Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুদহার ৯ শতাংশ নির্ধারণ কেন বেআইনি নয়

হাইকোর্ট জানতে চান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

ক্রেডিট কার্ড ছাড়া ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- এই মর্মে রুলনিশি জারি করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান এবং বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। অর্থ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণরসহ সংশ্লিষ্ট তিনজনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে হবে।

আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। এ বিষয়ে তিনি জানান, গত ১ মার্চ মাহফুজুর রহমান নামে আইনের এক শিক্ষার্থী একটি রিট করেন। তাতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়। চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে এই নির্ধারিত সুদে ঋণ বিতরণ শুরু হবে। দেশের শিল্প, ব্যবসা ও সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে অধিক সক্ষমতা অর্জনসহ শিল্প ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি , কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, ঋণ-বিনিয়োগ পরিশোধে সক্ষমতা এবং কাক্সিক্ষত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অশ্রেণিকৃত ঋণ-বিনিয়োগের ওপর সুদ-মুনাফা হার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো। কোনো ঋণ-বিনিয়োগের ওপর উল্লিখিতভাবে সুদ-মুনাফা হার ধার্য করার পরও যদি সংশ্লিষ্ট ঋণ-বিনিয়োগ গ্রহিতা খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হন সেক্ষেত্রে যে সময়কালের জন্য খেলাপি হবে অর্থাৎ মেয়াদি ঋণ-বিনিয়োগের ক্ষেত্রে খেলাপি কিস্তি এবং চলতি মূলধন ঋণ-বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মোট খেলাপি ঋণ-বিনিয়োগের ওপর সর্বোচ্চ দুই শতাংশ হারে দন্ড সুদ-অতিরিক্ত মুনাফা আরোপ করা যাবে। বর্ণিত দন্ড সুদ-অতিরিক্ত মুনাফা ব্যতিরেকে ঋণ-বিনিয়োগের ওপর অন্য কোনো সুদ-মুনাফা-দন্ড, সুদ-অতিরিক্ত মুনাফা আরোপ করা যাবে না। চলতি বছর থেকে ব্যাংকের মোট ঋণ-বিনিয়োগ স্থিতির মধ্যে এসএমই’র ম্যানুফ্যাকচারিং খাতসহ শিল্পখাতে প্রদত্ত সব ঋণ-বিনিয়োগ স্থিতি অব্যবহিত পূর্ববর্তী তিন বছরের গড় হারের চেয়ে কোনোভাবেই কম হতে পারবে না। প্রি-শিপমেন্ট রফতানি ঋণের বিদ্যমান সর্বোচ্চ সুদ-মুনাফা হার ৭ শতাংশ অপরিবর্তিত থাকবে।

রিটে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার দিয়ে বলেছে-ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৯ শতাংশের বেশি লোনের ক্ষেত্রে ইন্টারেস্ট নিতে পারবে না। মৌখিকভাবে বলেছিল প্রতিষ্ঠানগুলো ৯ শতাংশের বেশি নিতে পারবে না, আর আমানতকারী যারা টাকা রাখেন তাদের ৬ শতাংশের বেশি সুদ দেব না। বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে আমানতকারীদের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। কিন্তু সুদের হার ৬ শতাংশের কারণে এবং কমানোর কারণে ২ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কী পলিসি ডিসিশনের কারণে এটা করা হয়েছে সেটা জানতে আদালতের কাছে বক্তব্য তুলে ধরব। সার্কুলারে শুধু ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের কথা রয়েছে। অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কথা নেই। এখন তারা চাইলে যা ইচ্ছা ইন্টারেস্ট নিতে পারবে। শুধু ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান কেন, পলিসি ডিসিশনের ক্ষেত্রে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হাইকোর্ট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ