বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ির কবলে শবে বরাত-৩
সুনানে ইবনে মাজায় বর্ণিত হয়েছে : হযরত আলী ইবনে আবু তালেব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ
‘ইসলামিক সেন্টার অব আমেরিকা’ মূলতঃ উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বড় ও পুরনো শাহী মসজিদ। এটি আমেরিকার মিশিগান শহরের ডারবানে অবস্থিত। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল চমৎকার স্থাপত্যকলায় সমৃদ্ধ ও দৃষ্টিনন্দন এই সুরম্য মসজিদটি ।
পটভূমি : ১৯৪৯ সালে ইমাম মোহাম্মদ জাওয়াদ সিরি আমেরিকায় সংখ্যালঘু গ্রুপের কাছে এসে মসজিদের প্রস্তাব রাখেন। ওই গ্রুপটি তার কাছে ইসলামের বাণী শুনত। এরপর তার উদ্যোগে মসজিদটির কাজ শুরু হয়। ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘ইসলামিক সেন্টার’ও আমেরিকার মুসলিম অধ্যুষিত বিস্তির্ণ এই এলাকায় একটি বড় মসজিদের প্রয়োজন অনুভব করেছিল। ধীরে ধীরে ওই মসজিদে এলাকার মুসলিম সমাগমও বাড়তে থাকে।
লক্ষ্য : মুসলিমদের মাঝে ধর্মীয় জ্ঞান বিস্তার ছিল এই মসজিদের অন্যতম লক্ষ্য। মসজিদটি নির্মাণ করা হয় সেখানকার মুসলিমদের সহায়তার উদ্দেশ্যে। একই সঙ্গে সামাজিক, নৈতিক, এবং ধর্মীয় মানদণ্ডে আমেরিকায় মুসলিমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারবে, এমন লক্ষ্য ছিল কতৃপক্ষের। এখানে আরবি ভাষা শিক্ষার মাধ্যমে আমেরিকান সমাজে ইসলামের জ্ঞান পৌঁছানো এবং আরব সংস্কৃতির বিস্তার লাভ ও ইতিবাচক সামাজিক সম্পর্ক গঠনে সহায়তা করাও ছিল মসজিদে সালাত আদায়ের পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের অন্যতম লক্ষ্য।
মসজিদটিতে বর্তমানে ইমাম হিসেবে রয়েছেন সাইয়েদ হাসান আল-কাজউইনি । আমেরিকার মুসলিমদের নিকট তো বটে, সারা পৃথিবীর মুসলিমদের নিকট এটি অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হিসেবে বিবেচিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।