Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এপ্রিলেই করোনা প্রতিষেধক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০২০, ১২:০০ এএম

করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের দিন শেষ হয়ে আসছে। কারণ অবশেষে এর প্রতিষেধক অবমুক্ত হতে চলেছে। বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা দিন-রাত পরিশ্রম করে এই প্রতিষেধক তৈরি করছেন। ২০২০ সালের এপ্রিলে এর ব্যবহার শুরুর কথা রয়েছে।

নভেল করোনাভাইরাসের গবেষণায় সামনের সারিতে থাকা চীন দাবি করেছে যে, এই প্রতিষেধক ‘জরুরি ব্যবহারের জন্য’ এপিলের মধ্যেই অবমুক্ত করা হবে। এ বিষয়ে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়ন কেন্দ্রের পরিচালক ঝেং ঝংওয়ে বলেন, ‘আমাদের অনুমান অনুসারে, এপ্রিল মাসে কিছু ভ্যাকসিন ক্লিনিকাল গবেষণায় প্রবেশ করবে বা জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা শুরু হবে।’ ন্যাশনাল মেডিকেল প্রোডাক্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে যে, ভ্যাকসিনগুলোর সুরক্ষার মান নিশ্চিত করতে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগবে। তবে এপ্রিলেই ক্লিনিক্যাল এবং জরুরি গবেষণার কাজে ব্যবহারের জন্য কিছু ভ্যাকসিন চলে আসবে।

চীনা বিজ্ঞানীরা কোভিড-১৯ ভাইরাসটির জেনেটিক সিকোয়েন্স ওপেন সোর্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে জনগণের সাথে ভাগ করার পরে এই ভ্যাকসিনগুলি তৈরি করা সম্ভব হয়েছিল। এটি বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার বিশেষজ্ঞকে দ্রুত ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের উপায়গুলি খুঁজে বের করার জন্য উৎসাহিত করেছিল। এর ফলে বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো এই রোগের প্রকোপের সমাধানের জন্য একত্র হয়ে কাজ করলেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস-ভিত্তিক বায়োটেকনোলজি সংস্থা মডার্না মার্চ মাসে মানব পরীক্ষা শুরু করার জন্য চীনে তাদের তৈরি ভ্যাকসিনটি পাঠিয়েছিল। ভ্যাকসিনগুলো চীনের জাতীয় অ্যালার্জি এবং সংক্রামক রোগ ইনস্টিটিউটে প্রেরণ করা হয়েছিল।

এদিকে চীনের দক্ষিণাঞ্চলের শিনঝেন প্রদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য বিশ্লেষণের পর দেশটির বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, বয়স্কদের মতো শিশুরাও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছে। বিজ্ঞানীদের নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, চীনে করোনাবিধ্বস্ত অঞ্চলগুলোতে গড়ে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। কিন্তু পরিবারের কোনো সদস্য আক্রান্ত হলে তা অন্যদের শরীরে গড়ে প্রায় ১৫ শতাংশ সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। একই গবেষণায় বলা হয়েছে, ১০ বছরের নিচের শিশুদের গড়ে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭ দশমিক ৪ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। লক্ষাধিক মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে এই রোগে মৃত্যুর হার ৩.৪ শতাংশ। সূত্র : ম্যাশাবল।



 

Show all comments
  • MD. MOYAZZEM HOSSAIN ১০ মার্চ, ২০২০, ১২:৩১ এএম says : 0
    Dhonnobad
    Total Reply(0) Reply
  • Musabbir Husen Kazal ১০ মার্চ, ২০২০, ১:০৪ এএম says : 0
    আলহামদূ-লিল্লাহু, আল্লাহু ঈমানদারকে সুষ্ট ভাবে বাচার তৌফিক দাণ করুন। জুলুমবাজদের সঠিক শিক্ষা প্রদান করুন।
    Total Reply(0) Reply
  • Humayun Kabir ১০ মার্চ, ২০২০, ১:০৮ এএম says : 0
    আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে হবে,, আতঙ্কিত না হয়ে ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করাই উত্তম।।
    Total Reply(0) Reply
  • Robi Robiul ১০ মার্চ, ২০২০, ১:০৯ এএম says : 0
    আমাদের কোন ভয় নেই, কোন চিন্তাও নেই, কারণ আমরা মুসলিম, আমরা সর্বদা শহিদী মৃত্যুর তামান্না নিয়ে বাচি, আমাদের করোনা কিংবা মিছাইল আতঙ্কিত করতে পারবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Musa Chowdhury ১০ মার্চ, ২০২০, ১:১০ এএম says : 0
    আশা করছি করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ নিয়ে বাংলাদেশীদের মাঝে তেমন আতঙ্ক থাকার কথা নয়। কারন গত ২ মাসে বাংলাদেশে রোড এক্সিডেন্টে মারা গেছেন প্রায় ১০৫০ জনেরও বেশি মানুষ। কাজেই বাংলাদেশে করোনার চাইতে রোড এক্সিডেন্ট মহামারী আকার ধারন করেছে, নতুন করে করোনার মহামারীতে ভয় পাবার কিছু নাই। গত ২/৩ মাসে সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরন করেছেন ৩৫০০+ জন, এখন আপনি গত ২/৩ মাসে বাংলাদেশে শুধু রোড এক্সিডেন্টের নিহতের সংখ্যাটা দেখুন। খুন ধর্ষণ বাদ ই দিলাম।
    Total Reply(0) Reply
  • Clive Rony Gomes ১০ মার্চ, ২০২০, ১:১০ এএম says : 0
    করোনা ভাইরাসের এন্টি ভাইরাস উদ্ভাবনের জন্য যে সব বিজ্ঞানী নিজের পরিবার পরিজনেরকে সময় না দিয়ে মানব জাতির কল্যানে দিন রাত এক করে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তাদের এবং করোনা রোগীদের যেসব ডাক্তার, নার্স অসীম সাহসের সাথে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তাদের ও তাদের পরিবারের ঈশ্বর যেন মঙ্গল করেন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ