পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যুব মহিলা লীগের নেত্রী (বহিষ্কৃত) শামীমা নূর পাপিয়ার দেয়া তথ্য নিয়ে মাঠে নেমেছে গোয়েন্দারা। রিমান্ডে পাপিয়া ও তার স্বামীসহ দুই সহযোগী যেসব তথ্য প্রকাশ করেছে তা খতিয়ে দেখতেই কাজ করছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এছাড়া রিমান্ডে একের পর এক নারী কেলেঙ্কারীর চকমপ্রদ তথ্য দিচ্ছেন পাপিয়া। জিজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দাদের কাছে নারীর মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থপাচার করেছেন বলেও স্বীকার করেছেন। আর পাপিয়ার কানেকশনে বিদেশ থেকে যেসব তরুণীরা আসা-যাওয়া করতো এবং দেশ থেকে কারা বাইরে যেতো তাদের নামের একটি তালিকা করছেন গোয়েন্দা সদস্যরা। খবর সংশ্লিস্ট সূত্রেরভ
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সংস্থার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, পাপিয়া ও তার সঙ্গীরা রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে হোটেল ওয়েষ্টিনে কারা আসতো এবং তার অনৈতক কাজের সাথে কারা জড়িত এ বিষয়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। এ তথ্যের মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীসহ নানা পেশার প্রভাবশালী লোকজন। পাপিয়া কাউকে জড়ানোর জন্য মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে কিনা তা তদন্ত না করে নিশ্চিত হওয়া কঠিন বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন।
সূত্র জানায়, গোয়েন্দা জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়া স্বীকার করেছেন, নারী ব্যবসার আড়ালে মুদ্রাপাচার ছিল তার অন্যতম বাণিজ্য। বেশ কয়েকটি দেশের অ্যাকাউন্টে তার অর্থ রয়েছে বলে জানিয়েছেন। এ তথ্যও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পাপিয়ার মানিলন্ডারিংয়ের অনুসন্ধানে সিআইডি
সদ্য বহিষ্কৃত যুব মহিলা লীগের নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার মানিলন্ডারিংয়ের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে সিআইডি অনুসন্ধানে নেমেছে। যাচাই-বাছাইয়ের পর যদি তার সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হয়, তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিআইডির কর্মকর্তারা।
সিআইডির ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, পাপিয়ার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য জানতে ইতোমধ্যেই দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থাকে চিঠি দেয়া হয়েছে। আগামী ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্য সমস্ত তথ্য হাতে পাওয়া যাবে। সেসব তথ্য হাতে পাওয়ার পর মানিলন্ডারিংয়ে যদি পাপিয়ার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণিত হয় তবে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ২২ ফেব্রæয়ারি অর্থপাচার, বিদেশি জাল মুদ্রা সংরক্ষণ ও মাদক ব্যবসার অভিযোগে র্যাব-১ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করে পাপিয়া, তার স্বামী ও দুই সহযোগীকে। পরে তাদের নিয়ে ফার্মগেটের বাসায় অভিযান চালিয়ে নগদ ৫৮ লাখ টাকা, বিদেশি মুদ্রা ও পিস্তল, গুলি ও মদ উদ্ধার করে র্যাব। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় একটি এবং শেরেবাংলা নগর থানায় দুটি মামলা করে র্যাব। তিন মামলায় পাপিয়াসহ চারজন ১৫ দিনের রিমান্ডে রয়েছে। মামলাটি এখন ডিবিতে রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।