পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় গাছকাটা কেন্দ্র করে গ্রামবাসির সঙ্গে বিজিবির সংঘর্ষে এক বিজিবি সদস্যসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার গাজিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, ৪০ বিজিবি সিপাহি শাওন, মাটিরাঙ্গা উপজেলার আলুটিলা বটতলী গ্রামের সাহাব মিয়া (৭০), তার ছেলে মো. আলী আকবর ও মো. আহাম্মদ আলী। এদিকে স্বামী ও দুই সন্তানের মৃত্যুর খবর শুনে আলুটিলা বটতলীর নিজ বাড়িতে স্ট্রোক করে নিহত সাহাব মিয়ার স্ত্রী রঞ্জু বেগম মারা যান বলে জানা গেছে।
মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের ওসি শামছুদ্দিন ভুঁইয়া ৫ জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় নিহত বিজিবি সদস্যসহ দুজনের লাশ হাসপাতালে রয়েছে। অন্য দুজনের লাশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে বলে তিনি জানান।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বাগান মালিক সাহাব মিয়া সকালে তার নিজের বাগান থেকে বেশকিছু গাছ কাটে। গাছগুলো গাড়িযোগে নেয়ার সময় অবৈধ দাবি করে বিজিবি সদস্যরা জব্দ করে তাদের হেফাজতে নিতে চায়। এক পর্যায়ে পুরো এলাকাবাসি সমবেত হয়ে বিজিবি সদস্যদের প্রতিহত করার চেষ্টা করলে এলাকাবাসীর সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় বিজিবি সদস্যরা জড়ো হওয়া লোকদের নিয়ন্ত্রণে গুলিবর্ষণ করলে ঘটনাস্থলেই বিজিবি সদস্য শাওন, বাগান মালিক সাহাব মিয়া প্রকাশ মুছা (৭০), সাহাব মিয়ার ছেলে আহম্মদ আলী, এলাকাবাসি মো. আলী আকবর হাসপাতালে মারা যায়। স্বামী ও সন্তানের মৃত্যু সংবাদ শুনে সাহাব মিয়ার স্ত্রী রঞ্জু বেগম হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।
বিজিবির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল বেলা পৌনে ১২টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার গাজীনগর বাজার হতে ১০০ গজ দক্ষিণে বিজিবি’র একটি টহল দল অবৈধ কাঠ পাচাররোধে ব্যবস্থা নিলে বেসামরিক স্থানীয় লোকজন বিজিবি টহল দলকে ঘিরে ধরে। এতে বিজিবি টহল দল ও বেসামরিক জনগণের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। উত্তেজনাকর পরিস্থিতি, বিজিবি’র এক রাউন্ড ফাঁকা ফায়ার ও ধাক্কাধাক্কির রেশ ধরে এক পর্যায়ে বেসামরিক লোকজন বিজিবি’র অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে অনিয়ন্ত্রিতভাবে গুলি বর্ষণ করে। আলোচ্য ঘটনায় বিজিবি’র সিপাহী শাওন ও ৫ জন বেসামরিক জনগণের গায়ে গুলি লাগে। এতে বিজিবি সদস্য শাওন ও বেসামরিক ৪ জন মৃত্যুবরণ করে।
এর প্রেক্ষিতে বিজিবি’র গুইমারা সেক্টর কমান্ডার, সেনাবাহিনীর গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনার প্রেক্ষিতে পৃথকভাবে ঘটনা তদন্তের কার্যক্রম শুররু করা হয়েছে। সামগ্রিক ঘটনাটি তদন্ত শেষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস ও পুলিশ সুপার মো. আব্দুল আজিজসহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকতারা পরিদর্শন করে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে এলাকাবাসিকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট খন্দকার রেজাউল করিম কে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম সালাউদ্দিন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।