পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে গতকাল বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। বেশিরভাগ কোম্পানিরর কমলেও মূলত গ্রামীণফোনের শেয়ার দাম বাড়ায় বড়রপতন ঘটেনি। কারণ যে হারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হয়েছে মূল্য সূচক কমে তার থেকে বেশ কম হারে। বকেয়া কর বাবদ আপিল বিভাগের নির্দেশে সরকারকে গ্রামীনফোনের এক হাজার কোটি টাকা প্রদান করায় সকাল থেকেই কোম্পানিটির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ে।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, গত কয়েক মাসে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের কাছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল গ্রামীন ফোনের সঙ্গে বিটিআরসির পাওনা অর্থ বাবদ জটিলতা। কয়েক দফা আপোসের চেষ্টা করেও বিষয়টি আালত পর্যন্ত গড়ায়। শেষ পর্যন্ত আপিল বিভাগের নির্দেশে গ্রামীন ফোন সরকারকে এক হাজার কোটি টাকা প্রদান করে। ফলে সার্বিকভাবে গ্রামীন ফোনের প্রতি বিনিয়োগকারীদের বিশেষ আগ্রহের সৃষ্টি হয়। কিন্তু ফেব্রæয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করে। ফলে বেশ কিছু কোম্পানির মুনাফা তোলার প্রবণতা দেখা দেয়। সারাদিনই এই প্রবণতা অব্যাহত থাকে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৭০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমে ২৭৬টির। আর ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩৪ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৬৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫৯১ পয়েন্টে উঠে এসেছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন লেনদেনের শুরু থেকেই একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হলেও ব্যতিক্রম ছিল গ্রামীণফোন। লেনদেনের শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম বাড়তে থাকে। এতে দিনের লেনদেন শেষে গ্রামীণফোনের শেয়ার দাম আগের দিনের তুলনায় ২২ টাকা ৪০ পয়সা বা ৭দশমিক ৫৮ শতাংশ বেড়েছে।
গ্রামীণফোনের শেয়ারের এই দাম বাড়ার কারণে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক বেড়েছে ২১ পয়েন্ট। অর্থাৎ গ্রামীণফোনের শেয়ারেরাম না বাড়লে এদিন ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক আরও ২১ পয়েন্ট কমতো। আর দাম কমলে সূচকের পতন আরও বেশি হতো।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই ১৪৪ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ৩৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৫৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৩টিরদাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯৫টির এবং ১৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।