পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের ওপরই আস্থা রেখেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা সর্বোচ্চ আদালতে বিশ্বাস করি। সুপ্রিম কোর্ট-হাই কোর্টকে বিশ্বাস করি, বিশ্বাস করি বলেই বার বার যাই। আমরা আশা করি যে, আমরা ন্যায় বিচার পাব। কিন্তু কি দুর্ভাগ্য আমাদের, এই ফ্যাসিস্ট সরকার আদালতকেও নিয়ন্ত্রণ করছে, আজকে মানুষ ন্যায় বিচার পাচ্ছে না, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ন্যায় বিচার পাননি। গতকাল রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শ্রমিক দল আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আশা করব, প্রত্যাশা করব যে, বিচার বিভাগ তার স্বাধীনতাকে রক্ষা করবেন এবং সত্যিকার অর্থেই মামলায় যে রায় হওয়া উচিত সেই রায় দেবেন। কারণ তাকে (খালেদা জিয়া) আটকে রাখার কোনো বিধান নেই, বেআইনিভাবে আটকে রেখেছে।
খালেদা জিয়ার জামিন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের যে সংবিধান সেই সংবিধান অনুযায়ী জামিন তার প্রাপ্য হক, অধিকার। সেই অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, সেই হক থেকে তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই ধরনের মামলায় সবাই জামিনে আছেন, তাদের মন্ত্রীরা যারা ছিলেন তারা জামিনে আছেন। নাজমুল হুদা তিনিও জামিনে আছেন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া সাহেব জামিনে আছেন, মহীউদ্দীন খান আলমগীর সাহেব জামিনে আছেন, সাবেক গণপূর্ত মন্ত্রী আবদুল মান্নান সাহেবও জামিনে আছেন। কিন্তু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বেলায় এই জামিন তাকে দেওয়া হচ্ছে না।
মুজিববর্ষ উদযাপন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, আপনারা খুব উৎসব করে, অনেক ব্যয় করে মুজিববর্ষ পালন করছেন, সত্য কথা। কখন করছেন? গণতন্ত্রের যে মাতা তাকে আটক করে রেখেছেন। স্বাধীনতার ৫০ বর্ষপূর্তি করবেন, সেই ৫০ বর্ষপূর্তির সময়ে আজকে ৩৫ লাখ লোকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা থাকবে, দেশনেত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা, তাকে কারাগারে আটক করে রেখে, আমাদের নেতাকর্মীদেরকে আটক করে রেখে এবং নির্যাতন চালিয়ে। আমাদের সিনিয়র মহাসচিব রিজভী আহমদ মিছিল করার সময়ে আক্রমণ করা হয়েছে, রিজভী আহমেদসহ ৭/৮ জন আহত হয়েছে। আমাদের সভা করার জায়গা দেওয়া হয় না। কী দেশ বানিয়েছি?
শ্রমিকদের দুরাবস্থার কথা তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, পত্রিকা খুললে দেখবেন, নিম্নবিত্ত মানুষ, মধ্যবিত্ত মানুষ দ্রব্যমূল্য দ্বারা হয়রান হয়ে গেছে। চালের দাম বাড়ছে, লবণের দাম বাড়ছে, সবজির দাম বাড়ছে, পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। আমাদের শ্রমিক ভাইয়েরা আজকে মানববন্ধন করছেন, তাদের বেতন বাড়ছে না। বিনিয়োগ কমে যাচ্ছে, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কয়েকদিন আগে পত্রিকায় দেখলাম, বিজেএমই প্রধান রুবানা হক বলেছেন, মার্চ মাসের মধ্যে ধস নামতে শুরু করবে। এই সরকার সকল ক্ষেত্রে ব্যর্থ হচ্ছে। একমাত্র দেশ চালাতে চায় তারা রাষ্ট্রকে নিজেদের কব্জায় নিয়ে গিয়ে, তাদের যে অবৈধ, অন্যায় শাসন, সেই শাসনকে এগিয়ে নিয়ে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এরা নিজেদের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করবার জন্যে, চিরস্থায়ী করবার জন্য গুমের আশ্রয় নিয়েছে, যা অতীতে আমরা বাংলাদেশে দেখিনি। গুম করছে, হত্যা করছে, মিথ্যা মামলা দিচ্ছে- এভাবে নিপীড়ন-নির্যাতন করে তারা বাংলাদেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা স্থায়ী করতে চায়। মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন- দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শ্রমিক দলের সালাহ উদ্দিন সরকার, হুমায়ুন কবির খান প্রমুখ।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।