Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এলাকায় থমথমে অবস্থা থানায় মামলা হয়নি

মাটিরাঙ্গায় বিজিবির গুলিতে নিহত ৫ জনের দাফন সম্পন্ন

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০২০, ১২:০২ এএম

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বিজিবির গুলিতে ৫জন নিহত হওয়ার ঘটনায় এলাকায় এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তদন্ত কমিটি গতকাল থেকে তদন্ত শুরু করেছে। গতকাল বুধবার সকালে নিহত চারজনের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বটতলী মাঠে নিহতদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাজারো মানুষ অংশ নেন। এ সময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিভীষন কান্তি দাশ, পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল আলম ও পৌরমেয়র মো. শামছুল হক বক্তব্য রাখেন। এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট থানায় কোন মামলা হয়নি।

পরে নিহতদের মধ্যে মুছা মিয়া (৫৫) ও তার দুই ছেলে আহমদ আলী (২৫), আলী আকবরকে (২৭) স্থানীয় ইসলামপুর কবরস্থানে এবং মফিজ মিয়াকে বটশলী কবরস্থানে দাফন করা হয়। অপরদিকে সকাল ১১টায় বরগুনার বেতাগী থানার হোসনাবাদী ইউনিয়নের দক্ষিন বাসন্ডা গ্রামে নিজ বাড়িতে বিজিবি সদস্য মো. শাওন খানের জানাজা শেষে পারিবারিকভাবে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

অন্যদিকে বটতলী মাঠে নিহতদের জানাজায় বক্তব্য দেয়ার সময় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত প্রশাসনকে এ ঘটনায় গ্রামবাসীকে কোনো ধরনের হয়রানি না করার দাবি জানান। তারা বলেন, গ্রামবাসীরা বিজিবির উপর হামলা করেনি। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজিবি হাবিলদার ইসহাক গ্রামবাসীর উপর নির্বিচারে গুলি করেছে। এমন কি সহকর্মী বিজিবি সদস্যকেও গুলি করে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসকের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার কথা রয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলবো। কী কারণে এবং কার গাফিলতিতে এই ঘটনা ঘটেছে তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে বলেও আশাবাদী তিনি। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম সালাহউদ্দিন ও বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বা তার প্রতিনিধি।

মাটিরাঙা থানার ওসি মোহাম্মদ শামছুদ্দিন ভুইয়া গতকাল বিকেলে জানান, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত বিজিবি বা গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি থাকলেও পর্যাপ্ত পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। কেউ মামলা করলে তা রেকর্ড করা হবে বলেও জানান ওসি। উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে মাটিরাঙ্গার গাজী নগর এলাকায় স্থানীয় চাঁন মিয়ার জায়গা থেকে কয়েকটি গাছ কেটে তা ট্রলিতে করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের ৪০ বিজিবির সদস্যরা বাধা দেয়। এ সময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হলে বিজিবি সদস্যরা গুলি ছোড়েন। এতে নিহত হন আহমদ আলী, আলী আকবর, তাদের বাবা মুছা মিয়া, মফিজ মিয়া (৬০) ও বিজিবি সদস্য শাওন। এ সময় হানিফ নামে একজন গুলিবিদ্ধ হন। তিনি এখন চট্টগ্রামে মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মামলা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ