Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনাসহ নতুন রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে যত্রতত্র কফ থুথু ফেলা পরিহার করতে হবে

পরিবেশবাদিদের আহবান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০২০, ১২:০০ এএম

কফ থুথু, হাঁচি কাশির মাধ্যমে করোনা ভাইরাসসহ সার্চ, মার্স, যক্ষা, শ্বাসকষ্ট, ব্রংকাইটিস, হাঁপানি বা অ্যাজমা, কাশি, মাথাব্যথাসহ বহু রোগের বিস্তার ঘটায়। ভবিষতে নতুন নতুন রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটবে। কফ থুথুর মাধ্যমে এসমস্ত অনেক রোগের সংক্রমণ হবে বা দ্রুত সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পরবে। তাই যত্রতত্র কফ থুথু ফেলার বদ অভ্যাস পরিহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নতুন রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে যত্রতত্র কফ থুথু ফেলা পরিহার করতে হবে।
গতকাল শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘কফ থুথু করোনা ভাইরাসসহ বহু রোগ ছড়ায় ঃ কফ থুথু যত্রতত্র ফেলা বন্ধ কর’ দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে পরিবেশবাদিরা এসব পরামর্শ দিয়েছেন। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), ঢাকা যুব ফাউন্ডেশন, নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম (নাসফ), বারসিক এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
পরিবেশবাদরা বলেন, সারা বিশে^ এখন আতংকের নাম করোনা ভাইরাস। করোনা ভাইরাসে চীনসহ ৯১টি দেশে লক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত এবং মৃত্যু সংখ্যা চার হাজারেরও বেশি। এই আতংক এখন বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভাইরাস মূলত কফ থুতু হাঁচি কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। কাজেই এই রোগ নিয়ে আতংক নয় দরকার সঠিক সচেতনতার। কফ থুথু, হাঁচি কাশি নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাধারণ কতগুলো সতর্কতা অবলম্বন করলে এই ভাইরাসটির সংক্রমণ ও বিস্তারের ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব। বিশ^জুড়ে সবচেয়ে বিরক্তিকর কাজগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয় জনসমক্ষে থুথু ফেলাকে। একটু খেয়াল করলে দেখা যায় রাস্তায় চলতে থাকা পথচারী, দাড়িয়ে বা অলস বসে থাকা অনেক মানুষকেই রাস্তা, ফুটপাত বা মার্কেটের সামনে অবলীলায় থুথু, কফ, পানের পিক ফেলে। রোজা রমজানের দিনে তো কফ থুথুর জন্য রাস্তায় হাটাই মুশকিল হয়ে পড়ে। দৃশ্যটি বাংলাদেশের যে কোন বড় শহরের বাসিন্দাদের জন্য স্বাভাবিক। যেখানে সেখানে যখন তখন কফ থুথু ফেলা বদ অভ্যাস বলে মনে করা হয় কিন্তু এই অভ্যাসের কারণে আর্থিক ও সামাজিকভাবে একটা দেশ অনেক ক্ষতির শিকার হচ্ছে। তাছাড়া কফ থুথু শুধুমাত্র অপরিচ্ছন্নতা বা দেখতে নোংরা লাগার বিষয় না এটি পরিবেশেও মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে। কফ থুথু রোগ বালাই সংক্রমণ এটা যেখানে সেখানে ফেলার কারনে অনেক রোগের উৎপত্তি হয়। যেহেতু এটি ভেজা অবস্থায় থাকে সেক্ষেত্রে ভাইরাসটি জীবিতও থাকে অনেক বেশি এর ফলে সরাসরি বাতাসের সংস্পর্শে এসে থুথু ও কফ থেকে ভাইরাস ছড়াতে পারে।
কর্মসূচি থেকে পরিবেশবাদিরা যত্রতত্র থুথু ফেলা নিষিদ্ধ করে আইন এবং জরিমানা করার বিধান রাখার পাশাপাশি জনগনকে যেখানে সেখানে প্রকাশ্যে কফ থুথু ফেলা বন্ধ করার বিষয়ে সচেতনতামূলক আন্দোলন গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন। তারা কফ থুথু যেখানে সেখোনে না ফেলে রাস্তার পাশে ডাস্টবিনে ফেলতে উৎসাহিত করতে পরামর্শ দেন।
পবা’র চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে এবং নাসফের সাধারণ সম্পাদক মো. তৈয়ব আলীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, পবা’র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌ. মো. আবদুস সোবহান, সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বল, ঢাকা যুব ফাউন্ডেশন এর সভাপতি মো: শহিদুল্লাহ ও সেভ দ্যা রিভার এর সদস্য শাকিল রহমান, পুরানো ঢাকা পরিবেশ উন্নয়নের সভাপতি হাজী আনসার আলী, পরিবেশ উন্নয়ন উদ্যোগ সভাপতি নাজিমউদ্দিন, সদস্য জি এম রুস্তম খান, নাসফ এর সহ সভাপতি কে এম সিদ্দিীক আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, বারসিক এর সমন্বয়কারী সুদীপ্তা কর্মকার প্রমুখ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ