Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিচার বিভাগের কাছে ফখরুলের প্রত্যাশা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:৪৮ পিএম

উচ্চ আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানীর প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মামলার জামিনের শুনানী আছে। আমরা আশা করবো, প্রত্যাশা করবো, যে বিচার বিভাগ তার স্বাধীনতাকে রক্ষা করবেন এবং সত্যিকার অর্থে এই মামলার যে রায় হওয়া উচিত, সেই রায় দেবেন। এর কারণ ব্যাখা করে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে বেআইনীভাবে আটকে রেখেছেন।

রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক দল আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

"বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি" উপলক্ষে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সর্বোচ্চ আদালতে বিশ্বাস করি। সুপ্রিম ও হাই কোর্টে বিশ্বাস করি। বিশ্বাস করি বলেই বারবার যাই। আমরা আশা করি যে, আমরা ন্যায় বিচার পাবো। কিন্তু কি দুর্ভাগ্য আমাদের, আজকে এই ফ্যাসিস্ট সরকার- ফ্যাসিস্ট সরকারকে হিসেবে আদালতকেও নিয়ন্ত্রণ করছে। তাই আজকে ন্যায় বিচার পাচ্ছে না। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও ন্যায় বিচার পাননি। সর্বোচ্চ আদালতেও তিনি ন্যায় বিচার পাননি।

বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে অন্যায়ভাবে তাকে আটক করে রাখা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমাদের যে সংবিধান সেই সংবিধান অনুযায়ী জামিন তার প্রাপ্য, হক ও অধিকার। সেই অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই ধরণের মামলায় সবাই জামিনে আছে। তাদের (আওয়ামী লীগ) মন্ত্রীরাও জামিনে আছেন, নাজমুল হুদাও জামিনে আছেন, মায়া সাহেব তিনিও জামিনে আছেন, মহিউদ্দীন খান আলমগীর সাহেব জামিনে আছেন এবং গণপূর্তমন্ত্রী মান্নান সাহেবও জামিনে আছেন। কিন্তু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সেই জামিন তাকে দেয়া হচ্ছে না।

গোটা বাংলাদেশের মানুষকে মামলা দিয়ে বুটের তলার রাখা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ফখরুল।

গুম প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একজন সেনাবাহিনীর অফিসার। তিনি র্যাবে কাজ করতেন। পরবর্তিকালে তাকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা সাজা দেয়া হয়েছিল। ফিরে আসার পরে তাকে গুম করে নিয়ে যাওয়া হয়। দেড় বছর পরে তাকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। দেড় বছর পরে তিনি এসে কথা বলছেন না! কিছুদিন আগে আমরা দেখেছি, সালাউদ্দিন কাদেরের ছেলে- (সাত মাস গুম)। সেও ফিরে এসে কথা বলে না। তারও আগে একজন রাষ্ট্রদূত (নয় মাস নিখোঁজ)। তিনিও ফিরে এসে কথা বলছেন না। আর্মির একজন জেনারেল এবং মীর কাশেম সাহেবের ছেলে এখনো নিখোঁজ আছে। এই রকম এখনো অনেক মানুষ নিখোঁজ আছে। এরা (সরকার) ক্ষমকাকে কুক্ষিগত ও চিরস্থায়ী করবার জন্য গুমের আশ্রয নিয়েছে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ শ্রমিক দলের নেতারা বক্তব্যে রাখেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিচার বিভাগ

৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ