পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
১০ হাজার পুলিশ ও কয়েক হাজার র্যাব সদস্য সার্বক্ষণিক নিয়োজিত, আছে সিসি ক্যামেরা
উমর ফারুক আলহাদী : গুলশান হামলার পর রাজধানীজুড়ে চলছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি কূটনৈতিক এলাকা গুলশান বারিধারায় বিজিবি সদস্যরাও নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। নগরীর মোড়ে মোড়ে ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে র্যাব-পুলিশের চেকপোস্ট। পুলিশকে সহযোগিতা করতে এপিবিএন ও আনসার বাহিনীকেও মাঠে নামানো হয়েছে। গুলশানের প্রবেশপথে বনানী, মহাখালী, সংসদ ভবন ও এর আশপাশ এলাকাসহ পুরো মহানগরীতে ৩ শতাধিক চোকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া মহানগরীর প্রবেশপথ গাবতলী, উত্তরা আবদুল্লাহপুর ও যাত্রাবাড়ী এলাকাতে চেকপোস্টের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের একাধিক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মহানগরীতে পালাক্রমে ১০ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য এবং কয়েক হাজার র্যাব সদস্য সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন।
পুলিশ কমিশনার আসাদুজামান মিয়া বলেছেন, পুরো মহানগরী এখন আমাদের নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে। সিসি ক্যামেরায় সবকিছু মনিটরিং করা হচ্ছে। তিনি বলেন, মন্ত্রীপাড়া, কূটনৈতিক পাড়া এগুলো স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। সব সময়ই সেখানে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। এসব এলাকায় ভিআইপিদের বসবাস। তাই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মূলত রাজধানী জুড়েই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহামুদ বলেন, আমরা শুধু রাজধানী নয়, দেশব্যাপীই নিরাপত্তা জোরদার করেছি। র্যাবের প্রতিটি সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্বে নিয়োজিত আছে। তিনি বলেন নাশকতা ও জঙ্গি রোধে আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম ব্যাপকহারে বাড়ানো হয়েছে। রাজধানীর মোড়ে মোড়ে র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে। আছে গোয়েন্দা টিম। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গুলশান হামলার পর জঙ্গি হামলা ও নাশকতা রোধে এ ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। শুধু পোশাকধারী নয়, সাদা পোশাকেও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কড়া নজরদারিতে রেখেছেন। মন্ত্রী পাড়া ও আশপাশ এলাকায় অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
গত শুক্রবার দুপুর থেকে হোটেল শেরাটন, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন, গোয়েন্দা কার্যালয় ও ইস্কাটনের সামনে দিয়ে মিন্টো রোডে প্রবেশের প্রতিটি রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া গুলশানের প্রতিটি রাস্তায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
জানা গেছে, এসব এলাকার বিভিন্ন প্রবেশমুখে ব্যারিকেড বসিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। একাধিক পুলিশ সদস্য ব্যারিকেডের সামনে দাঁড়িয়ে পাহাড়া দিচ্ছেন। প্রাইভেট কার, সিএনজিচালিত ট্যাক্সিক্যাব ও মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহনকে ভিন্ন রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। পায়ে হেঁটে যারা এসব রাস্তায় ঢুকছিলেন তাদেরও তল্লাশি করে তারপর ঢুকতে দেয়া হচ্ছে।
হঠাৎ একসঙ্গে সবগুলো প্রবেশপথ বন্ধ করে দেয়ায় ঈদের ছুটিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে বহু মানুষকে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। অনেকটা পথ ঘুরে তবেই গন্তব্যে যেতে পারছেন তারা।
ঢাকা মেট্রো পলিটন পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান গতকাল ইনকিলাবকে বলেছেন, পুরো রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। প্রায় ১০ হাজার পুলিশ সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। রাজধানীর মন্ত্রীপাড়ায়, কূটনৈতিক পাড়ায় এবং সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মন্ত্রীপাড়া হিসেবে পরিচিত রাজধানীর মিন্টো রোডে, বেলী রোড ও হেয়ার রোড এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গ্রহণ করা হয়েছে। এসব এলাকা সিসি ক্যামেরায় সন্দেহভাজনদের গতিবিধি মনিটরিং করা হচ্ছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স শাখার এডিসি মো. ইউসুফ জানান, গুলশানের ঘটনার পর থেকে মিন্টো রোড ও আশপাশের প্রবেশ পথে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও অন্যান্য ভিভিআইপিদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে এ পথে যানবাহন চলাচল একেবারে বন্ধ হয়নি বলে তিনি জানান।
গুলশান জোনের একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ বিরতিহীন দায়িত্ব পালন করছে। পুলিশের সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে ঈদের আগেই। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশ কাজ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।