পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ক্যাসিনোকান্ডে জড়িত আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক এনু ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়া আর কত টাকা বা সম্পদের মালিক তা কেউ জানে না। এমনকি পুরান ঢাকার বিভিন্ন বাড়িতে ভল্টে তাদের নগদ টাকা ও স্বর্ণ রয়েছে বলে ধারণা করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তবে এসব ভল্টের খুঁজে মাঠে নেমেছে গোয়েন্দারা। এছাড়াও উদ্ধার হওয়া নগদ টাকা ও স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রাখা হবে বলে জানা গেছে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার নারিন্দার ‘মমতাজ ভিলা’য় রাখা পাঁচটি সিন্দুক বা ভল্ট থেকে সাড়ে ২৬ কোটি টাকা উদ্ধার করে র্যাব। এ সময় কয়েকটি ইলেকন্ট্রনিক চিপসও উদ্ধার করা হয়। র্যাব কর্মকর্তারাদের ধারণা, এগুলো টাকার ভল্টের চিপস। তাদের হেফাজতে অন্য কোথাও আরো সিন্দুক বা ভল্ট রয়েছে। তবে সেগুলোর ভেতরে আরো কোটি কোটি টাকা পাওয়া যাবে।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, এখনো প্রায় ডজন খানেক সিন্দুক বা ভল্ট রয়েছে এনু-রুপনের। আর এগুলো চিপসের মাধ্যমে খোলা যায়। তবে সেই ভল্টগুলো কোন বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ভল্টের সন্ধানে গোয়েন্দা নজরদারি চালাচ্ছে র্যাব।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট র্যাব কর্মকর্তারা জানান, তাদের বাসা থেকে উদ্ধার হওয়া টাকাগুলো ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের জুয়ার অর্থ। গত সেপ্টেম্বরে র্যাবের অভিযানের পর বস্তায় করে এসব টাকা এনু-রুপনের বাসায় লুকিয়ে রাখা হয়। এতে ওয়ান্ডারার্স ক্লাব পরিচালনা পর্ষদের অন্য সদস্যদের জড়িত। তবে তদন্তে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা আরো জানান, রাজধানীর পুরান ঢাকার আরেকটি বাসায় এনু-রুপনের একাধিক ভল্ট আছে। অত্যাধুনিক ওই ভল্টগুলো ইলেকট্রনিক্স চিপস এবং পাসওয়ার্ড সংবলিত। ওই সব ভল্টে কোটি কোটি টাকা পাওয়া যাবে। তবে ইতোমধ্যে ওই তথ্যের বিষয়টি নিশ্চিত হতে বেশ কয়েকটি বাসায় বিভিন্ন কৌশলে রেকি করা হয়েছে। বাসার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য চেষ্টা চলছে। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম জানান, এনু-রুপনের আরো অবৈধ টাকা আছে কি না সেটা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, এনু ১৯৮৫ সাল থেকেই ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে জুয়া খেলতো। একই সাথে রুপনও আরামবাগ ক্লাবে জুয়া খেলতো। এক পর্যায়ে তারা জুয়ার বোর্ডের মালিক হয়ে যায়। এরপর থেকে কাঁচা টাকা আসতে শুরু হয়। সেই টাকা দিয়েই তারা ঢাকা শহরে বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি ও ফ্ল্যাট কেনা শুরু করে তারা। গত ছয় থেকে সাত বছরে পুরান ঢাকায় কমপক্ষে ১২টি বাড়ি ও ৬টি ফ্ল্যাট কনিছে তারা।
এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এনু-রুপনের ওয়ারীর নারিন্দা লালমোহন সাহা স্ট্রিটের বাসা থেকে ২৬ কোটি ৫৫ লাখ ৬০০ টাকা, এক কেজি সোনা ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা উদ্ধার করেছে র্যাব। উদ্ধার হওয়া টাকা, সোনা সবই ওয়ারী থানা পুলিশের কাছে জমা দেয়া হয়। পরে ওই টাকা ও সম্পদ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখা হবে। র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রকিবুল হাসান জানান, সিআইডি মানি লন্ডারিংয়ের সেই মামলার তদন্ত করবে। তাই উদ্ধার হওয়া ওইসব টাকা ও সোনা তাদেরই বুঝিয়ে দেয়া হবে। তবে মামলা চলাকালিন এই সম্পত্তি বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখা হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, অভিযুক্তরা যদি আদালতে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন যে জব্দ করা অর্থ অবৈধভাবে উপার্জিত, তাহলে তা ফেরত পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সে ক্ষেতে সেই সম্পদ রাষ্ট্রীয়ভাবে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেবে। তখন এসব সম্পদ রাষ্ট্রের কোষাগারে চলে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।