Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সরকারি হাসপাতালে আলাদা কেবিন

করোনা বিষয়ে হাইকোর্টে প্রতিবেদন

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গৃহীত পদক্ষেপ হাইকোর্টকে অবহিত করল সরকার। গতকাল সোমবার ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদ বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান এবং বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের ডিভিশন বেঞ্চে প্রতিবেদনের মাধ্যমে অবহিত করেন।
হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে স্বাস্থ্য অধিদফতর এ প্রতিবেদন প্রণয়ন করে। গত ৫ মার্চ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে বিষয়টি আদালতের দৃষ্টিতে আনেন সুপ্রিম কোর্ট বারের অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।
পরে করোনাভাইরাস প্রসঙ্গে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চেয়ে তিনটি নির্দেশনা দেন আদালত। নির্দেশনাগুলো হচ্ছে (ক) স্থলবন্দর, নৌবন্দর, বিমানবন্দর, বিশেষ করে বিমানবন্দরে যখন বিদেশিরা বাংলাদেশে আগমন করছেন, তখন অভ্যন্তরে প্রবেশের আগে তাদেরকে কি ধরনের পরীক্ষা করা হচ্ছে। যারা পরীক্ষা করছেন তারা প্রশিক্ষিত কিনা। যে যন্ত্রপাতি দিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে, সেগুলোর সক্ষমতা রয়েছে কিনা। তা জানাতে বলেন আদালত। (খ) সারাদেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে করোনাভাইরাসের জন্য পৃথক কেবিনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে এখনও প্রাক-প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
আদালত নির্দেশনা দেন, সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও করোনাভাইরাসের জন্য প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সব ধরণের ব্যবস্থা (পৃথক কেবিনসহ চিকিৎসকের সরঞ্জাম) গ্রহণ করতে হবে। (গ) প্রত্যেকটি হাসপাতালে বা বন্দরে যেখানে শনাক্তের জন্য করোনাভাইরাস পরীক্ষার প্রয়োজন হবে, সেখানকার জন্য ওই সরঞ্জাম দেশে পর্যাপ্ত রয়েছে কিনা, যদি না থাকে জরুরি ভিত্তিতে আমদানি করার জন্য সরকারকে নির্দেশনা দেয়া হয়।
ওই নির্দেশের ধারাবাহিকতায় গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মো. আমিনুল ইসলাম আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এই প্রতিবেদনে করোনাভাইরাসের ৫টি লক্ষণ তুলে ধরা হয়।
লক্ষণগুলো হচ্ছে, (১) ভাইরাস শরীরে ঢোকার পর সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিতে প্রায় ৫ দিন সময় লাগে। (২) প্রথম লক্ষণ জ্বর। (৩) পরে শুকনো কাশি (৪) এক সপ্তাহের মধ্যে শ্বাসকষ্ট (৫) পরবর্তীতে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ যেমন কিডনি অকার্যকর হতে পারে এবং মৃত্যুও হতে পারে। আপাতত এ উপসর্গের কোনো প্রতিষেধক নেই।
প্রতিবেদনে বলা হয়, (১) যেহেতু এই ভাইরাসটি নতুন, তাই এর কোনও টিকা/ভ্যাকসিন এখনও নেই। (২) চিকিৎসা দিতে হয় লক্ষণভিত্তিক। (৩) অসুস্থ হলে ঘরে থাকুন, ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং মাস্ক ব্যবহার করুন।
প্রতিরোধের বিষয়েও নির্দেশনা দেয়া হয় হাইকোর্টে দাখিলকৃত প্রতিবেদনে। এগুলো হচ্ছে, (১) ঘন ঘন সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধুবেন (অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে) (২) অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করবেন না (৩) এর মধ্যেই আক্রান্ত এমন ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন। (৪) হাঁচি/কাশির সময় বাহু/টিস্যু/কাপড় দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখুন। (৫) অসুস্থ পশু/পাখির সংস্পর্শ পরিহার করুন। (৬) মাছ-মাংস ভালোভাবে রান্না করে খাবেন। (৭) জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত চীন ও অন্যান্য আক্রান্ত দেশে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন। ‘সন্দেহভাজন রোগী’দের বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। (১) অসুস্থ রোগীদের ঘরে থাকতে বলুন। (২) মারাত্মক অসুস্থ রোগীকে কাছের হাসপাতালে যেতে বলুন (৩) রোগীকে নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন (৪) আইইডিসিআর এর হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ