পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতিবছর দায়িত্বপালনরত অবস্থায় পুলিশ সদস্যদের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। যেকোনোও দুর্যোগে বাংলাদেশ পুলিশ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্বপালন করে যাচ্ছে। গতকাল রোববার রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২০’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। প্রতিবছর কর্মস্থলে নিহতদের স্মরণে ১ মার্চ পুলিশ মেমোরিয়াল ডে আয়োজিত হয়।
পুলিশ সদর দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিধান, আইন-শৃঙ্খলা ও জনগণের জানমাল রক্ষার মত ঝুঁকিপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকে পুলিশ সদস্যরা। দেশের যে কোন প্রয়োজন ও সংকটে নিজের জীবন উৎসর্গ করতেও কুণ্ঠাবোধ করে না তারা। প্রতিবছর দায়িত্ব পালনকালে অনেক পুলিশ সদস্য নিজের জীবন উৎসর্গ করে দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ এবং স্বাভাবিক আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সকাল সাড়ে দশটায় রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে নির্মিত অস্থায়ী পুলিশ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, এবং নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারবর্গ অস্থায়ী পুলিশ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। একটি চৌকস পুলিশ দল সশস্ত্র সালাম প্রদান করে। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়।
পরে ২০১৯ সালে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের পরিবারবর্গকে স্বীকৃতি স্মারক প্রদান করা হয়। আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে পিএসসি কনভেনশন হলে আয়োজিত স্বীকৃতি স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, অতিরিক্ত আইজি (প্রশাসন ও অপারেশনস্) ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, এসবি প্রধান মীর শহীদুল ইসলাম এবং অতিরিক্ত আইজি (এইচআরএম) বিশ্বাস আফজাল হোসেন বক্তব্য রাখেন।
মোস্তাফা কামাল উদ্দিন বলেন, পুলিশের কাজ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাদেরকে প্রতিনিয়ত নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশের আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে হয়।
অনুষ্ঠানে আইজিপি বলেন, বাংলাদেশকে নিরাপদ রাখতে জঙ্গি-সন্ত্রাস-মাদকমুক্ত করে গড়ে তুলতে পুলিশ সদা নিয়োজিত রয়েছে। প্রতিটি সদস্য পরম মমতায় তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ১৯৭১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত জাতির প্রতিটি ক্রান্তিকালে অনেক পুলিশ সদস্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। প্রতিবছর দায়িত্বপালনরত অবস্থায় আমাদের মৃত্যু বরণকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বছর আমরা ৫৫০ জন পুলিশ সদস্যকে হারিয়েছি, যাদের মধ্যে ১৭৯ জন কর্তব্যরত অবস্থায় মারা গেছেন। দেশের জন্য তাদের এই সর্বোচ্চ ত্যাগ পুলিশ কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণে করবে। তাদের অসহায় পরিবার সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশ সবসময়ই পাশে থাকবে বলেও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আইজিপি বলেন, নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহ উদ্যোগে পুলিশ সদস্যদের অবসর গ্রহণের পর ২ সদস্যকে আজীবন রেশন সুবিধা দেয়া হয়েছে।
র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, গত এক বছরে দায়িত্বরত অবস্থায় আমরা ১৭৯ জন সহকর্মীকে হারিয়েছি। প্রতিটি মৃত্যুই অনাকাঙ্খিত। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী অনেক বড় হয়েছে। একইসঙ্গে এখন এই অনাকাঙ্খিত মৃত্যুকে কমিয়ে আনতে হবে। তিনি বলেন, এর অন্যতম কারণ পুলিশের কাজের পরিবেশ ও জীবনযাত্রার ধরণ। এসবের মান উন্নত করতে কার্যকর প্রয়াস জরুরি হয়ে পড়েছে। ঝুঁঁকি নিয়েই আমরা এ পেশায় আছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।