পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নারীদেরকে ‘নিকাহ রেজিস্ট্রার’ বা কাজী হিসেবে নিয়োগের রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী এবং বিচারপতি কাজী জিনাত হকের ডিভিশন বেঞ্চ এ সংক্রান্ত রিট খারিজ করে দেন। দেশের সামাজিক ও বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নারীদের নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ দেয়ার আবেদনটি খারিজ করে দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন সরকার পক্ষের কৌঁসুলি। ফলে এখন থেকে আর কোনো নারী নিকাহ রেজিস্ট্রার বা কাজী হিসেবে নিয়োগ পাবেন না। দিনাজপুরের এক নারী নিকাহ রেজিস্ট্রার প্রার্থীর রিটটি করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ন কবির।
এ বিষয়ে তিনি জানান, ২০১৪ সালে দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়িয়ার পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে তিনজন নারীর নাম প্রস্তাব করে উপদেষ্টা কমিটি। তিন সদস্যর এই প্যানেল আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ২০১৪ সালের ১৬ জুন আইন মন্ত্রণালয় ‘বাংলাদেশের বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নারীদের দ্বারা নিকাহ রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়’-মর্মে চিঠি দিয়ে তিন সদস্যর প্যানেল বাতিল করে। পরে আইন মন্ত্রণালয়ের এই সিন্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন নিকাহ রেজিস্ট্রার প্যানেলে এক নম্বর ক্রমিকে থাকা আয়েশা সিদ্দিকা।
রিটের শুনানি নিয়ে আদালত ‘আইন মন্ত্রণালয়ের চিঠি কেন বাতিল করা হবে না-এই মর্মে রুল জারি করেন। গতকাল রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আবেদনটি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, বাংলাদেশের সামাজিক ও বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নারীদের নিকাহ রেজিস্ট্রারের (কাজী) দায়িত্ব পালন সম্ভব নয়-মর্মে অভিমত দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।