্রবাসীদের না আসতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অনুরোধ : করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও মোকাবিলা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভা শেষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রবাসীদের দেশে আসার বিষয়ে অনুৎসাহিত করেছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে প্রবাসীরা এসেই দেশে করোনা ছড়িয়েছেন। তাই আহ্বান জানাবো, করোনা ভাইরাস যে সব দেশে ছড়িয়েছে সেখান থেকে যেন প্রবাসীরা দেশে না আসেন। পাশাপাশি বিদেশ থেকে প্রবাসীদের আসা বন্ধে পর্যাপ্ত প্রচারণা ও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছি। এছাড়া বিদেশ থেকে যারা আসবে তাদের সবাইকে প্রয়োজন হলে কোয়ারেন্টাইন করা হবে। জাহিদ মালেক বলেন, করোনা প্রতিরোধে কোরিয়া, ইরান, ইতালি ও চীনের নাগরিকদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এছাড়া বিদেশ থেকে যারা আসবে তাদের সবাইকে প্রয়োজন হলে কোয়ারেন্টাইন করা হবে। সচেতনতা বাড়ানোর জন্য পোস্টার, ব্যানার, লিফলেটসহ প্রচারপত্র বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় ক্যাবল টিভির মাধ্যমে, সচেতনতা বাড়াতে প্রচারণা চালানোর জন্য ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনা এতোটা মারাত্মক নয়। আমরা নিরাপদ আছি। কেননা ইবোলা-সার্স ভাইরাসের বিরুদ্ধেও আমরা লড়াই করেছি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা হয়তো খুব বেশি ছোঁয়াচে কিন্তু মৃত্যুর হার খুবই কম। ২ থেকে ৩ শতাংশ, কিন্তু ইবোলায় মৃত্যুর হার ৯০ শতাংশের ওপর। সেই হিসাবে আমরা অনেকে নিরাপদ আছি। আমরা আশা করবো করোনা নিয়ে যেন কোনো গুজব ছড়ানো না হয়। তিনি বলেন, গুজব যাতে না ছড়ায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমরা আশা করি, আপনারা সবাই যত্মশীল হবেন। দেশের বিষয়ে একটা মুহুর্তে এখন সবার সহযোগিতা দরকার। আমাদের দেশের সবার আন্তরিকতা আছে, আবার কিছু দুর্বলতাও আছে। সামাজিক অনুষ্ঠান বা জনসমাগম হয় এমন সব জায়গা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, স্কুল-কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে। একই সঙ্গে সচেতন ও সতর্কভাবে ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান এড়িয়ে যাওয়া এবং খেলাধুলাসহ ধর্মীয় যেকোনও অনুষ্ঠান সীমিত পরিসরে করার কথা বলা হয়েছে। মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানও সংক্ষিপ্ত করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ক্রিকেট ম্যাচে যাতে দর্শক না হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া ধর্মমন্ত্রণালয়কে তাদের আওতাধীন তিন লাখেরও বেশি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া করমর্দনসহ সামাজিক আচার এড়িয়ে যেতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনই বন্ধ করার প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাভাবিকভাবে সব প্রতিষ্ঠানই চলবে। তবে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত হ্যান্ডওয়াশ ও সাবান রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ না করার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, স্কুল-কলেজে একই মানুষ প্রতিদিন আসেন। তবে সামাজিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের মানুষের সমাগম হয়। তাই এগুলো এড়িয়ে যেতে বলা হচ্ছে।
জাহিদ মালেক বলেন, জানুয়ারি থেকে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। আমাদের আশঙ্কা ছিল ভাইরাস আমাদের আক্রমণ করতে পারে। গত রোববার তিন জন শনাক্ত হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় জেলা পর্যায়ে ১০০ বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঢাকায় ৪০০ বেডের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ডাক্তার ও নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া করোনা পরীক্ষার পর্যাপ্ত কিট, মেশিন ও ওষুধ রয়েছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত মজুত আছে। আরও ওষুধ ও কিট সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। ডব্লিউএইচও আমাদের ১০০ মিলিয়নের ফান্ড দিয়েছে। তবে আরও ফান্ডের দরকার। সমাজের বিত্তবান এবং বিভিন্ন কোম্পানিকেও সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। তারা এই মুহুর্তে মাস্ক ও গাউন দিলে উপকার হবে।
করোনা আক্রান্ত একজনের জন্য ৪০ জন কোয়ারেন্টাইনে : স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম সচিবালয়ে বলেছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত একজনের সংস্পর্শে আসায় ৪০ জনকে কোয়ারেন্টাইনে (সংক্রমণ রোধে কোনো একটি স্থানে আবদ্ধ করে রাখা) রাখা হয়েছে। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই আছে। এ আশঙ্কা রোধের জন্য আমরা ব্যবস্থাও করেছি। তাদের কন্ট্রাক্ট ট্র্যাকিং করে কোথায় গেছে, কাদের সঙ্গে মিশেছে- সবকিছু করে...আমরা প্রথমজনের জন্য ৪০ জনকে ট্র্যাক করেছি। কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করেছি।
প্রফেসর ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ’র সতর্কতা
দেশের প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ করোনাভাইরাসে সতর্কতা প্রসঙ্গে বলেছেন, কেউ আতঙ্কিত হবেন না। ভয় পাবেন না। যাদেরকে শনাক্ত করা হয়েছে তাদের অবস্থা ভালো আছে। তারা নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, চিকিৎসায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে উঠেন। এই রোগের সবচেয়ে বড় প্রতিকার হচ্ছে সতর্ক থাকা। সতর্কতা বিষয়ে যেসব নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে সেগুলো মেনে চলার কথা উল্লেখ করে ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, করমর্দন থেকে বিরত থাকা, নিয়মিত ভালোভাবে হাত ধোয়া, খাবার ভালোভাবে সেদ্ধ করে খাওয়া। একই সঙ্গে সম্ভব হলে গণপরিবহন ব্যবহার থেকে বিরত থাকা, যতোটা সম্ভব জনসমাগম আপাতত এড়িয়ে চলা, পারতপক্ষে ঘরে থাকা এবং প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে না যাওয়ার কথা বলেছেন এই বিশেষজ্ঞ।
সরকারি হাসপাতালগুলোতে ১০ হাজার শয্যার ব্যবস্থা
করোনাভাইরাস নিয়ে বিশ্বব্যাপী আতংকের মুখে বাংলাদেশে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ১০ হাজার শয্যার ব্যবস্থা করাসহ প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট বলছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন এবং চীনের চিকিৎসাপদ্ধতির সাথে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট মিলিয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। তবে এ ভাইরাস আক্রান্ত হলে আধুনিক এবং বড় হাসপাতাল ছাড়া বাংলাদেশের জেলা বা উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসা কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা রাখার চেষ্টা তারা করছেন। সারাদেশে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ১০ হাজার শয্যার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে তারা উল্লেখ করছেন।
উল্লেখ্য, গত রোববার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩ রোগী সনাক্ত করেছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। আক্রান্তদের মধ্যে একজন নারী ও দুজন পুরুষ। এর মধ্যে দুজন ইতালি ফেরত। এদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। এ তিনজন ছাড়া আরও দুজনকে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তবে গতকাল আক্রান্ত একজনের সংস্পর্শে আসায় ৪০ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।