পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বালিশকাণ্ড, বইকাণ্ড ও পর্দাকাণ্ডের পর এবার কোটি টাকার নারিকেল গাছ ও লাখ টাকার কলাগাছ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়েছে। দুর্নীতির এই মহোৎসব চলছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পে। যেখানে ২১টি নারিকেল গাছের দাম ১৩ কোটি টাকা, ১টি কলা গাছের দাম ৬ লাখ টাকা ও ২টি টিনের ছাপড়ার দাম দেখানো হয়েছে ৬ কোটি টাকা! বেসরকারি ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের অপরাধ অনুসন্ধান বিষয়ক অনুষ্ঠান তালাশ- এর এক সচিত্র প্রতিবেদনে দুর্নীতির এই ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে।
সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও প্রতিবেদনটি ভাইরাল হলে শুরু হয় কড়া সমালোচনা। বালিশকাণ্ড, বইকাণ্ড ও পর্দাকাণ্ডে ব্যাপক হইচইয়ের পর নতুন করে কলাগাছ ও নারিকেলগাছ কাণ্ডে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নেটিজেনরা। দোষী কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬৭৩ কোটি টাকায় রাজধানীর আশপাশে সরকারি স্কুল নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। চলতি বছর প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এক ভাগও শেষ হয়নি। অথচ ব্যয় বাড়ানো হয়েছে আরও পাঁচশ কোটি টাকা।
‘‘শত শত কোটি টাকা যাচ্ছে কোথায় এ অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে দেখা গেছে, জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন জাতের গাছ কেনার নামে আত্মসাৎ করা হয়েছে বিপুল টাকা। সাভার এলাকার বিলামালিয়া মৌজায় রয়েছে আরেকটি স্কুলের জায়গা। সেখানে জমি অধিগ্রহণের খরচ দেখানো হয়েছে ৮১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এরমধ্যে গাছপালা ও অবকাঠামোর দাম দেখানো হয়েছে ১৩ কোটি টাকা। তবে সেখানো নেই কোনো অবকাঠামো। যেসব নারিকেলের গাছ দেখানো হয়েছে তার দাম ১৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ একটি নারিকেল গাছের দাম পড়েছে ৬১ লাখ ৯০ হাজার ৪৭৬ টাকা।’’
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্পের আরেকটি স্কুল হবে আশুলিয়ার পাথুলিয়া ও বাঁশবাড়ি মৌজায়। সেটি স্থাপনের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমির দাম ধরা হয়েছে ৬ কোটি টাকা। অথচ ৬ কোটি বলতে আছে দুটি টিনের ছাপড়া। এই সাগর চুরির অভিযোগ খোদ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। যিনি প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে করেছেন নিজের বাড়ি, গাড়ি ও প্লট।
ফেইসবুকে গাছকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে মাসুদ লিখেছেন, ‘‘ওরা দেশটাকে চেতনার নামে লুটপাট করে খাচ্ছে। ওদেরকে এখনই থামানো না গেলে জনগনের রক্ত পানি করা টাকায় জমানো রাষ্ট্রীয় কোষাগার ওরা শুণ্য করে দেবে। এই চেতনা ব্যবসায়ী লুটেরাদের কারনে এদেশে ব্যাংক বীমা কিংবা কোনো অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানও আর খুঁজে পাওয়া যাবেনা।’’
সাকিব আশরাফি লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির অগ্রযাত্রায় মূল বাধা হলো দুর্নীতি। দুর্নীতি আমাদের দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ব্যহত করছে, যারা এই দুর্নীতির সাথে জড়িত তাদের যেন কোন প্রকার ছাড় না দেয়া হয়।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।