বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পায়রা বন্দর ও সন্নিহিত নৌপথ সংরক্ষন ও উন্নয়ন সহ সার্বিক নৌ যেগাযোগ রক্ষায় খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত দুটি পাইলট ভেসেল সম্প্রতি হস্তান্তর করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে নব নির্মিত নৌযানগুলো শিপইয়ার্ডের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহন করেন। অনুষ্ঠানে পায়রা বন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর এম জাহাঙ্গির আলম-বিএন ও খুলনা শিপইয়ার্ডের এমডি ক্যাপ্টেন এম সাজেদুল করিম-বিএন সহ উর্ধতন সামরিক-বেসমারিক কর্মকতাগন উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় ৫২ কোটি টাকা ব্যায়ে ১২০ ফুট দৈর্ঘ ও ২৫ ফুট প্রস্থ এসব পাইলট ভেসেলগুলোর ড্রাফট প্রায় ৬ফুট। জাপানের মিতসুবিসি কোম্পনীর ১,৮৫০ অশ^শক্তির দুটি করে ইঞ্জিন সমৃদ্ধ এসব পাইলট ভেসেল ঘন্টায় প্রায় ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে এক নাগারে প্রায় ১২শ কিলোমিটার নৌপথে পারি দিতে সক্ষম । নেদার্যালেন্ডের এনপিএস ডিজেল ব্রান্ডের ১০৫ কিলোওয়াটের দুটি করে জেনারেটর সমৃদ্ধ এসব নৌযানে অত্যাধুনিক ইকোসাউন্ডার, রাডার ও স্পীড লগ সহ বিভিন্ন ধরনের জরিপ সরঞ্জাম রয়েছে। নৌযান গুলোতে ১২জন পাইলট সহ ১৪জন জনবল থাকবে।
নৌযান জরিপ প্রতিষ্ঠান ফ্রান্সের ব্যুরো ভেরিটাস-এর ভিয়েতনামের ভিটিহকো ডিজাইন-হাউজ‘এর নকশায় পাইলট ভেসেল দুটির সমুদয় সরঞ্জামের যোগান দিয়েছে আমাদের দেশেরই পিয়ারলেস ভেঞ্চার লিমিটেড। নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে নৌযান দুটি যথা সময়ে সরবারহ করায় খুলনা শিপইয়ার্ডের প্রসংশা করে দেশের উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটির অবদানের কথা কৃজ্ঞতার সাথে স্মরন করেন।
উল্লেখ্য, খুলনা শিপইয়ার্ড ইতোমধ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য মাঝারী থেকে বড় ধরনের যুদ্ধ জাহাজ ছাড়াও সাবমেরিন টাগ সহ বিভিন্ন ধরনের সমর নৌযান নির্মানের কৃতিত্ব অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠনটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও কোষ্ট গার্ডের জন্যও বিভিন্ন ধরনের সমরনৌযান ছাড়াও বেসামরিক পর্যায়ে ইতোমধ্যে কন্টেইনার শীপ, অয়েল ট্যাংকার, প্যাসেঞ্জার শীপ, ট্যুরিস্ট বোট, ফায়ার ফাইটিং বোট ও ফেরীসহ বিভিন্ন ধরণের নৌযান নির্মানও সাফল্যের সাথে সম্পন্ন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি গত অর্থÑবছর প্রায় ১৩৬ কোটি টাকা করপূর্ব মুনফ সহ নীট মুনফা সহ ৮১ কোটি টাকা নীট মুনফা অর্জনে সক্ষম হয়। এক সময়ে রুগ্ন ও বিরাষ্ট্রীয়করন তালিকাভূক্ত এ প্রতিষ্ঠানটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ ১৯৯৯ সালে প্রায় পৌনে ২শ কোটি টাকার দায়দেনা নিয়ে নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। ব্যাবস্থাপনা কতৃপক্ষ সহ কর্মীদের সততা, আন্তরিকতা ও নিরলশ প্রচেষ্টায় সব দায়দেনা শোধ করে গত দু দশকে খুলনা শিপইয়ার্ড প্রায় ৭শ কোটি টাকা নীট মুনফা অর্জনেও সক্ষম হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।