Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০২০, ১০:৪৭ এএম

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ। বাঙালির দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন।

এ দিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে এই মহান নেতা বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একাত্তরের ৭ মার্চ দেয়া ঐতিহাসিক ভাষণ পরবর্তীতে স্বাধীনতার সংগ্রামের বীজমন্ত্র হয়ে পড়ে। একইভাবে এ ভাষণ শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলিলই নয়, জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয় বিধানের একটি সম্ভাবনাও তৈরি করে।

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো।

একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিক-নির্দেশনা। এরপরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর এই বজ্রনিনাদে আসন্ন মহামুক্তির আনন্দে বাঙালি জাতি উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। যুগ যুগ ধরে শোষিত-বঞ্চিত বাঙালি ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় কাক্সিক্ষত মুক্তির লক্ষ্যে।

ধর্মীয় চিন্তা, সাম্প্রদায়িকতার মানসিকতা ও দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতিসত্ত্বা, জাতীয়তাবোধ ও জাতিরাষ্ট্র গঠনের যে ভিত রচিত হয় তারই চূড়ান্ত পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর ছাত্র-কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে।

বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনে বাঙালি জাতি। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

সূত্র: বাসস



 

Show all comments
  • ম নাছিরউদ্দীন শাহ ৭ মার্চ, ২০২০, ২:১৫ পিএম says : 0
    ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষনের সভায় সভাপতিত্ব কেও ছিলনা। সেদিন সাড়ে সাতকোটি মানুষের সভাপতিত্বে বীর বাঙ্গালীর মহান নেতা বঙ্গবন্ধু অগ্নিঝরা বজ্রকন্টে লক্ষ লক্ষ স্বাধীনতা প্রীয় জন মানুষের সামনে ঘোষণা এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। উত্তাল জন সমুদের ডেউ আকাশে বাতাসে শিরা অবশিরা প্রবাহিত হবে তেজোদিপ্ত বাঙ্গালী জাতি এক সাগর রক্তে বাংলার পঞ্চান্ন হাজার মাইল রক্তাক্ত করে ত্রিশ লক্ষ শহীদের লাল সবুজের পতাকা বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন বালাদেশ। এই মহান মানবতাবাদী নেতা বাংলাদেশ। জাতির পিতার শহীদি রক্তের বাংলাদেশ। সমগ্র পরিবারের শহীদি রক্তের বাংলাদেশ। রাজনৈতিক জাতীয় নেতৃবৃন্দ জাতির পিতার জম্ম শত বার্ষিকী দলমত বর্ণ গোত্র নির্বিশেষে নির্বিকারভাবে আজকের আটার কোটি নারী পুরুষের। স্বাধীনতার মহান স্হপতি আপনাকে এই জাতির কিছু কুলাঙ্গার ছাড়া সবাই প্রানের চাইতে ও বেশী শ্রদ্ধা করে ভালবাসে। আপনাকে মহান রাহমানির রাহিম জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুক। আমিন আমিন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ৭ মার্চ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ