পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের দিন শেষ হয়ে আসছে। কারণ অবশেষে এর প্রতিষেধক অবমুক্ত হতে চলেছে। বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা দিন-রাত পরিশ্রম করে এই প্রতিষেধক তৈরি করছেন। ২০২০ সালের এপ্রিলে এর ব্যবহার শুরুর কথা রয়েছে।
নভেল করোনাভাইরাসের গবেষণায় সামনের সারিতে থাকা চীন দাবি করেছে যে, এই প্রতিষেধক ‘জরুরি ব্যবহারের জন্য’ এপিলের মধ্যেই অবমুক্ত করা হবে। এ বিষয়ে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়ন কেন্দ্রের পরিচালক ঝেং ঝংওয়ে বলেন, ‘আমাদের অনুমান অনুসারে, এপ্রিল মাসে কিছু ভ্যাকসিন ক্লিনিকাল গবেষণায় প্রবেশ করবে বা জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা শুরু হবে।’ ন্যাশনাল মেডিকেল প্রোডাক্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে যে, ভ্যাকসিনগুলোর সুরক্ষার মান নিশ্চিত করতে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগবে। তবে এপ্রিলেই ক্লিনিক্যাল এবং জরুরি গবেষণার কাজে ব্যবহারের জন্য কিছু ভ্যাকসিন চলে আসবে।
চীনা বিজ্ঞানীরা কোভিড-১৯ ভাইরাসটির জেনেটিক সিকোয়েন্স ওপেন সোর্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে জনগণের সাথে ভাগ করার পরে এই ভ্যাকসিনগুলি তৈরি করা সম্ভব হয়েছিল। এটি বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার বিশেষজ্ঞকে দ্রুত ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের উপায়গুলি খুঁজে বের করার জন্য উৎসাহিত করেছিল। এর ফলে বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো এই রোগের প্রকোপের সমাধানের জন্য একত্র হয়ে কাজ করলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস-ভিত্তিক বায়োটেকনোলজি সংস্থা মডার্না মার্চ মাসে মানব পরীক্ষা শুরু করার জন্য চীনে তাদের তৈরি ভ্যাকসিনটি পাঠিয়েছিল। ভ্যাকসিনগুলো চীনের জাতীয় অ্যালার্জি এবং সংক্রামক রোগ ইনস্টিটিউটে প্রেরণ করা হয়েছিল।
এদিকে চীনের দক্ষিণাঞ্চলের শিনঝেন প্রদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য বিশ্লেষণের পর দেশটির বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, বয়স্কদের মতো শিশুরাও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছে। বিজ্ঞানীদের নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, চীনে করোনাবিধ্বস্ত অঞ্চলগুলোতে গড়ে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। কিন্তু পরিবারের কোনো সদস্য আক্রান্ত হলে তা অন্যদের শরীরে গড়ে প্রায় ১৫ শতাংশ সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। একই গবেষণায় বলা হয়েছে, ১০ বছরের নিচের শিশুদের গড়ে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭ দশমিক ৪ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। লক্ষাধিক মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে এই রোগে মৃত্যুর হার ৩.৪ শতাংশ। সূত্র : ম্যাশাবল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।