পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বই বিক্রিতে রেকর্ড গড়ে শেষ হলো মাসব্যাপী লেখক পাঠক ও প্রকাশকদের মিলনমেলা অমর একুশে গ্রন্থমেলা। এবারের মেলায় সর্বমোট ৮২ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। গতবারের তুলনায় এবার দুই কোটি টাকার বেশি বই বিক্রি হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সমাপনী অনুষ্ঠানে এমন তথ্য জানান মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ।
বিগত আট বছরের বই বিক্রির হারে বাংলা একাডেমি জানায়, ২০১৯ সালে বিক্রির পরিমাণ ছিল ৮০ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে ছিল ৭০ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ২০১৭ সালে ৬৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা, ২০১৬ সালে ৪০ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ২০১৫ সালে ২১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, ২০১৪ সালে ছিল সাড়ে ১০ কোটি টাকা এবং ২০১৩ সালে ১৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা। ২০১৯ সালে প্রকাশিত বিষয় ও গুণমানসম্মত সর্বাধিক সংখ্যক বই প্রকাশের জন্য কথাপ্রকাশকে চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার, ২০১৯ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে শৈল্পিক ও গুণমান বিচারে সেরা গ্রন্থ বিভাগে আবুল হাসনাত রচিত ‘প্রত্যয়ী স্মৃতি ও অন্যান্য’ গ্রন্থের জন্য জার্নিম্যান বুকস, মঈনুস সুলতান রচিত ‘জোহানেসবার্গের জার্নাল’ গ্রন্থের জন্য প্রথমা প্রকাশনীকে এবং রফিকুন নবী রচিত ‘স্মৃতির পথরেখা’ গ্রন্থের জন্য বেঙ্গল পাবলিকেশন্সকে মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, গতকাল শেষ দিনে মেলায় ছিল উপচে পরা ভিড়। সকালে শিশু প্রহরে শিশুদের সাথে অবিভাবকদের পদচারণায় মুখরিত ছিল মেলা প্রাঙ্গন। বিকালে হাজার হাজার দর্শনার্থী ও ক্রেতার ভিড়ে মেলা প্রাঙ্গন ছিল মুখরিত। প্রকাশকরা জানান, শেষ দিনে ভিড়ের সাথে বেচাবিক্রির পরিমানও ছিল তুলনামূলক অনেক বেশি।
২০১৯ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ বইগুলোর মধ্য থেকে গুণ ও মান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেডকে রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার এবং ২০২০ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য থেকে দৃষ্টিনন্দন সাজসজ্জার জন্য সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে অভিযান (এক ইউনিট), কুঁড়েঘর প্রকাশনী লিমিটেড (২-৪ ইউনিট) এবং বাংলা প্রকাশকে (প্যাভিলিয়ন) শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করা হয়।
গতকাল সন্ধ্যায় অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব পুরস্কার পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, বাংলা একেডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।