Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ

ফের মহাস্থানগড়ে স্থাপনা নির্মাণ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

পুলিশ নিয়োগ করে বগুড়ার মহাস্থানগড়ের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা সংরক্ষণের নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর এবং বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর ডিভিশন বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। আবেদনকারী ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানান, বগুড়ার মহাস্থানগড় বিশ্ব প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে ইউনেস্কোর চ‚ড়ান্ত তালিকাভুক্ত নিদর্শন। এই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনার ৩১৯ একর ভূমি রক্ষণাবেক্ষণে ২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারি আদেশ দেন হাইকোর্ট। সেই আলোকে স্থানটির রক্ষণাবেক্ষণ চলমান রয়েছে। এ অবস্থায় ওই স্থানে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ভেঙ্গে নতুন ঘর ও বসতি স্থাপন করা হচ্ছে-মর্মে সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টি আমরা আদালতের দৃষ্টিতে আনি। শুনানি শেষে হাইকোর্ট প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদফতর, জেলা প্রশাসন, বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, র‌্যাবসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি খনন ও নতুন স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। ২ সপ্তাহের মধ্যে আদেশ তামিল করে অগ্রগতি প্রতিবেদন এফিডেভিটের মাধ্যমে আদালতকে অবহিত করতে বলেছেন।
প্রসঙ্গত: স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন সমৃদ্ধ পন্ড্রনগরী মহাস্থানগড় এলাকায় বসবাস করছিল। এতে ঐতিহাসিক এ স্থাপনার অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়।
মহাস্থানমাজার সংলগ্ন সংরক্ষিত এলাকায় ২০১০ সালের ২৭ নভেম্বর ৫ তলা ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে গভীরভাবে খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়। এ কাজে জড়িত ছিলেন মাজার-মসজিদ উন্নয়ন কমিটির সদস্য ও সরকারদলীয় নেতারা। সংবিধানের ২৪ অনুচ্ছেদে ঐতিহাসিক স্থানগুলোর বিকৃতি, বিনাশ বা অপসারণ না করতে সুস্পষ্ট রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা থাকলেও এ ক্ষেত্রে তা উপেক্ষা করা হয়। বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে তুলে ধরলে পুরাকীর্তি সমৃদ্ধ মহাস্থানগড় এলাকায় নির্মাণকাজ বন্ধে ২০১০ সালের ৭ ডিসেম্বর মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে জনস্বার্থে রিট করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট মহাস্থানগড়ের ঐতিহাসিক স্থাপনার আশপাশে নির্মাণকাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। এর পরও হাইকোর্টের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে ওই স্থানে নির্মাণ কাজ চলছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালে ২ ফেব্রুয়ারি মহাস্থানগড়ের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রক্ষায় প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের মহা-পরিচালকের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। কমিটির সদস্যরা হলেন, বগুড়া জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, গণপূর্ত অধিদফতরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, কিউরেটর, মাজার কমিটির সভাপতি, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, লেখক-সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, জাতীয় জাদুঘরের একজন প্রতিনিধি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের একজন শিক্ষক। কমিটি বিদ্যমান অবস্থায় সম্প্রতি মহাস্থানগড়ে পুনরায় স্থাপনা নির্মাণের ঘটনা ঘটে। এ পরিপ্রেক্ষিতে রিটকারী সংস্থা বিষয়টি আদালতের দৃষ্টিতে আনলে উপরোক্ত আদেশ দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পুলিশ

১২ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ