পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেই চলছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় কাউন্সিল। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই গতকাল প্রথমদিনের কর্মসূচী শেষ হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতো। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ চারপাশে ছিল কয়েক স্তরের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সম্মেলনস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশের এলাকায় বিপুলসংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রাখা হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ। নিরাপত্তা বলয়ে ঘেরা হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশের এলাকা। সেই সাথে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমেও সার্বক্ষণিক পর্যাবেক্ষণ করা হচ্ছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে শাহবাগ, টিএসসি, দোয়েল চত্বর এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। তিনটি কন্ট্রোল রুম থেকে এগুলো মনিটরিং করা হচ্ছে। কারো গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সম্মেলনস্থলে ৭টি গেটে আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে সার্চ করে সবাইকে প্রবেশ করানো হচ্ছে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাউন্সিলকে ঘিরে বিগত ১৫ দিন ধরে তাদের কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করেছে। এ ছাড়া নেতাকর্মীরাও অংশ নিয়েছে নিরাপত্তা কার্যক্রমে। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করছে। তা ছাড়া আওয়ামী লীগের কাউন্সিল উপলক্ষে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ ১৪ পয়েন্টে যান চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে না। সে সব সড়কের যানবাহন ডাইভারশনের মাধ্যমে বিকল্প সড়ক দিয়ে চলাচল করছে।
সম্মেলনস্থলের মূল প্যান্ডেল ও মঞ্চের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)। এ কাউন্সিলকে ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ভিআইপি ছাড়া কোন গাড়ি প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। সবাই পায়ে হেঁটে দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করছেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের মঞ্চ ও এর আশপাশের স্থান পরিদর্শন শেষে শুক্রবার বাংলাদেশ পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে.এম শহীদুল হক বলেছিলেন, ‘সম্মেলনস্থলে নিñিদ্র নিরাপত্তা দিতে সব প্রস্ততি নেয়া হয়েছে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এক কথায় সম্মেলনের নিরাপত্তায় পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্ততি নেয়া হয়েছে। সারা শহরে প্রায় ১০ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। সম্মেলনস্থলে ডিএমপি কমিশনারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে পুরো নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করবেন।
তিনি আরও বলেছিলেন, সম্মেলনে ৫২ জন বিদেশি উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। তারা কে কোন পথে যাতায়াত করবেন সে বিষয়ে দলীয়ভাবে ও পুলিশের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সারাদিন ভিভিআইপি, ভিআইপিরা চলাচল করবেন না। তারা যখন চলাচল করবেন তখন গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বাকি সময় স্বাভাবিক থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।