পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উত্তরায় গ্যাস পাইপ লাইনে ফের লিকেজ
রাজধানীর উত্তরার হাউজ বিল্ডিং মোড়ে ফের গ্যাস পাইপলাইন লিকেজ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিকট শব্দে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্যাস পাইপলাইনটি মেরামত করে। গতকাল সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের সময় উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও রাজধানীতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে যানজটে পুরো ঢাকা শহর স্থবির হয়ে পড়ে। ট্রাফিক পুলিশ তৎপর না থাকায় এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন নগরবাসী। এমন অভিযোগ করেছেন ভোক্তভোগীরা।
এদিকে, ওই এলাকায় এমন দুর্ঘটনা আগে আরো তিনবার ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এমন ঘটনা ঘটতে থাকলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাজীপুর ও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যে ২০.৫ কিলোমিটার বিআরটি লাইন প্রকল্প নির্মাণ কাজের সময় মাটি খুড়তে গিয়েই গ্যাসের পাইপলাইন কেটে যায়। পরে প্রকল্প এলাকার নিরাপত্তাকর্মীরা দুর্ঘটনাস্থল লাল কাপড় দিয়ে ঘেরাও করে রাখেন।
উত্তরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. সফিকুল ইসলাম দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, উত্তরা হাউজ বিল্ডিংয়ে বাস রেপিট ট্রানজিট প্রকল্পের কাজের পাইলিং করতে গিয়ে গ্যাসের বিতরণ পাইপ লাইন কেটে গ্যাস বের হওয়া শুরু হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশপাশের লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দেয়। পরে লাইনটি মেরামত করা হয়। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, ইতিপূর্বে সেই এলাকায় আরো তিন বার পাইলিং করতে গিয়ে গ্যাসের বিতরণ পাইপ লাইন কেটে বিকট শব্দে গ্যাস নির্গত হয়েছিল। এ ধরনের কাজে সংশ্লিষ্ট গ্যাস কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে কাজ করলে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব বলেও জানান সফিকুল।
এদিকে এ ঘটনায় উত্তরা থেকে বিমানবন্দর হয়ে মহাখালী এবং হাউজ বিল্ডিং থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত দুপাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এমনকি উত্তরা এলাকার প্রতিটি সড়কে শত শত গাড়ি ঢুকে পরায় যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করে। শুধু তাই নয়, উত্তরার ঘটনায় পুরো রাজধানী জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে রাজধানীর মহাখালী, বনানী, গুলশান, খিলক্ষেত, কুড়িল বিশ্বরোড, বাড্ডা, রামপুরা, ফার্মগেট, কাওরান বাজার এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজটের কারণে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে নগরবাসীকে।
ভুক্তভোগিরা জানান, ঘটনা ঘটার পর পুলিশ তৎপর হলে এরকম যানজটের সৃষ্টি হতো না। দূর থেকে গ্যাস নির্গত হতে দেখে উত্তরা এলাকায় গাড়িগুলো এলোপাথারিভাবে অলি-গলিতে ঢুকে পরায় চেষ্টায় যানজট আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এমনটি বিকল্প পথে যানবাহন চলাচলেও পুলিশের তৎপরতা না থাকায় পরিস্থিতি ক্রমে ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
রাজধানীর কাওলা এলাকার বাসিন্দা পলাশ মিয়া দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, তিনি বাংলামটর এলাকায় একটি মিডিয়া অফিসে চাকরি করেন। সেই সুবাধে প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল শুক্রবার সকালে তিনি অফিস করতে বাসা থেকে রওয়ানা দেন। কিন্তু রাস্তায় যানজট থাকার কারণে নির্ধারিত সময়ে তিনি অফিসে প্রবেশ করতে পারেনি। এছাড়াও একই অবস্থা হয়েছে বাসায় ফেরার সময়ও ।
তিনি আরো জানান, অফিস থেকে বাসায় ফেরার সময়ও যানজটের পড়তে হয়েছে। তাই অন্য দিনের ছেড়ে প্রায় এক ঘন্টা বেশি সময় অতিবাহিত করে বাসায় ফিরতে হয়েছে তাকে।
গতকাল বিকেলে ট্রাফিক পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ সাইফুল হক দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, উত্তরা হাউজ বিল্ডিং মোড়ে ১২ ইঞ্চি ব্যাসের গ্যাসপাইপ ফেটে যায়। পরে তিতাস ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন গিয়ে তা মেরামত করে।
তবে যানজট ও ভোগান্তির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হঠাৎ করে গ্যাস পাইপ লাইন লিকেজ হওয়ার পর ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে আধা ঘন্টার মধ্যে আবার যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।