পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারের ইচ্ছায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজের আদেশ দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এই সিদ্ধান্ত জাতিকে এক বিপজ্জনক জায়গায় ঠেলে দেয়ারই নামান্তর বলে মনে করেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী একথা বলেন।
বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের আদেশের শুনানীর দিন ধার্য ছিল। আদালত তাঁর জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। এই খারিজ আদেশের মধ্য দিয়ে সরকারের হিংসাশ্রয়ী নীতিরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার মুক্তিপণ আদায়ের মতোই দেশনেত্রীকে অন্যায়-অন্যায্য ও সকল আইনী অধিকার লঙ্ঘন করে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। আর এই কারারুদ্ধ করার মধ্য দিয়ে সরকার তাদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখার মুক্তিপণ আদায়ের মতোই আচরণ করছে। এই সরকারের আমলে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার পাওয়া সুদুর পরাহত। বিরোধী দলের অধিকার, গণতন্ত্রে পরমত সহিষ্ণুতা ও ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতাকে রুদ্ধ করে গোটা জাতিকে নি¤œমানের দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। রাষ্ট্রের মালিকানা এখন আর জনগণের নেই। তা এখন অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর অত্যাচারী যন্ত্রের হাতে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গ ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিপীড়ণ যন্ত্রে পরিণত করা হয়েছে। সুতরাং মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার আর কোন জায়গা নেই। সরকারের নেক নজরে পড়ার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের স্বাধীনতা ত্যাগ করে সরকারের দাসত্ব করাটাকেই সাফল্য মনে করছে। দেশনেত্রী বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা জনগণ বিশ^াস করে না। জনগণ বিশ^াস করে প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীকে নিশ্চিহ্ন করতে কারাগারে অন্তরীণ করেছে। তাই বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে সরকারপ্রধান হিংসা চরিতার্থ করতে টার্গেট করেছে। অর্থাৎ বিনা চিকিৎসায় দেশনেত্রীকে শোচনীয় দুর্দশায় উপনীত করার কৌশলী চক্রান্ত চালাচ্ছে। সেজন্য আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে তাদের সেই টার্গেট বাস্তবায়ন করছে। আদালতকে ব্যবহার করে গুরুতর অসুস্থ দেশনেত্রীর জামিন ও চিকিৎসা নিয়ে সরকারের ছিনিমিনি খেলার অপরিণামদর্শীতার মাশুল একদিন দিতে হবে।
রিজভী বলেন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার জন্য জীবনভর সংগ্রাম করেছেন যে নেত্রী, সেই নেত্রীকে নিপীড়ণ-নির্যাতনের জন্য কারারুদ্ধ করে শাসকের অহমিকা এখন অত্যুগ্র মাত্রায়। সরকার দম্ভের সাথে সকলের মুখ বন্ধ করে দেশনেত্রীকে কারাগারে আটকিয়ে রাখতে আদালতের শরনাপন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, দেশনেত্রীর জামিনে বাধা দিয়ে সরকার মনের সাধ মেটালেও জনগণ এর উপযুক্ত জবাব অতিশীঘ্রই দিতে প্রস্তুত হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।