Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনা প্রতিরোধে ওমরার নিষেধাজ্ঞা শরিয়তসম্মত

মক্কা-মদিনার প্রধান ইমাম শায়খ সুদাইসি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনাভাইরাস আতঙ্কে কাঁপছে পুরো বিশ্ব। ইতিমধ্যে ১০৩টি দেশ ও অঞ্চলের প্রায় ১ লাখ ৬ হাজার ১৯৫ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। সউদী সরকার করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পবিত্র নগরী মক্কায় ওমরা এবং মদিনা জিয়ারতে নিষেধাজ্ঞা জারি করাকে শরিয়তসম্মত বলেছেন মক্কা-মদিনার প্রধান ইমাম শায়খ আব্দুর রহমান আস সুদাইসি।

সুদাইসি বলেন, সংক্রমণজণিত যে কোনো মহামারি বা রোগ-ব্যধি ছড়িয়ে পড়লে তা থেকে দেশের মানুষকে নিরাপত্তা দেয়া সরকারের প্রথম কাজ। সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত ১০৩টি দেশ। এ ইস্যুতে সউদী সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা ইসলামি শরিয়তের আইনের সীমানা ও ইসলামি নীতিমালার পরিপন্থী নয়।
সউদী গণমাধ্যম আল আরাবিয়া সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার কাবা শরিফের জুমআর খোতবায় খতিব শায়খ আব্দুল্লাহ আল-জুহানি ও মসজিদে নববির জুমআর খোতবায় খতিব শায়খ সালেহ আল বাদিরও প্রধান ইমামের এ মতকে সমর্থন করে জুমআর বয়ানে এর যৌক্তিকতা ও গুরুত্ব তুলে ধরেন।
শায়খ আব্দুল্লাহ আল-জুহানি কাবা শরিফে জুমআর খোতবায় বলেন, ‘পবিত্র দুই মসজিদে খাদেম বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ ও ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মাদ বিন সালমান করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ওমরাহ পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে সউদী প্রশাসনকে যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা শরিয়তের প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

করোনা ভাইরাসের মতো মারাত্মক মহামারিতে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য মসজিদে হারাম এবং মসজিদে নববিতে এশার নামাজের ১ ঘণ্টা পর বন্ধ করে দিয়ে ফজরের ১ ঘণ্টা আগে খুলে দেয়া হয়। সতর্কতাম‚লক এ সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক মনে করেন দুই পবিত্র মসজিদের প্রধান ইমাম শায়খ সুদাইসি। তিনি বলেন, ‘সংক্রামণ জনিত যে কোনো ভাইরাস ও রোগ-ব্যাধির প্রভাব থেকে মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববির পরিবেশকে সুরক্ষা দেয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এ দায়িত্ববোধ থেকেই সউদী সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েয়েছে।’
এ দিকে ২ মার্চ থেকে কাবা শরিফের মূল মাতআফেও (তাওয়াফ করার চত্ত¡র) তাওয়াফ বন্ধ ছিল। মসজিদে হারামের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তালার উপর দিয়ে কাবা শরিফের তাওয়াফ অব্যাহত ছিল। শায়খ সুদাইসি জানান, ‘বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ শুধু তাওয়াফ করার জন্য কাবা শরিফের ম‚ল মাতআফ খুলে দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।’

বাদশাহ সালমানের নির্দেশের পর থেকে শনিবার (৭ মার্চ) ফজর থেকে কাবা শরিফের মূল চত্ত¡রে তাওয়াফ শুরু করেছেন। তবে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ওমরাহ বন্ধ থাকবে বলেও জানা গেছে। পবিত্র এ দুই মসজিদকে করোনাভাইরাসমুক্ত রাখতে সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের প্রভাব থেকে দুই পবিত্র মসজিদকে মুক্ত রাখতে ওমরাহ পালন ও জিয়ারতের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি অনির্দিষ্টকালের জন্য উভয় মসজিদে ইতেকাফ, বিছানাপত্র বিছানো ও খাবার-দাবার আনা-নেয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জমজম পানির কুলারগুলোও বন্ধ রাখা হয়েছে। সূত্র : আল-আরাবিয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ