পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
৪ মার্চ ১৯৭১। এদিন সারাদেশ ছিল হরতালে স্তব্ধ। প্রতিবাদ বিক্ষোভে তপ্ত। সারাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে গায়েবানা জানাজা। সভা-সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে বীর বাঙালী নিয়েছে স্বাধীনতার শপথ। অগ্নিঝরা মার্চের এই দিনটির ঘটনা প্রবাহের দিকে তাকালে বোঝা যায় বাঙালি জাতি কী ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল মুক্তিযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। যে প্রস্তুতির সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন আমাদের ‘হ্যামিলনের বংশীবাদক’ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কার্যত ৪ মার্চ পূর্ব বাংলায় ইয়াহিয়া-ভুট্টো নয়, চলছিল শেখ মুজিবের শাসন। ১৯৭১-এর মার্চের চার তারিখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, বিশ্ববাসী দেখুক, বাংলাদেশের নিরস্ত্র ছাত্র-শ্রমিক-জনতা বুলেটের মুখেও কী দুর্দান্ত সহাস ও দৃঢ়তার সঙ্গে নিজেদের অধিকার হরণের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। এদিন সারাদেশ ছিল হরতালে স্তব্ধ। প্রতিবাদ বিক্ষোভে তপ্ত। সারাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে গায়েবানা জানাজা। সভা-সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে বীর বাঙালী নিয়েছে স্বাধীনতার শপথ ।
এদিন এক বিবৃতিতে বলা হয়, হরতালের জন্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের যে সব কর্মচারী বেতন পাননি তাদের সুবিধার্থে প্রতিদিন দু’ ঘণ্টার জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে। বাংলাদেশের জন্য অনধিক পনের শ’ টাকা পরিমাণ বেতনের চেকই কেবল ক্যাশ করা যাবে। স্টেট ব্যাংকের মাধ্যমে অথবা অন্য কোনো মাধ্যমে বাংলাদেশের বাইরে কোনো টাকা পাঠানো যাবে না।
ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, এ্যামবুলেন্স, চিকিৎসক ও সাংবাদিকদের গাড়ি, পানি-বিদ্যুত-গ্যাস সরবরাহ, স্থানীয় টেলিফোন ও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় টেলিফোন যোগাযোগ, দমকল ও আবর্জনার গাড়ি হরতালের আওতায় আসবে না। পূর্ব পাকিস্তানের টেলিফোন কর্মীরা পশ্চিম পাকিস্তানে ট্রাঙ্কল বুক ও টেলিগ্রাম প্রেরণ থেকে বিরত থাকেন।
এদিন রাতে গভর্নরের বেসামরিক দায়িত্বে নিয়োজিত মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী কিছু প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলেন রাতে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে। তার সেই প্রস্তাবের জবাবে বঙ্গবন্ধু বাঙালীরা কিভাবে মারা যাচ্ছে তার বর্ণনা দেন এবং দৃঢ়তার সঙ্গে তার দাবী মেনে নেয়ার কথা বলেন। এমন সময় সেখানে তাজউদ্দীন আহমদ উপস্থিত হয়ে বলেন এখন আর এক ছাদের নিচে আমাদের অবস্থান সম্ভব নয়। এরপর আর সেই আলোচনা এগোয়নি। অন্যদিকে এদিনে রাজারবাগ পুলিশ লাইন ও পিলখানা থেকে ইপিআর-এর বাংলাদেশী জওয়ানরা রাজপথে মিছিলকারীদের সঙ্গে একাত্ততা ঘোষণা করে জয়বাংলা স্লোগান দিতে থাকে। এবং পূর্বপাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়ন আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ততা ঘোষণা করে সামরিক শাসন প্রত্যাহারের দাবী জানায়।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।