Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বৈধ-অবৈধ সন্তান নিরূপণের ধারা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০২০, ১:৪৪ পিএম

সন্তানের বৈধতা-অবৈধতা নিরূপণ সংক্রান্ত সাক্ষ্য আইনের ১১২ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সাক্ষ্য আইনের ১১২ ধারা সংশোধনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং লেজিসলেটিভ ও ড্রাফটিং বিভাগের সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সরোয়ার পায়েল।

এর আগে সন্তানের বৈধতা-অবৈধতা নিরূপণ সংক্রান্ত সাক্ষ্য আইনের ১১২ ধারা অসাংবিধানিক ঘোষণা করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন।

রিটে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং লেজিসলেটিভ ও ড্রাফটিং বিভাগের সচিবকে বিবাদী করা হয়।

আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, ‘বৈধ-অবৈধ সন্তানের ব্যাখ্যাকারী সাক্ষ্য আইনের ১১২ ধারায় বলা হয়েছে, যখন কোনো সন্তান তার বাবা-মায়ের বৈধ বিবাহের ফলে অথবা ডিভোর্সের ২৮০ দিনের মধ্যে জন্মগ্রহণ করে এবং উক্ত সন্তানের মা যদি অবিবাহিত থাকেন তবে উক্ত সন্তান, উক্ত ব্যক্তির বৈধ সন্তান হিসেবে চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত হবে। কোনো সময়ে বিবাহিত পক্ষদ্বয়ের পরস্পরের মধ্যে মিলনের পথ উন্মুক্ত ছিল না। তবে জন্মের বিষয় দ্বারা অবশ্যই চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত হবে যে, সে তার মায়ের সাথে বিবাহিত ওই ব্যক্তির সন্তান।’

তিনি বলেন, ‘সন্তানের পিতৃত্ব ও মাতৃত্ব পরীক্ষা হতেই পারে। কিন্তু বৈধতা বা অবৈধ ঘোষণা দেয়ার ব্যাপারটি একেবারেই অবান্তর। এর মাধ্যমে বৈধ ও অবৈধ সন্তানের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি হয়। কোনো সন্তান যদি আদালতের মাধ্যমে বৈধ প্রমাণিত না হয় তবে তাকে সারাজীবন অবৈধ সন্তানের উপাধি নিয়ে নিগৃহীত হতে হবে, সমাজের কাছে ছোট হতে হবে যা একেবারেই কাম্য নয়। ধর্ষণের ফলে সন্তান জন্ম গ্রহণ করতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের সময় এরকম অসংখ্য ঘটনার নজির রয়েছে। এছাড়া বাবা-মায়ের সিদ্ধান্তের জন্য একটি নিষ্পাপ শিশুকে অপমান করা যেতে পারে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘১৮৭২ সালের পুরাতন আইন যা ব্রিটিশ আমলে করা হয়েছে এবং তা বর্তমান যুগের জন্য একেবারেই অনুপযুক্ত। যেখানে বর্তমানে ডিএনএ টেস্টের সুযোগ রয়েছে। এই আইন সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং এটি অদ্ভুত ও বৈষম্যমূলক। এছাড়া ইউনিভার্সেল ডিক্লারেশন অব হিউম্যান রাইটস এর পরিপন্থী। এ কারণেই রিট করেছি।’



 

Show all comments
  • MD Nurul Islam Bhuiyan ৯ মার্চ, ২০২০, ৩:৪৩ পিএম says : 0
    I am Totaly agreed with this.
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ ফিরোজ খান ১৭ নভেম্বর, ২০২০, ১০:২০ পিএম says : 0
    কি দোষ ছিলো মাগো আমার? -মোঃ ফিরোজ খান অল্প সময়ের আবেগ মাগো ক্ষণিক সময়ের সুখ, এ কেমন বিচার তোমার মাগো দেখতে দাওনি পৃথিবীর মুখ। - আমার ইচ্ছে আসিনি মাগো তোর পেটেতে আমি, পৃথিবীতে নাকি সবার চেয়ে সন্তান মায়ের কাছে দামী? - সুখের জন্য বিবেক ভুলে তোমার বুকে ঠাঁই দিলে, আনন্দের শেষে হেসে খেলে কেটে ছিড়ে ফেলে দিলে। - পরিশেষে একদিন তুমি আসবে মাগো আমার কাছে, তখন তুমি আল্লাহর কাছে ভেবে রাখো কি বলবে? - মরে গিয়ে আমি বেঁচে গেছি বাচিয়েছি মাগো তোর মান, থাকতাম যদি পৃথিবীতে বেঁচে পরিচয় হতাম অবৈধ সন্তান। - পতিতা হয়ে সুখ পেতে কেনো আমায় পেটে নিলে? কলঙ্কের ভয়ে অবশেষে মাগো আমায় ডাস্টবিনে ফেললে। - তোমার সঙ্গে তোমার মাও করতো যদি এমন, বুঝতে পারতে সেদিন মাগো মৃত্যু যন্ত্রণা হয় কেমন? - তবুও মাগো তোমার জন্য আল্লাহর কাছে চাইবো দোয়া হাশরের মাঠে তোমার যেনো আগুনের না লাগে ছোঁয়া। হে আল্লাহ, আমাদের সবাইকে তুমি ঈমান দাও কোনো মা যেনো আবেগের বশে কোনো সন্তানের প্রতি অবিচার না করেন।আমিন ইয়া রব্বুল আলামীন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হাইকোর্ট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ