পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক টাঙ্গাইল জেলার পরিবার পরিকল্পনা, মা-শিশু স্বাস্থ্য এবং প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের তথ্য উপাত্ত ব্যবস্থাপনা পরিপূর্ণভাবে কাগজবিহীনভাবে পরিচালনা করার ঘোষণা দিয়েছেন।
গতকাল হোটেল সোনারগাঁও-এ প্রধান অতিথি থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল এখন সেই ঘোষণা বাস্তবরূপ নিয়েছে। দেশ ডিজিটাল করা হয়েছে। সরকারি কাগজপত্রগুলোও ডিজিটাল হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কার্যক্রম পেপারলেস করা হলো। ক্রমান্বয়ে অন্যান্য জেলাগুলোও পেপারলেসের আওতায় আনা হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সনাতন পদ্ধতিতে কার্যক্রম পরিচালনায় বেশ কিছু সমস্যা হয়। ম্যানুয়াল রেজিস্টারে মাঠ পর্যায়ে কর্মীরা অধিক কাজের চাপে ভারাক্রান্ত থাকে। ফলে সঠিক কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন, দৈনন্দিন কাজের তথ্য সংকলন, রিপোর্ট প্রস্তুত প্রভৃতি নানামুখী কাজ সময় সাপেক্ষ ও কষ্টসাধ্য। অনেক ক্ষেত্রে কাজের গুণগত মান বজায় রাখা দূরূহ হয়ে পড়ত। সঠিক সময়ে তথ্য পাওয়া যেত না। ফলে কর্মীদের কাজ এবং অগ্রগতি ট্রাক করা কষ্টকর ছিল। তথ্য ভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ কষ্টসাধ্য ছিল। এখন আর এই সমস্যাগুলি থাকবে না।
সূত্র মতে, চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর প্রোগ্রামের আওতায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের এমআইএস ইউনিটের অপারেশন প্ল্যানের আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রযুক্তির সুষ্ঠু ব্যবহার এবং গুণগত ও মানসম্মত তথ্য উপাত্তের মাধ্যমে, প্রমাণ নির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সহায়ক, একটি নির্ভরযোগ্য তথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। গৃহীত কার্যক্রমগুলোর প্রথমে রয়েছে, পরিবার কল্যাণ সহকারী, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা এবং উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের মাধ্যমে প্রদেয় পরিবার পরিকল্পনা, মা-শিশু স্বাস্থ্য ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম মনিটরিং এবং তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণের মান উন্নয়নে সারাদেশে চলমান কার্যক্রমের তথ্য উপাত্ত ই-রেকডিং ও রিপোটিং পদ্ধতির আওতায় নিয়ে আসা।
সূত্র জানায়, ই-এমআইএস সিস্টেমটি ২০১৫ সাল হতে টাঙ্গাইল এবং হবিগঞ্জ জেলায় পাইলটিং করা হয়। ইউএসএআইডি’র আর্থিক সহায়তায় এই কার্যক্রমে কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে আইসিডিডিআরবি, মেজার ইভালুয়্যশন, সেভ দ্যা চিল্ড্রেন, মা-মণি এমএনসিএসপি কর্মসূচি। বর্তমানে সারা দেশের ৩২টি জেলার ২০২টি উপজেলায় এ কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী আ খ ম মহিউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।