Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

২৩ প্রতিষ্ঠানকে শোকজ অমর একুশে বইমেলা

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

গ্রন্থমেলার নীতিমালা লঙ্ঘন করায় ২৩টি প্রকাশনী প্রতিষ্ঠানকে কারণ দশানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অমর একুশে গ্রন্থমেলার পরিচালনা কমিটি এই নোটিশ দিয়েছে। মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমদ স্বাক্ষরিত গত বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠান নীতিমালা ও নিয়মাবলি ৭.১ ধারা লঙ্ঘন করেছে। গ্রন্থমেলার টাস্কফোর্স উপকমিটি একাধিক দিন পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উপরোক্ত ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর কথাও বলা হয়েছে।
নীতিমালা লঙ্ঘনে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- জয়বাংলা, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, জয় বাংলা আর্ট গ্যালারি অ্যান্ড স্টুডিও, মাইক্রোস ডিজিটাল, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন, শিশু সাহিত্য বইঘর, ছোটদের জ্ঞান বিজ্ঞান একাডেমি, ছোটদের মেলা, জনতা প্রকাশ, বাঁধ পাবলিকেশন্স, কালিকলম প্রকাশনা, নবরাগ প্রকাশনী, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ স্মৃতি সংসদ, আলগাজী পাবলিকেশন্স, আবিষ্কার, শিশু-কিশোর প্রকাশন, মুক্ত প্রকাশ, শিশু প্রকাশ, কালধারা, মৌ প্রকাশনী, মেধা পাবলিকেশন্স, নিহাল পাবলিকেশন, অভ্র প্রকাশ।
অমর একুশে গ্রন্থমেলা পরিচালনা নীতিমালার ৭.১ ধারায় বলা হয়েছে, ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশকগণ কেবল বাংলাদেশে মুদ্রিত ও প্রকাশিত বাংলাদেশের লেখকদের মৌলিক/অনূদিত/সম্পাদিত/সংকলিত বই বিক্রি করতে পারবেন।’
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, ‘২৩টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অমর একুশে গ্রন্থমেলার নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে। আমরা তাদের প্রাথমিকভাবে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছি। তাদের কাছ থেকে জবাব পাওয়ার পর আগামী মেলায় তাদের বিষয়ে মেলা কমিটি নীতিমালার আলোকে সিদ্ধান্ত নেবে।’
আবিষ্কার কোয়ালিটি প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী দেলোয়ার হাসান বলেন, আমাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যে ধারায় আমার প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করা হয়েছে সেই ধারা লঙ্ঘন করিনি। আমার প্রতিষ্ঠান থেকে সমরেশ মজুমদারের বই করেছি। সেটি সম্পাদিত গ্রন্থ। লেখকের অনুমতি নিয়ে সেটি বাংলা একাডেমির সদস্যভুক্ত একজন লেখক সম্পাদনা করেছেন।
শেষ সময়ে ভিড় বাড়ছে বইমেলায়: বইমেলার শেষ তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার। সময় যতই ফুরিয়ে আসছে, ততোই ভিড় বাড়ছে বইমেলায়। প্রতিনিয়ত আসছে নতুন নতুন বই। বাড়ছে বই ক্রেতার সংখ্যাও। এ দিন অন্যান্য দিনের তুলনায় বইপ্রেমীদের ভিড় ছিল বেশি। মেলা প্রাঙ্গণ উন্মুক্ত করার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে থাকে লোকজন। বিকেল গড়াতেই সব বয়সী পাঠকের মিলনমেলায় পরিণত হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ। মেলার ২৬তম দিনে প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, পাঠকদের পদচারণায় মুখর বইমেলা। প্রাণের মেলায় ঘুরে ঘুরে বই দেখার পাশাপাশি কিনছেন পাঠকরা। মেলার সময় যতই গড়াচ্ছে বই কেনার সংখ্যাও বাড়ছে। সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, সামনের দিনগুলোতে বই বিক্রি আরও বাড়বে। এ বিষয়ে বিভিন্ন প্রকাশক জানান, গল্প আর উপন্যাসের বইয়ের প্রতিই বেশি আগ্রহ দেখা গেছে মেলায় আগতদের।#



 

Show all comments
  • Abu Faiz Bulbul ৫ মার্চ, ২০২০, ৮:৩৯ পিএম says : 0
    Mostimportant.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বইমেলা

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
৩১ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ